আমার কল্পনার রঙে সাজানো ভালবাসার ছড়া-ছড়ি
সুপ্রিয়,
পর পর তিনটি চিঠি পাঠালাম যে তোমায়
আর কতকাল থাকব আমি অপেক্ষায়?
পথ চেয়ে চেয়ে চোখের কোলে কালি পড়েছে
বুঝলাম না, কি যে তোমার হয়েছে।
জানো, ও বাড়ির ওই লতা বউদির বর থাকে ভিনদেশে
প্রতি সপ্তাহে পালা করে তার একটি চিঠি আসে।
দুপুর বেলা, খাবার পরে সবাই যখন ঘুমায়
লতা বউদি চুপটি করে ডাকে এসে আমায়,
দুজ়ন গিয়ে বসি তখন পদ্ম দিঘীর ঘাটে
দুষ্টু চোখে তাকায় বউদি, মিস্টি হাসি ঠোঁটে,
আলতো হাতে নীল চিঠিটির ভাঁজখানি সে খোলে
ভালবাসার আবেগে তার নাকের নোলক দোলে।
সোহাগ ভরা কথা থাকে চিঠির প্রতি পাতায়
আলতা রাঙ্গা হাতের আঙ্গুল চিঠির পাতায় বুলায়,
কেন যে তখন আমার ভীষন কষ্ট হয়
চোখের দৃস্টি ঝাপসা হয়ে যায়
অমন একটা চিঠি পেতে বড্ড যে মন চায়।
লতা বউদি ডেকে উঠে, কিরে, কি হল তোর?
চমকে উঠি সামলে নেই, ভাঙ্গে আমার ঘোর।
আচ্ছা বলোতো কেন হয় এমন
না দেখা কারো জন্য বুকের ভেতর এ কেমন কাঁপন।
কেনই বা কাজের ফাঁকে দাঁড়াই পথের বাঁকে
থেকে থেকে ঊদাস চোখে খুঁজি আমি কাকে?
আমার মত এমন করে তুমিও কি দেখো স্বপন
খুঁজে বেড়াও জগত মাঝে সবচেয়ে যে আপন।
যাক গে ও সব, এবার কিন্ত চিঠি আমার চাই
লতা বউদিকে বলবো , দেখ দেখ, আমার কি কেউ নাই?
লতা বঊদি চমকে যাবে, অবাক চখে চেয়ে
বলবে আমায়, কবে হলো? ওরে দুস্ট মেয়ে
তলে তলে এত কিছু, ডুবে ডুবে খাস জল
কে সেই মুখপড়া বলনা আমায় বল।
লজ্জা আর ভাললাগায় আপ্লুত হব আমি
কিভাবে বলি বলোতো, কে যে তুমি?
বলো আমায় কেগো তুমি? কোথায় তোমার বাস
যোজন দূরে থেকেও এমন করছো সর্বনাশ।
তোমর চিঠির আশায় থাকি স্বপ্নে ভাসাই ভেলা
চিঠি দিও আর কোরনা লুকচুরি খেলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।