আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে পরিবর্তিত জলবায়ু

আমার আমিকে জানিনা এখনো তাইতো তোমাকেও হয়নী জানা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আজ বিশ্বজোড়া আলোচিত বিষয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন যে আজ গোটা বিশ্ব সভ্যতাকে হুমবির মুখে ফেলে দিয়েছে তাতে আর কোন সন্দেহ নেই। এই আলোচিত ইসুটি বেশ কিছুদিন যাবত নিম্ন স্বরে আলেিিচত হলেও ২০০৯ সালের কোপেরহেগেন সম্মেলনের পর এতে নতুন মাত্রা জোগ হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুর” করেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু যে বদলে যাচ্ছে সে বিষয়ে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।

ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর (আইপিসিসি) বরাত দিয়ে বিবিসি সম্প্রতি সংবাদ পরিবেশন করেছে, গত একশ’ বছরে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৭৪ সেন্টিগ্রেড, কিন্তু এই একশ’ বছরের মধ্যে যে বারটি বছর তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি হতে দেখা গেছে তার ১১টিই হল ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত। এর পরিষ্কার মানে হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের তাপমাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একই সময়ে দেখা যাচ্ছে, হিমালয় পর্বতের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, কিন্তু পরে আর তেমন বরফ জমছে না। সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হিমালয় পর্বতের হিমবাহগুলো বছরে ২৩ মিটার করে কমে যাচ্ছে। হিমালয়ের হিমবাহগুলো থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের নদীগুলোতে সুপেয় পানি আসত।

এখন সেই পানি কমে আসছে। ইউরোপে আল্পস পর্বতমালায় একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একই সময়ে উত্তর মের” ও দক্ষিণ মের”তে বেশিমাত্রায় বরফ গলছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির করণে। আর এই বরফ গলা বাড়তি হওয়ার ফলে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব বিপদে পড়বে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সমুদ্রে পানি বাড়ার দর”ন দেশের দক্ষিণাঞ্চল নোনা পানিতে ডুবে যাবে।

২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জয়বায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সম্মেলনে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি বর্তমানের চেয়ে ১ মিটার বাড়ে তাহলে বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। যন্ত্রকৃত তাপমাত্রার দলিল অনুযায়ী ১৮৬০-১৯০০ সালের তুলনায় ভূভাগ ও সমুদ্র উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্বের তাপমাত্রা ০.৭৫ডিগ্রি সে. (১.৪ ডিগ্রি ফা.) বৃদ্ধি পেয়েছে; শহুরে তাপদ্বীপের অতিরিক্ত গরমকে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়নি। ১৯৭৯ সাল থেকে ভূ-ভাগের তাপমাত্রা মহাসাগরের তাপমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ দ্র”ততায় বৃদ্ধি পেয়েছে (দশকে ০.১৩ ডিগ্রি সে. এর স্থলে ০.২৫ ডিগ্রি সে.) (ঝসরঃয, ২০০৫)। কৃত্রিম উপগ্রহকৃত তাপমাত্রা পরিমাপ হতে দেখা যায় যে, নিম্ন ট্রপোমুলের তাপমাত্রা ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি দশকে ০.১২ডিগ্রি সে.-০.২২ডিগিসে. সীমার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮৫০ সালের এক বা দুই হাজার বছর আগে থেকে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ছিল, তাছাড়া সম্ভবত মধ্যযুগীয উষ্ণ পর্ব কিংবা ক্ষুদ্র বরফযুগের মত কিছু আঞ্চলিক তারতম্য ঘটেছিল।

নাসার (হধংধ) গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের (এড়ফফধৎফ ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ ঝঢ়ধপব ঝঃঁফরবং) করা অনুমিত হিসাব অনুযায়ী ১৮০০ শতকের শেষের দিক থেকে নিভ্ররযোগ্য তাপমাত্রা মাপক যন্ত্রের ব্যাপক বিস্তার লাভের পর ২০০৫ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর, যা ইতিপূর্বে লিপিবদ্ধ উষ্ণতম ১৯৯৮ সাল থেকে এক ডিগ্রীর কয়েক শতাংশ বেশি উষ্ণ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডড়ৎষফ গবঃবড়ৎড়ষড়মরপধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ) এবং যুক্তরাজ্য জলবায়ু গবেষণা ইউনিট (ঈষরসধঃব জবংবধৎপয টহরঃ), একটি অনুমিত হিসাব থেকে ২০০৫ সালকে ১৯৯৮ সালের পরে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হিসেবে বিবৃত করে। [৪৭][৪৮] শেষ ৫০ বছরে সবচেয়ে বিস্তারিত উপাত্ত আছে আর এই সাম্প্রতিক সময়েই জলবায়ু পরিবর্তনের ধরণটা ((ধঃঃৎরনঁঃরড়হ ড়ভ ৎবপবহঃ পষরসধঃব পযধহমব) সবচেয়ে স্পষ্ট। এটা স্পষ্ট যে, মনুষ্যসৃষ্ট অন্যান্য দূষনকারী বস্তুর নিঃসরণ-বিশেষত সালফেট কণা-একটি শৈত্যয়ন ক্রিয়া ঘটায়; এটা বিশেষকরে দ্বাদশ শতকের মালভুমি/শৈত্যয়নের জন্য দায়ী, [৪৯] যদিও এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক জলবায়ু চক্রের কারণেও হতে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মানবসভ্যতার জন্য আজ সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।

এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবের ফলে ঝুঁকির মুখে পড়বে মানুষের বিবিধ মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা। এসব অধিকার ও নিরাপত্তার মধ্যে মানুষের জীবন ও সম্পদ, খাদ্য, নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য, বসতি, ভূমি, জীবন-জীবিকার উৎস, কর্মসংস্থান এবং তাদের উন্নয়নের অধিকারও রয়েছে। জাতিসংঘসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু উদ্বাস্তু সমস্যাকে উন্নয়ন, দারিদ্র্য নিরসন ও খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে দেখছে। কেননা, জলবায়ুসংক্রান্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ লোক তাদের বসতভিটা ছেড়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। তারা বঞ্চিত হবে তাদের মৌলিক মানবাধিকার, যথাযথ খাদ্য ও পানি, উন্নয়নের অধিকার এবং তাদের নিজস্ব সমাজ ও সংস্কৃতিতে বসবাসের অধিকার থেকে।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রায় সব প্রতিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু এই ক্ষতিকর প্রভাব তাদের ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়নের ইতিহাস ও সরকারের সক্ষমতা তথা শাসনপদ্ধতি ও ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও জলবায়ুসংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি বিপদাপন্ন করে তুলবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পৌনঃপুনিক বৃদ্ধিসহ দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততার প্রবেশ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও খরা অন্যতম। বিশ্বসম্প্রদায় যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক দারিদ্র্য ও মানুষের খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, আশ্রয় ও সামাজিক নিরাপত্তার সমস্যাকে তীব্রতর করবে।

আঞ্চলিক বৈষম্য তীব্রতর ও মৌলিক মানবাধিকারগুলো লঙ্ঘিত হবে। এসবের ফলে নিকট-ভবিষ্যতে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুভিটাচ্যুত হতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যা বাড়বে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো, নিম্ন ব-দ্বীপ অঞ্চল এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যা বেশি বাড়বে। তা গ্রাম থেকে শহরে, এমনকি দেশ থেকে দেশে (বিপদাপন্ন দেশ থেকে অন্য দেশে) মানুষের স্থানাস্তর বৃদ্ধি করবে।

এই অভ্যন্তরীণ ও বহির্দেশীয় স্থানান্তরিত জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি করবে নতুন নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। ইতিমধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার লাখ লাখ দরিদ্র মানুষ শহরের বস্তিতে কর্মসংস্থান, প্রয়োজনীয় আয়, খাদ্য, পানি, বাসস্থান, এমনকি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় মৌলিক সব সুবিধা ছাড়াই বাস করছে। জলবায়ুসংক্রান্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ মানুষ তাদের বসতভিটা ছেড়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। ফলে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের মৌলিক মানবাধিকারগুলো তথা খাদ্য ও পানি, উন্নয়নের অধিকার এবং তাদের নিজস্ব সমাজ ও সংস্কৃতিতে বসবাসের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। ১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালের প্রচন্ড শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক সাইক্লোন ‘সিডর’ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে।

এতে ১০ হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং তিন কোটিরও অধিক উপকূলীয় মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। পরবর্তী ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশে আঘাত হানেনি, কিন্তু মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এর প্রভাবে মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকার এক লাখেরও অধিক মানুষ মারা যায় এবং লাখ লাখ আহত হয়। অতিসম্প্রতি (মে ২৫, ২০০৯) ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানে। তিন শতাধিক লোক এতে মৃত্যুবরণ করে এবং হাজার হাজার লোক তাদের বাস্তুভিটাচ্যুত হয়।

উপকূলীয় জেলাগুলোর বহু মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং খাদ্য ও নিরাপদ পানীয় জলের সীমাহীন সংকট ও দুর্ভোগের শিকার হয়। হাজার হাজার মানুষ চরম দারিদ্র্যে নিপতিত হয়। ডায়রিয়াজনিত রোগ বহু এলাকায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন-সংশ্লিষ্ট সব দুর্যোগের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত শিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী। কেননা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ-ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তাদের নেই বা যা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সামান্য।

বর্তমান বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি লোক চরম খাদ্য-অনিরাপত্তা ও সীমাহীন অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর। খাদ্যপ্রাপ্তির অসম সুযোগ ও অধিকারই এর পেছনের মূল কারণ। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত দুর্যোগও খাদ্য-অনিরাপত্তার সমস্যাকে ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনসংশ্লিষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা, মাত্রা ও অভিঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্ভাব্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিম্নাঞ্চল ও উপকূলীয় দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। লাখ লাখ লোক তাদের বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হবে, কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকা থেকে বঞ্চিত হবে। লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ সীমাহীন দারিদ্র্যের সংকটে নিপতিত হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোয় ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রার সামুদ্রিক জোয়ারে তীরবর্তী ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় প্রতিবেশগুলোর কেবল ব্যাপক ক্ষতি সাধনই করবে না, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে এবং উপকূলীয় ২০টি জেলার প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোককে তাদের বাস্তুভিটা থেকে অন্যত্র স্থানাস্তরে বাধ্য করতে পারে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত একটি দেশ। জলবায়ু শরণার্থীরা নতুন করে দেশে গৃহায়ণ ও আবাসন সমস্যার সৃষ্টি করবে এবং দেশের সীমাবদ্ধ সম্পদের (ভূমি, পানি, মৎস্য, বন) ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করবে এবং সৃষ্টি করবে সংকট ও বিবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.