বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি টিকে আছে গণমাধ্যমে । রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মুখিয়ে থাকেন গণমাধ্যমের রুপালী পর্দায়, রঙ্গীন ছবিতে কিংবা কোন সুরেলা নারীর সুরে। গণমাধ্যম বেঁচে থাকে রাজনীতি নিয়ে- এমপি মন্ত্রীদের সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক আব্দোলনের ফিরিস্তি, সংসদের গালাগালির খবরে উপচে পরে পত্রিকার পাতা।
দেশের রাজনীতি য়েমন জনবিচ্ছিন্ন, গণাধ্যমও তেমনি জনবিচ্ছিন্ন। গণমাধ্যমে সাধারনের অংশগ্রহণ খুবই কম(বিটিভি ছাড়া)।
দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো বিদ্যুত সুবিধার বাইরে থাকার ফলে তারা গণমাধ্যম ব্যবহার করতে পারছেনা। তারা রাজনীতি বলতে বুঝে পাঁচ বছর পর লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়া। আর গণমাধ্যম বলতে বুঝে ছোট্ট সেই রেডিওটিকে। পেট বাচাতে যাদেও মাথার ঘাম পায়ে পড়ে তাদের আবার গণমাধ্যম। মফস্বল সাংবাদিকরাও রাজনীতির বলয়ের বাইওে নয় - কে গাজাসহ ধরা পড়ল, স্থানীয় এমপি কী আশ্বাস দিল, কার মামলার কী খবর, বিএনপি-আওয়ামীলীগের নেতা (!) কে হচ্ছেন, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আমাদের নেতাদের বলি খেলা।
আমাদের জরিনা-সখিনাদের দুঃখী মুখ গুলো আমাদের মিডিয়াগুলোতে আসেনা। টেলিভিশন খুললে মনে হয় এটা আওয়ামীলীগ – বিএনপির প্রচারযন্ত্র। সংবাদে আনা হয় প্রটোকল, অনুষ্ঠান দেখলে মনে হয় এটা কী বাংলাদেশ? না কি নিউইয়কের্র কোন জমকালো এলাকা। আর টেলিভিশন খুললে মনে হয় এটা একটা কিজ্ঞাপনের হাট।
তথাকথিত এ মাধ্যমকে আমরা কী নামে ডাকব- টাউন মিডিয়া, পলিটিক্যাল মিডিয়া, না বলব যে এটা একটা পলিটিক্যাল লিফলেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।