আমাকে যদি পৃথিবির যেকোন দেশে থাকার সুযোগ দেয়া হয় ...তবুও আমি বলবো ...আমি এদেশে থাকতে চাই ... আমি জানি আমার দেশ ঘুনে ধরা ... মরচে পড়া ... তবুও ... আমার দেশ যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে দেশ হয় ... এটা আমার ( তরুন সমাজের ) দ্বায়িত্ব আমার দেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলা
২০১০ সালে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে ভালো একটি কার্যক্রম ছিল ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যসেবাকেন্দ্র চালু। প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহাকারীদের জন্য এটি একটি বড় খবর। গ্রামে এখন সহজেই এসব কেন্দ্র থেকে নানা ধরনের সেবা ও সুবিধা পাওয়া সম্ভব। দেশব্যাপী চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে চালু হওয়া এসব কেন্দ্রে নানা ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে সুলভেই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাপটপ বা নোটবুক কম্পিউটার। তবে এর দাম আরও কম হলে ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধা হবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন উপজেলায় চালু হয়েছে কম্পিউটার ল্যাব। এর মধ্যে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ল্যাব, যা গত বছরের উল্লেখযোগ্য একটি অগ্রগতি।
২০১০ সালের বড় ঘটনা ছিল ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে অনুষ্ঠিত এ মেলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির নানা উদ্যোগ সম্পর্কেসাধারণ মানুষ জানতে পেরেছে। এ মেলা পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতেও হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হচ্ছে মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার করে ই-কৃষি। এ বিষয়টি আরও ব্যাপক আকারে সারা দেশে করা গেলে খুব ভালো হয়। কী ধরনের মাটিতে কী ধরনের সার ব্যবহার করতে হবে বা পোকা দমনের ব্যাপারে নানা তথ্য কৃষকেরা মুঠোফোনের মাধ্যমেই পেতে পারবেন।
আখচাষিদের ই-পুর্জির বিষয়টি আরেকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। যেখানে পুর্জি (আখ ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদনপত্র) পেতে আখচাষিদের অনেক সময় লাগত, সেখানে ই-পুর্জির মাধ্যমে এখন এসএমএসের মাধ্যমেই পুর্জি পাওয়া যাচ্ছে।
গত বছর বড় অর্জন ছিল পাটের জিনোম আবিষ্কার। বাংলাদেশিরা এ রকম একটি উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছে, যা খুবই ভালো খবর। একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এ কাজে যুক্ত ছিল এবং অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা যে যথেষ্ট মেধাবী, তা-ও প্রমাণিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা গার্টনারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং খাতে ৩০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এ প্রতিবেদনে জানা গেছে, কী সমস্যা আছে এবং কীভাবে কাজ করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করা সম্ভব। বাংলায় ডোমেইন নাম লেখার কার্যক্রম চলছে, যা চালু হলে অনলাইনে বাংলাভাষা আরও বিস্তৃত হবে। তথ্য কমিশন এবার বাস্তবায়নের পথে।
ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যসেবা পাওয়া সম্ভব। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করা আরেকটি নাম সালমান খান। তাঁর খান একাডেমি নামক ওয়েবসাইট বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলেছে। এতে আমরা গর্ব করতে পারি, সালমান শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে নতুন একটা মাধ্যম বেছে নিয়ে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। আশা করব, খুব দ্রুত এ কাজটি বাংলায় যেন করা যায়।
ব্যাংকগুলোতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং ব্যাংকিং এখন স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিং ব্যবস্থায় চলছে। সব মিলিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে গত বছরের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।
অনুলিখিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।