আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থানের জন্য বেশি সহাযক, কারিগরি উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য মালেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন

স্বাধীন দেশের রোবটিক নাগরিক

উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। কেউ কেউ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, কেউ কেউ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আবার কেউ কেউ ডাক্তার হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেডিকেল কলেজে চলে ভর্তির প্রস্তুতি। এই যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুদ্ধংদেহি মনোভাব চলে আসে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বাদশ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রতিবছর পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলেও সীমিত আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের সেখানে ভর্তির সামর্থ্য নেই। তাছাড়া অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্পন্ন বলে বিবেচিত হলেও তাদের ভর্তি ও টিউশন ফি মাত্রাতিরিক্ত। আমাদের দেশে পাস করা শিক্ষার্থীর তুলনায় মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড়ই অভাব।

সঙ্গত কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে ছুটে যায় নামিদামি কোচিং সেন্টারগুলোয়। সেখানেও অনেক বিপত্তি, আসন সংখ্যা সীমিত থাকার দরুন এককালীন মোটা অঙ্কের অর্থ অবিভাবকদের গুনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অবিভাবকদের পক্ষে কোচিংয়ের অর্থ জোগান দেওয়া কষ্টকর হলেও সন্তানের কথা চিন্তা করে অসাধ্য বোঝা বহন করতে হয়। এভাবেই শিক্ষার বাণিজ্যিকরণের ব্যাপ্তি দিনে দিনে বেড়েই চলছে। অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ এমনিতেই সীমিত। প্রতিবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তা আরও সীমিত হয়ে পড়ছে। যদিও গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কম, তা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত বলে সংশিষ্টরা মনে করছেন। দেশে মানসম্মত সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও অনেক কম। এই সুযোগে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

দেশে উচ্চশিক্ষার মান কমছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের দিক থেকে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সে তালিকার ওপরের দিকে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায় না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের দেশে একদিকে যেমন বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তেমনি পাস করার পর বেকার নামক যন্ত্রণাকে সঙ্গী করে অনেক যুবক যুবতীকে অভিভাবকের বোঝা হয়ে থাকতে হচ্ছে সঙ্গত কারনেই| বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কর্মসংস্থানের জন্য বেশি সহায়ক বলে বিবেচিত। এ দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিবেচনায় এ ধরনের শিক্ষাই বেশি উপযোগী।

বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে | বর্তমানে খুব আকর্ষনীয় দুইটি ইন্জিনিয়ারিং বিষয় হচ্ছে Aircraft Engineering Technolog এবং Marine Engineering Technology আমাদের দেশে শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন খুব সীমিত তাই যে সব মেধাবী শিক্ষার্থী এই বিষয়ে আগ্রহী তারা দেশের বাইরে গিয়ে এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে পারে। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় মালেশিয়া হল বর্তমানে এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার সেরা পছন্দ। খরচ আনুপাতিক হারে সামজস্যপূর্ন। এই বিষয়ে তথ্যর প্রয়োজনে ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ই-মেইল আইডি: পূর্বে প্রকাশিত পোষ্টে আলোচনা করেছিলাম মালেশিয়ায় প্রশিক্ষন গ্রহন পূর্বক বৈধভাবে কাজকরার সুযোগ অনেকের মেইলের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মালেশিয়ার ডিপি-১০ ভিসা পদ্বতি নিয়ে ধারনা দেওয়ার প্রত্যাশা রইলো।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.