আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলিটিক্যাল জোকস - ১

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

১ একদিন এক নামকরা রাজনীতিবিদ বের হলেন হাঁস শিকারে। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর তিনি একটা হাঁস শিকার করলেন। কিন্তু হাঁসটা গিয়ে পড়ল বেড়া দেওয়া ক্ষেতের ভেতর। বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকতে যাবেন এমন সময় হাজির জমির মালিক। সব শুনে মালিক বললেন, : ‘হাসটা যেহেতু আমার ক্ষেতে পড়েছে সেহেতু হাঁসের অর্ধেকটা আমার।

’ ক্ষেপে গিয়ে রাজনীতিবিদ বললেন, : ‘হাঁসটা আমাকে না দিলে দুদিনের মধ্যে তোমার ক্ষেতের সবকিছু আমি নিলামে ওঠাব। ’ জমির মালিক বললেন, : ‘তাহলে ব্যাপারটা আমাদের এলাকার নিয়ম অনুযায়ী তিন থাপ্পড়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হোক। আমরা একজন আরেকজনকে তিনটা করে থাপ্পড় দেব। শেষ পর্যন্ত যে হার মানবে সে হাঁসটা পাবে না। ’ রাজনীতিবিদ ভাবলেন, বেয়াদপ কৃষককে কষে তিনটা থাপ্পড় মারা যাবে, হাঁসটাও পাওয়া যাবে।

তিনি রাজি হয়ে গেলেন। দুজন হাঁসটা নিয়ে গ্রামের মোড়লের কাছে গেলেন। কৃষকের কাছ থেকে সব শোনার পর থাপ্পড় পর্ব শুরু হলো। প্রথমে কৃষক তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে রাজনীতিবিদের গালে কষে তিনটা থাপড় দিলেন। অনেক কষ্টে সহ্য করে এরপর রাজনীতিবিদ প্রস্তুতি নিলেন কৃষকের গালে থাপ্পড় মারার জন্য।

তখন কৃষক বলে উঠলেন, : ‘আমি হার মানছি। হাঁসটা নেতা সাহেবকেই দেওয়া হোক। ’ ২ স্বৈরাচার এক শাসক নিজের ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প বের করার পর একদিন খোঁজ নিতে গেলেন। : কী, স্ট্যাম্পটা কেমন চলছে? : স্ট্যাম্প তো চলছে না স্যার। সবকিছু ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো আঠা দেওয়া হয় নাই।

: কী! ডাক তাকে। আঠার দায়িত্বে কে ছিল? আঠার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বললেন, : স্যার আঠা তো ভালোই দিয়েছি কিন্তু লোকজন তো আঠার দিকে থুতু দেয় না, থুতু দেয় উল্টো দিকে। ৩ এক নেতা যখন ভোটে দাঁড়ালেন, প্রচুর পোস্টার ছাপালেন। প্রেসের লোক এসে বলল, : ‘স্যার, এত পোস্টার ছাপালেন, বিলটা তো পাইলাম না। ’ নেতা বললেন, : ‘খাড়াও মিয়া, খালি সংসদে যাই, তারপর তো শুধু বিলই পাস করমু।

’ ৪ এক লোকের খায়েশ হয়েছে তিনি সংসদ নির্বাচন করবেন। দাঁড়িয়েও গেলেন ভোটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ভোট হলো। গণনা শেষে দেখা গেল, তিনি মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন।

লোকটির স্ত্রী তো রেগে আগুন। বলল, : ‘আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম, তুমি নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাস। তা না হলে তৃতীয় ভোটটা দিল কে?’ ৫ দুই ভোটার কথা বলছে- প্রথম জন : গেছিলাম ভোট দিতে, দিতে পারলাম না। কে জানি আগেই আমার ভোটটা দিয়া গেছে। দ্বিতীয় জন : তাতে কী! আমারটাও কে জানি দিয়া গেছিল, আমি আরেকজনেরটা দিয়া আসছি।

প্রথমজন : আমারে কি বেকুব ভাবছস? আমিও একই কাজ করছি! ৬ দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়ে কথা বলছেন, ব্রিটেন ও ভারতের দুই রাজনৈতিক কর্মী। ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্মী বলেন, : ‘গত বছর আমি দলের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে আমাদের এক কর্মিসভায় বক্তৃতা দেই। আমি বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও মূল্য দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম মাসে আমি কোন উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় মাসেও আমি তেমন কোন উন্নতি দেখলাম না, তবে আমি আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখলাম। তৃতীয় মাসে দেখা গেল, পার্টির বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের কথাও কিছু কিছু শোনা হচ্ছে।

এবার তৃতীয় বিশ্বের এক রাজনৈতিক কর্মীর পালা। তিনি বললেন, :“ গত বছর আমিও আমাদের পার্টির এক কর্মী সমাবেশের বক্তব্য রাখি। কর্মিসভায় সিনিয়র নেতাদের সামনে আমিও আপনার মতোই জোর গলায় বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম দিন আমি কিছু দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও আমি কিছু দেখলাম না, তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। ডান চোখটা তখনও মেলতে পারছিলাম না।

” ৭ অনেকদিন পর দুই বান্ধবীর দেখা। বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তার পর এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে বলল- : এবার তোর নিজের কথা বল। স্বামী-সংসার নিয়ে কেমন আছিস? : আর বলিস না, গত পাঁচ বছর খুব সুখেই কাটিয়েছি। এবার বুঝি সেটা শেষ হতে চলল। : কেন? স্বামীর সঙ্গে কি খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে? : না, এ ব্যাপারে ওর কোনো হাত নেই।

গত পাঁচ বছর ধরে তিনি তো দুর্নিতির অভিযোগে বিদেশে পলাতক ছিলেন। সামনের মাসেই তিনি দেশে ফিরে আসছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।