আমি সন্ধানি চিল, খুজেঁ চলেছি অন্তরের নীল...
শেষ বিকেল সন্ধ্যেকে প্রায় ছুই ছুই অবস্হায় পৌছে গেছে
ঘরের কোনে জানালার পাশে পড়ার টেবিলটাতে বসে আছি
হাতে বুদ্ধদেব বসুর একখানা কবিতার বই
প্রায় অন্ধকার তাই পড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছে
কিন্তু উঠে বাতিটা জ্বালাতে ইচ্ছে করছেনা
বাইরে বেশ ঝড়ো বাতাস বইছে
হঠাৎই ঝম ঝম করে বৃষ্টির শুরূ
শব্দ পেয়ে মাথা তুলে বাইরে তাকালাম
আমার জানলাটা খোলা ছিল হয়তো বৃষ্টি দেখবো বলে। ।
যে আমি ঘরের বাতি না জ্বালিয়ে আনমনে বসে ছিলাম
সেই আমিই নাকি থাকতে না পেরে বারান্দায় চলে এলাম
একটা হাত কষ্ট করে গ্রিলের ভিতর দিয়ে বাইরে বাড়িয়ে দিলাম
বৃষ্টির ফোটা হাতে পড়তেই লোমগুলো শিহরনে দাড়িয়ে গেল
সেই শিহরন হাত হয়ে মাথার কোন এক অংশে পৌছালো
সে এখন ব্যাঙের ডাক শুনতে চাই
কিন্তু আমি এখন ব্যাঙের ডাক কোথায় শুনতে পাবো
আমি যে এখন কংক্রিটের অরন্যে
এটা মুখোশ পড়া মানুষ আর নেড়ী কুত্তার আবাস্হল
এ অরন্যে গাছ, পাখি , ব্যাঙ,ভালো সবকিছু বিলুপ্ত। ।
আমার একটা ভীষন ইচ্ছা ছিল এখন নেই
ইচ্ছা ছিল কোন এক বর্ষার প্রথম দিনে
এক গুচ্ছ কদমফুল নিয়ে তার সাথে দেখা করতে যাবো
চুলের খোপায় ফুল জড়িয়ে দিবো
আমি জানি খোপায় ফুল জড়াতে সে ভালোবাসে
ইচ্ছে না থাকলেও জোড় করে তাকে বৃষ্টিতে ভেজাবো
কিন্তু বললাম না এখন আর ইচ্ছে নেই
আমি বুঝে গেছে এ শহরে সবকিছুর দাম বাড়তি হলেও
ভালোবাসার দাম আজ সবচেয়ে সস্তা।
।
হুমায়ন আজাদের একটা কবিতা আমি মাঝে মাঝে পড়ি
তিনি লিখেছেন আমি বোধ হয় খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
যেমন হাসিতে শিশুর গালে পড়া টোল কিংবা ঘুমের মাঝে দীর্ঘশ্বাস। ।
আমি একবার একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখেছিলাম এ শহরে
ডাস্টবিনের পাশে এটো খাবার নিয়ে নেড়ী কুত্তা আর পথশিশুর লড়াই
কই এই নিদারুন দৃশ্য দেখেও তো আমার মারা যাবার ইচ্ছে হয়নি। ।
আমার বয়স বাড়ছে
আমার ভিতরে অনেক ধরনের সত্তার উপস্হিতি আমি এখন টের পাই
তারা আমায় বলে দিন দিন বুড়ো হচ্ছো আর এ সব কি লিখছো
আমি মনে মনে হাসি আমার অভিযোজিত হবার ব্যর্থতায়
আমার বোধ হয় নেগেটিভ বিবর্তন ঘটছে
তাই এ যুগে এসেও আমি ফিরে পেতে চাই নির্মল ভালোবাসার সম্পর্ক। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।