খামোশ, তর্জনি উঁচিয়ে আমাদেরকে বলতে হবে খামোশ। নির্বিচারে সীমান্তে গণহত্যা বন্ধ কর। ভারত-বাংলাদেশ কোন রাষ্ট্রের শাসকশ্রেণীর জন্যই এর পরিণতি ভালো হবে না। এমনিতেই ভারত আমেরিকান ললিপোপ চুষতে চুষতে নিজের জনগণের দিকে খেয়াল না রেখে, মিলিয়ন মিলিয়ন অভুক্ত শিশু, নারীসহ জনগণের এক বিপুল অংশের জন্য ন্যূনতম দু’মুঠো অন্নের সংস্থান করতে অপারগ, মুসলিমদের জন্য লোক দেখানো নানারকম প্রকল্প নিয়েও মুসলিম হত্যা বন্ধ করতে অপারগ ভারতীয় সরকার “ভোটের আগে মুসলমান, ভোটের পরে আস সালাম” এই নীতিতে চলছে। রাষ্ট্রের মদদে মুসলিম নিধন – ভারত ছাড়া পৃথিবীর খুব কম দেশেই দেখা যায়।
এখনো ভারতীয় নগর-জীবনে চ্যুত-অচ্ছ্যুৎ প্রবল প্রতাপে বিরাজমান। পাকিস্তান যতো বেশী মোসলমান হয়ে উঠছে, ভারত ততো বেশি হিন্দু হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে কী ভারতীয় বিএস এফ পাকিস্তানের সীমানা মনে করে! নাকি পাকিস্তানী মিলিটারি ১৯৭১ সালে বাঙ্গালিদের যেমন হিন্দু মনে করত, তেমনি বিএসএফও মনে করে সীমান্তের ওপাড়ে সবাই মুসলিম। মুসলিম নিধন করছে তারা। ফলে একটুকু হাত কাঁপে না।
বাংলাদেশকে “ ইসলামের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে প্রচার করার ক্ষেত্রে মনমোহন সহ অনেক কংগ্রসী নেতার অবদান রয়েছে।
সেদিন দেখলাম আইডিয়া অব জাস্টিস বইতে অমর্ত্য বাবু হান্টিংটন সাহেবের বরাতে গণতন্ত্র বোঝাচ্ছেন। হায় কপাল আমরিকার নব্য রক্ষণশীল বুশ গং দের ভাড়াটে বুদ্ধিজীবির ইতিহাস প্রকল্প থেকেই তো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলানের উপর আক্রমণের ঐতিহাসিক তত্ত্বের মাসলা দিয়েছিলো। যে কোন ইতিহাস প্রকল্প দেখলেই আমিভয় পাই। বিজেপিরও এই র’ম একটা প্রকল্প ছিল বা আছে।
এর সব ফেনা নীচে, কথা বলতে বলতে, ইতিহাস গ্যঁজাতে গ্যঁজাতে যা বলেছিল, তার মানে হল, হিন্দুদের উপর এছলাম ছড়ি ঘুরিয়েছে, হিন্দু হিন্দুকে শাসনের সুযোগ পায় নাই। অতএব, হিন্দুর উত্থান জরুর। পাকিস্তান ও ভারতের চিরশত্রুতা আমাদের উপর আছর করুক সেটা আমরা চাই না।
আমাদের দেশের মানুষ অসহায়ের মত ফ্যাল ফ্যাল করে, চোখের জল মুছতে মুছতে আর কতকাল রাষ্ট্রের সক্রিয়তার জন্য আর কতকাল অপেক্ষা করবে।
এখন দরকার খামোশের রাজনীতি।
আমাদের মাথার উপর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে বাধ দিয়ে (যেন বা আসমানে বাধ দিয়ে মেঘরাশি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা) যা করা হয়েছে তাতে আসলে জল পারমানবিক বোমা স্থাপন করা হয়েছে। প্রসংগত কইতে চাই, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত এলাকায় বহুত ইউরেনিয়াম আছে, এ সংবাদ আর এখন গোপন নাই।
বাম কান্ধে পৈতা পরা, ধুতি পরা ভারতীয় পুঁজিতন্ত্র ও যদি বিকাশ লাভ করে, তা’হলে বাংলাদেশের শ্রমিক পেটের দায়ে ভারতে যাবে, তাতে দোষের কি। এই সেদিনও আমাদের এলাকার লোকজন পারমিট নিয়া বাঁশ কাটতে ত্রিপুরায় যেতো। আইয়ুন শাহী ক্ষমতা কব্জা করার আগ পর্যন্ত ত্রিপুরার সাথে এক বিশেষ ধরনের ট্রানজিট ছিল।
