আমি আমার মতন।
প্রযুক্তি জগতে সাড়া জাগানো প্রযুক্তি নিয়ে আসার গৌরব সব সময়ই উইন্ডোজের। উইন্ডোজের এ অবস্থান যে কেউ কোনদিন কেড়ে নিতে পারবে না সেটাই আবারও প্রমান করলো মাইক্রোসফট।
২০০৮ সালে আবিস্কৃত উইন্ডোজ সেভেন কিছুটা পুরাতন হয়ে গিয়েছে, বাচ্চাকাচ্চাদের খেলনা ওএস উবুন্টু নিজেদের সেভেনের সমতুল্য দাবি করার সাহস দেখাচ্ছে, এমন সময় অনেক বাজারে উইন্ডোজ এইট এসে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ত প্রমান করলেও এবার সকল রেকর্ড, সকল ধ্যান ধারনা, প্রযুক্তির সকল বাধা ছিন্ন করে,মানুষ্য জাতির বিজ্ঞান কে নতুন দিগন্তে তুলে দিয়ে জনজীবনে আলোড়ন সৃষ্টি করে নিজের পদ ধ্বনি ঘোষনা করল উইন্ডোজ নাইন।
অতি শিঘ্রই এটি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করবে বলে গোপন সুত্রে খবর পাওয়া গেছে।
শোনা গেছে উইন্ডোজ নাইনে এমন এমন কিছু ফিচার থাকছে যেগুলা আগামী একশ বছরেও টিউনারদের পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব হবে না।
নাইনের কী(key) ফিচারগুলি এতই অভাবনীয় যে তার পরিপুর্ন খবর পাওয়া এবং লিখে টিউন করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে গোপন সুত্রে অনেক কাঠখড় পুরিয়ে নাইনের ছোট ছোট কয়েকটি ফিচার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া গেছে, এগুলো দেখলেই মূল ফিচারগুলির অভাবনীয়ত্ত সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
আসুন দেখে নেই উইন্ডোজ নাইনের নগন্য ফিচারগুলার কয়েকটি,
১) DOS ও 95 কম্পাটিবলিটিঃ DOS এবং 95 এর সেইসব ঐতিহাসিক গেমস এবং সফটওয়ারগুলা চালানোর সৌভাগ্য থেকে এতদিন প্রযুক্তি বিশ্ব বঞ্চিত হয়ে আসছিলো, সেই হতাশা দুর করতে প্রথমবারের মত উইন্ডোজ নাইন দিচ্ছে DOS এবং 95 এর 1000% কম্পাটিবলিটি লেয়ার।
গোপন সুত্রে জানা গেছে নাইনের অমানুষিক গ্রাফিক্স রেন্ডারিং এন্জিনের বদৌলতে DOS এর ঐতিহাসিক Prince Of Persia 1 গেমটি নাইনে চলমান অবস্থায় যেরকম গ্রাফিক্স দেয় তার কাছে বর্তমান হলিউডের অ্যানিমেশন মুভিগুলার গ্রাফিক্স নিতান্তই শিশুতুল্য।
২) ডাটা সিকিউরিটিঃ ডিলিট করা বা হারিয়ে যাওয়া ডাটা তো নিমিষেই ফিরিয়ে আনে এবং ভবিষ্যতে তৈরী হবে এরকম ডাটাও বর্তমান সময়েই তৈরী করে ফেলতে পারে। এছাড়া আপনার চাহিদামত যেকোন ডাটা বানিয়ে দেওয়াও নাইনের কাছে কোন ব্যাপারই নয়।
গোপন সুত্রে খবর পাওয়া গেছেঃ নাইনকে কমান্ড দেওয়ার 0.00000001 ন্যানোসেকেন্ডের মধ্যেই সে শাকিব খান ও ঐশরিয়া বচ্চনের ধ্রুপদী ড্যান্সের 750350KiloP SUPER HD ভিডিও তৈরী করে দিয়েছে
৩) রিসোর্সঃ উইন্ডোজ নাইনের অতিজাগতিক ওএস আরকিটেকচারের বদৌলতে পেন্টিয়াম ১, 100MHz প্রোসেসর , 64MB র্যাম যুক্ত কম্পিউটার থেকে “খোড় নোস ৯৯” প্রোসেসর যুক্ত কম্পিউটারেও পুর্ণ গতিতে চলতে সক্ষম।
৪) রিভাইভড প্রোসেসিংঃ উইন্ডোজ নাইনের আরেকটি শ্বতান্তকারী আবিস্কার হচ্ছে রিভাইভড প্রোসেসিং, নাইন যেকোন প্রসেসকে সর্বোচ্চ 5555.3333% রিভাইভ করে চালাতে পারে। ফলে সফটওয়ারগুলা কার্যক্ষমতা 7658.7545% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় চোখের পলকে।
বিষয়টা বর্তমান আউটডেটেড প্রযুক্তির ওএসগুলিতে অবিশাষ্য মনে হতে পারে, কিন্তু নাইন এটিকে সত্য করে দেখিয়েছে, একটি উদাহরন দিলেই বিষয়টা পরিস্কার হবে।
উইন্ডোজ নাইনের হাইব্রিড ISO টির সাইজ ১১ গিগাবাইট মাত্র, নাইনের রিভাইভড প্রোসেসিং টেস্ট করার জন্য ISO কেই gzip কম্প্রেস করা হয়, অত্যান্ত আশ্চর্যজনক ব্যাপক এইযে এটির আকার তখন দাড়ায় মাত্র 9.9MB । এরপরও ওটিকে আবার 7z কম্প্রেস করার পরে তার আকার দাড়ায় মাত্রওওওওও 1.8KB ।
হ্যা প্রিয় টিউনার বৃন্দ, নাইনের অভাবনীয় প্রযুক্তির কল্যানে ১১ গিগাবাইটের ISO এর কম্পেসড অবস্থা মাত্র 1.8KB
তাহলে আর দেরি কেন ? আমাদের গোপন সুত্রের মাধ্যমে পাওয়া ডাবল রিভাইভ্ড কম্পেসড উইন্ডোজ নাইন টেস্ট করতে এক্ষনি ডাউনলোড করে ফেলুন নিচের লিংক থেকে,
মিরর ১ : http://www.easy-share.com/1913559325/Wi … ate.ISO.7z
মিরর ২: http://www.mediafire.com/?m0vlxccdlgj4bbq
ডাউনলোড করার পর Windows Nine Ultimate.ISO.7z নামে একটি ফাইল পাবেন, এটিকে 7zip সফটওয়ারের মাধ্যমে এক্সট্রাট করুন। প্রথমবার করার পর 9.9 MB এর Windows Nine Ultimate.ISO.gzip এবং আবার এক্সট্রাট করলে 11GB এর Windows Nine Ultimate.ISO ফাইলটি পাবেন।
তবে নাইনের স্বয়ংকৃয় ISo এর কারিশমায় আপনি একবার এক্সট্রাট করেও 11GB আকারের Windows Nine Ultimate.ISO পেয়ে যেতে পারেন, নাইনের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।
সূত্র: এখানে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।