আবার ধুলা জমতে শুরু করেছে সদ্য প্রসারণকৃত রাস্তার ধার গুলোতে, ফুটপাতে ;
যেখানে দু’দিন আগেও মানুষ বসত পা-ঝুলিয়ে।
চিরচেনা বন্ধুদের সাথে গ্রুপ করে আড্ডা দিতে গিয়ে মুখে সিগারেটের ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে
বন্ধুরা কেউবা করত বেকারত্বের গল্প;
কেউবা নতুন প্রেমে পড়ার পরে মেয়ে-বন্ধুকে নিয়ে নতুন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কেচ্ছা।
যেখানে ক’দিন আগেও কতগুলো মানুষ
কাঁধে বিদেশি বংশোদ্ভূত বাঁশির বস্তা নিয়ে বসে থাকতো;
ঐ এলো বলে- মালগাড়িকে পুলিশভ্যান ভেবে দৌড়ে পালাতো,
গাড়ি চলে গেলে আবার আগের জায়গায় এসে বসতো;
যেখানে ছেলে বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে আসা মেয়েরা আপত্তিকরভাবে হাটতে গিয়ে
গ্রুপ করে বসে আড্ডা দেওয়া ছেলেদের টিজিং-য়ের শিকার হতো;
যেখানে ভিক্ষা করা কয়েকদিনের জন্য সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো,
আর ঐ ভিক্ষুকদের একজনকে দেখা গিয়েছিলো সাভারের রাস্তায় ভিক্ষা করতে।
যে সড়কদ্বীপগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে প্রচুর টাকা,
সিটি কর্পোরেশনের লরি গাছগুলোতে পানি দিয়েছে সকাল-বিকাল, মানুষের খাবার পানির জন্য হাহাকার স্বত্ত্বেও।
যেখানে মানুষ সন্ধ্যার পরে লাল-নীল-হলুদ আলোকসজ্জা দেখতে আসতো মা-বোন-শিশু-সন্তান বা প্রিয়জনকে নিয়ে।
চারিদিকে দেখা যেত মোবাইল ফোন,
ক্যামেরার মুহূর্মুহূ ফ্ল্যাশ আর হাতের উপর হ্যান্ডিক্যাম একপাশ থেকে আরেকপাশে
লাল ইন্ডিকেটর জালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে “লো ব্যাটারি” দেখানোর আগ পর্যন্ত।
অথচ, দু’দিন যেতে না যেতেই
সেই সড়কদ্বীপের গাছগুলোতে মরিচা ধরতে শুরু করেছে।
ধুলোয় ভরে যেতে শুরু করেছে প্রকান্ড রাস্তাগুলো, রাতে আর আলোকসজ্জা দেখা যায়না।
বন্ধুদের আর ফুটপাত থেকে বড় রাস্তায় পা ঝুলিয়ে বসা হয়না ;
কারণ ওগুলো এখন অস্থায়ী চা-সিগারেটের দোকান আর নেশাগ্রস্তের বিছানায় পূর্ণ।
বাঁশিওয়ালাদেরও আর দেখা যায়না।
তারা হয়তো ঐ রাস্তায়ই রিকশা চালায়, "চা-গ্রম, চা-গ্রম" বলে চা বিক্রি করে কিংবা অন্য পেশায় লেগে গেছে।
মাঝে মাঝে আমার মন খারাপ হয়, তবুও ভাল লাগে যখন দেখি-
সেই ভিক্ষুক আবার ঢাকার রাস্তায় গলা চেপে গেয়ে চলে-“ আল্লা, আল্লা, দিয়া যান, আল্লা”
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা,
“যদি যোগ্য নেতা না দাও, তবে প্রতি জেলায় একবার করে বিশ্বকাপ দাও। ”
তবুও উন্নত হোক আমাদের এই দেশ শেরে-বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মত।
(আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপের অব্যবহিত পরে লেখা )
মিরপুর-২, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।