কোন কোন সময় আমি একা হয়ে যাই
কঠিন বাস্তব হলেও সত্য বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ দলে মাশরাফির নাম তালিকায় না রাখার প্রস্তুতি বিসিবি’র বোর্ড পরিচালকরা গোপনে সেরে রেখেছেন। অর্থাৎ বিশ্বকাপ মিশন ২০১১-তে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে মাশরাফিকে দেখা যাবে না এমন তথ্য খোদ বিসিবি থেকেই জানা গেছে। ২০১০ সালের শুরুতে ইংল্যান্ড বাংলাদেশে আসার পর মাশরাফি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামলেন কিন্তু খারাপ করাতে পরের ম্যাচে বসিয়ে দিলেন সাকিব। ‘মাশরাফিকে দরকার নেই’- একথা সাকিব প্রকাশ্যেই মিডিয়ার সামনে বলে ছিলেন। সেই থেকে শুরু মাশরাফি-সাকিব দ্বন্দ্ব।
আজও থামেনি সেই যুদ্ধ।
বিসিবিতে দু’টি গ্রুপ প্রকাশ্যেই মাশরাফি-সাকিব নিয়ে কথা বলেন। ৯ই জানুয়ারি মাশরাফি ফিটনেস পরীক্ষা দিতে ব্যাট হাতে মিরপুরের নেটে হাজির হবেন। মাশরাফির বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর ভাষ্য মতে- মাশরাফি ফিট। ৯ই জানুয়ারি মাশরাফির ব্যাটিং পরীক্ষা করা হবে এবং এক সপ্তাহ পরে বোলিং পরীক্ষা নেয়া হবে।
সবই ঠিক কিন্তু বিসিবি’র অন্দর মহল থেকে বেরিয়ে এসেছে বোমা ফাটানোর মতো তথ্য। বিশ্বকাপ ২০১১-এর মূল দলের তালিকায় মাশরাফির নাম রাখা হবে না! বিসিবি বেশির ভাগ বোর্ড পরিচালকরা ও সাকিব চায় না মাশরাফি দলে থাকুক। কারণ মাশরাফি এ পর্যন্ত যতোবারই ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন ততবারই তিনি আবারও মাঠে গিয়েই ইনজুরিতে পড়েছেন। বিশ্বকাপের মতো একটি বিশাল আসরে আমরা সে ঝুঁকি নিতে পারি না।
তাছাড়া আমাদের হাতে তো মাশরাফির বিকল্প আছেই।
এমন তো নয়, মাশরাফিকে ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং থেমে আছে। মূল দলে মাশরাফিকে রাখা হলো আর মাশরাফি ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি আক্রান্ত হলেন! তখনও আমাদের আবারও পরিবর্তন করতে হবে। বিশ্বকাপের মতো আসরে ইনজুরির চাপ বিসিবি নিতে রাজি নয়। শতভাগ ফিট ক্রিকেটারই বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।