অব্যক্ত বক্তব্যের ধারাবাহিক চলন,, কোন অভিন্ন কৃষ্টি ও চেতনার বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ জনসমাজকে 'জাতি' হিসাবে অভিহিত করা হয়। দেশজুড়ে বিভক্তি আর সহিংসতায় সেই "অভিন্ন কৃষ্টি ও চেতনার বন্ধন" থেকে আমরা "জাতি" হিসাবে দীর্ঘস্থায়ী বিচ্ছিন্নতার দিকে চলে যাচ্ছি।
ব্রিটিশদের তাড়ানোর সংগ্রামে এ জাতি ঐক্য হয়েছিল ভিন্ন "জাতি" তাড়াতে....পাকিস্থানের ক্ষেত্রেও তাই। আজ এতোদিন পরে যখন রাস্তার মিছিলে শুনি---"দিয়েছিতো রক্ত আরো দিবো রক্ত", তখন আত্মার কাছে প্রশ্ন শুনি--- তোমার জাতি কেন তোমার-আমার রক্ত দিবে আর নিবে। আওয়ামীলীগ-পুলিশের গুলিতে হামলায় জামাত-শিবির আর জামাত-শিবিরের হামলায় পুলিশ-আওয়ামীলীগ নিহত -আহত হওয়ার দৃশ্য আমাদের জাতি হাসিবে কত পিছনে ফেলে দিচ্ছে।
এটা কি আদৌ কোন দিন সম্ভব হবে দেশের সব জামাত-শিবিরকে পুলিশ মেরে ফেলবে বা দেশের সব পুলিশ-আওয়ামীলীগকে জামাত-শিবিরকে মেরে ফেলবে। দেশব্যাপী যাদের হাতে যেই মারা পরুকনা কেন...যে পুলিশের গুলিতে যে মায়ের যে সন্তানই গুলিবিদ্ধ হোক না কেন...ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে কি কারো কোন মতবিরোধ রয়েছে?? তাহলে এ হত্যাকান্ড কেন???
বলা হতে পারে সাঈদী বা অন্যান্য "মানবতাবিরোধী" অভিযুক্তদের রক্ষার্থে সারাদেশে জামায়াত শিবিরের "তান্ডবের" ফসল এটি। তাহলে কি এখানেই শেষ??
জামায়াতের সব নেতার ফাসি হয়ে গেল,,,নিষিদ্ধ হলো জামায়াত শিবিরের রাজনীতি....তারপর...
রাষ্ট্র একটি প্রতিষ্ঠান...একটি বৃহৎ পরিবার....এখানে রাজনীতি সাথে জড়িত আছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক চলকগুলো'ও।
গোটা দেশ পরিচালনায় বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত বস্ত্রমন্ত্রী আছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে, অর্থমন্ত্রী আছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে, কৃষিমন্ত্রী আছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে, পাট,ক্রীড়া থেকে যে যেখানে একটাই বাংলাদেশের মন্ত্রনালয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আইনমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকটি মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট থেকে বাকিদের উচিত নিজ বিভাগগুলোতে নিয়োজিত থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিবিষ্ট থাকা।
একটু ভেবে দেখেন আজকের গোটা জাতিকে জালে আটকে....রেসলিং'য়ের মাঠে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে...আর বাইরে বসে কেউনা কেউ'তো হাততালি দিচ্ছেই!!
বাংলাদেশে শেতাঙ্গ-কৃষাঙ্গ দন্ধ নেই, ভাষাগত বৈষম্য নেই, জাতিগত সহিংসতা নেই, ধর্মীয় দাঙ্গা নেই...এতো সংঘবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার অতিরঞ্জিত ও বিকৃতির ইতিহাসের বুলি দিয়ে ভাগ করা হচ্ছে।
বৃটিশদের পর থেকে "ভাগ কর শাসন কর নীতি"র কবলে আর কতো প্রান যাবে।
এমন কোনদিন চলবে...সব ঝড় শেষ হয়, সব ভুমিকম্পই থামে....কিন্তু তার জ্বালা অবিশষ্টদের বয়ে বেড়াতে হয়...
একটা কথা খুব মনে হয়--- কোন একদিন শুনেছিলামা---" পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন চাদে বাড়ি বানানোর কথা ভাবে...আমরা ভাবি কিভাবে স্যানিটারী ল্যাট্রটিন বানানো যায়। "
বাংলাদেশ শুধু ২০১৩ সালে থাকবে তা নয়....যতদিন পৃথিবী থাকবে বাংলাদেশ থাকবে এটাই আমার কোটি প্রানের প্রত্যাশা। কিন্তু আগামীর দিনগুলো'র সঙ্কা....২০১৪,, ২০১৫,, ২০১৬....থেকে অগনিত বছরগুলোতে কিভাবে চলবে??
কে কোন গ্রুপ বুঝিনা....আসুন আমরা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি....আমার টাকার গুলিতে আমার বুক ঝলসে যেতে পারেনা...এ জাতিকে ভাগ করে ফয়দা লোটার সমর্থন অবশ্যই করা যায়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।