...কিছুই বলতে আর ইচ্ছে করেনা। কিছুই লিখতে আর ইচ্ছে করেনা। কাকে বলব?? শোনার কে'ই বা আছে?? কেন বলব?? জানি কোন লাভ নেই এসব বলে! নিজের দেশে পরাধীনের মত বসবাস করছি।
ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য যতই চিৎকার করিনা কেন, জানি কোন লাভ হবেনা। যেদেশে মানবাধিকার শব্দটা শুধুমাত্র বই-পুস্তকে শোভা পায়, মানবাধিকার প্রতিনিয়ত পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়, সেই দেশে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে গিয়ে কান্নাকাটি করা শুধুমাত্রই "অরণ্যে রোদন"।
অনেকেই আমার লেখা পড়ে বিরক্ত হতে শুরু করেছেন। ভাবছেন, "বুঝছি বাবা!! ফেলানী হত্যার বিচার চাও। কিন্তু তাই বলে ব্লগে এত চিল্লাচিল্লি কেন!!??" আপনারা এরকম ভাবতেই পারেন। কিন্তু আমি এসব পরোয়া করিনা। কারন এই মূহুর্তে আমার প্রতিবাদ জানানোর এই একটাই পন্থা, এই একটাই ভাষা।
কারন আমার স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার অনেক আগেই হারিয়েছি। আজ যদি আমি সরকারের কাজের কোন সমালোচনা করতে যাই, তবে "দেশদ্রোহী" খেতাব পেয়েও যেতে পারি।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলার লোভে আমরা গাধারা যে পাপ করেছি, তার প্রায়শ্চিত্ত না করা পর্যন্ত আমাদের কারো রেহাই নেই। আমরা আজও ডিজিটাল সরকারের সেই পুরোনো এনালগ রাজনীতির শিকার। সরকারের কাছে আমাদের জীবনের আজ কোন মূল্যই নেই।
তারা আমাদের মূল্য শুধুমাত্র ৫ বছর পর পর কয়েক মিনিটের জন্যই বুঝতে পারে। তার পরে আমরা হয়ে যাই রাস্তার কুত্তা মত। যেই কুত্তার দিকে কর্তা-ব্যক্তিদের কারো আর নজর থাকেনা। তবে মাঝে মধ্যে যদি দয়ার বশবর্তী হয়ে কেউ ফিরেও তাকায়, তবে সেটাই হয়ে যাই তাদের মহানুভবতা। কিন্তু সেই কর্তা-ব্যক্তিরা একটাবার ও ভেবে দেখেনা যে, ৫ বছর পর পর তারাই আমাদের কাছেই হাত জোর করে ভোট ভিক্ষা করতে আসে।
আর আমরাও সব ভুলে তাদের পায়ের লাথ্থি খাওয়ার জন্য আবার তাদের সরকাই বানাই।
....অনেকেই ফেলানী হত্যার জন্য বি এস এফ কে জনসম্মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। আমি তাদের সাথে আমি কিছুটা দ্বি-মত পোষন করছি। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি, দাদাদের ইয়েতে তৈল মর্দনকারী এই সরকার কতটুকু কি করতে পারবে। অতএব বি এস এফ কর্তৃক আমাদের ফেলানী হত্যার প্রতিবাদের একমাত্র ভাষাই হতে পারে প্রতিশোধ।
রক্তের বিনিময়ে আমরা রক্ত চাই, জীবনের বিনিময়ে আমরা জীবন চাই, আমাদের বোন ফেলানী খুনের প্রতিবাদে আমরা বি এস এফ খুন করতে চাই!!
....জানিনা আমার এই কথাগুলো কতদুর পর্যন্ত যাবে। তবে আরেকজন ফেলানী বলির পাঁঠা হওযার আগেই আমাদের জেগে উঠতে হবে। বি এস এর এই আগ্রাসন আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে হলেও রুখে দিতে হবে। ফুলের জবাব আমরা ফুল দিয়ে দিব, লাঠির জবাব দিব লাঠি দিয়ে। কারন আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, সামনে এগুনো ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।