পাকিস্তান আমলে ভারত-পূর্ব বাঙলা সম্পর্ক যা ছিলো, বাংলাদেশ হবার পর আরো নাজুক হতে হতে এখন নাই বললেই চলে।
দাদাগিরি ফলানোর মনোভাব ভারতকে ত্যাগ করতে হবে। সকলের কাছ থেকে ধার-বরাত করা যায় না। এতে মান-সন্মান থাকে না। ভারতের কাছ থেকেই সেই কারণে করার দরকার নাই।
ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লাভালাভ নিয়ে কথার খই ফোটানো আওয়ামী লীগের খয়ের খা অর্থনীতিবিদরা এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে।
নিশ্চয়ই প্রতিবেশীর সাথে আমরা দিন-রাত কাজিয়া-কেরেঙ্গাল করতে চাই না। আবার সারাদিন রাত শাপ-শাপান্ত করবে, আমার জমি গরু দিয়ে খাওয়াবে, আমার জমির ফসল কেটে নিয়ে যাবে, আস্তে আস্তে ঠেলতে ঠেলতে আমার বসত দখল করবে এটাও চাই না।
বড়ো হলেই যা কিছু তা করবেন, ঠিক না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জিন্দেগীতো যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পান নাই। বাংলাদেশের সব ঘর শহীদের ঘর। আমাদের দিল পলির মত নরম। কিন্তু সোজা মানুষ খেপলে বিপদ ঘোরতর।
ভারতীয় পুঁজিতন্ত্র দেমাগি হয়ে উঠেছে।
তা-ই বাংলাদেশকে পাত্তা দিতে চায় না। পাত্তা দিবে যখন আমরা রুখে দাঁড়াবো। ভারতের সামরিক শক্তির প্রতাপ-প্রস্ততি নিয়ে যারা মিথ তৈরি করে , তারা বাংলাদেশের শত্রু। যেমন বলে ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে আমরা তো এক মিনিটও টিকতে পারবো না। এরা আমাদের সামরিক বাহিনীর মনস্তত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
আমাদের সেনাবাহিনী পৃথিবীর যে কোন সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করতে সক্ষম, এই মনোভাবের প্রতিফলন প্রশিক্ষণ ও আয়োজনের মধ্যে থাকা দরকার। না হলে সার্ব্বভৌমত্বের মৌলিক নিয়ামক শক্তি তো থাকে না। ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে বেশী বেশী করে ইজরাইল- আমেরিকার দহরম-মহরম দেখে তো মনে হয় আগামী দিনে ভারত এই অঞ্চলে সংঘাত বাধাবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির মুখপাত্র হিসেবে যে সব জার্নাল বের হয়, তার একটি তো অন্য দেশ ( মানে প্রতিবেশি দেশে) আক্রমণ করার জন্য কী পরিস্থিতে ভারতের দায় বর্তাবে, সেটি নিয়ে আমার জ্ঞান গর্ভ করল। মাবুদ, এদের হাত থেকে আমাদের বাঁচান।
যে রাজনীতি পার্থক্যকে বিভেদে রুপান্তরিত করে, সেটা মাঝে মাঝে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। যে রাজনীতি হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্ককে ব্যবহার করেছে সে-ই রাজনীতি ভারতীয় কংগ্রসের মজ্জাগত। আমরা একবার পরেছিলাম বিজেপির পাল্লায়, এখন কংগ্রেসের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।