আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাহাত্তরের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা কোথায়?



এই প্রশ্নটি আমাকে কিছু দিন ধরে কুরে কুরে খাচ্ছে। মাস কয়েক আগে দেশের উচ্চতম আদালত থেকে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় '৭২-এর সংবিধান স্বতঃভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শীর্ষ আদালত সরকারকে '৭২-এর সংবিধান পুনর্মুদ্রণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে উচ্চতর আদালতের কিছু প্রত্যক্ষণ বা মন্তব্য রয়েছে। যেমন_ জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ 'বাংলাদেশি' শব্দটি অক্ষুণ্ন রাখা 'বাঙালি' শব্দের স্থানে। অন্যান্য কারণ দর্শানো ছাড়াও কোর্ট খোলা মন নিয়ে হয়তো ভেবেছেন যে বাংলাদেশের অধিবাসী হলে তাকে 'বাংলাদেশি' বলাটা স্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক নয়।

যেমন আমরা আমেরিকার আদিবাসীদের বলে থাকি 'আমেরিকান' বা ভারতের অধিবাসীদের বলা হয় 'ভারতীয়'। কিন্তু বিষয়টি অত সরল নয়। এর পেছনে অনেক উপাদান জড়িত। এ প্রশ্নে পরে আলোচনা করতে চাই, সুযোগ পেলে। এ ধরনের আরো কিছু গৌণ বিষয় সম্পর্কে উচ্চতর আদালত মন্তব্য ও বক্তব্য রেখেছেন।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর বস্তুত সরকারের আর কিছু করার থাকে না_বাস্তবায়ন করা ছাড়া। কিন্তু সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আচরণ থেকে বোঝার উপায় নেই আমাদের অবস্থান কোথায়। আমার মতো সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রধান জিজ্ঞাসা হচ্ছে, আমরা কোন সংবিধান দ্বারা শাসিত হচ্ছি এ মুহূর্তে? পঞ্চম সংশোধনী-পূর্ব ('৭২-এর সংবিধান) না পঞ্চম সংশোধনী-উত্তর (জিয়া-এরশাদের কর্তিত-পরিবর্তিত) সংবিধান দ্বারা? না আইনমন্ত্রী, না প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জনগণের কাছে সুস্পষ্ট করে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন। আমরা যদি পঞ্চম সংশোধনী-উত্তর সংবিধান দ্বারা এখনো শাসিত হয়ে থাকি, তাহলে সরকার শীর্ষ আদালতের রায় অমান্য করছে, আর যদি পঞ্চম সংশোধনী-পূর্ব সংবিধান দ্বারা শাসিত হয়ে থাকি, তাহলে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই কেন? কেন আমাদের আলো-আঁধারিতে রাখা হচ্ছে?। অবশ্য ইতিমধ্যে আদালতের একটি নির্দেশ সরকার পালন করছে বলে জানা যায়।

সরকার '৭২-এর সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করছে। এ নিয়ে অবশ্য কৌতুকপ্রিয় রাজনীতিবিদ এমপি সাকা চৌধুরী রসিকতা করতে ছাড়েননি। তাঁর সরল মন্তব্য "সরকার এখন 'মুদ্রাকর'। " এতেও আমার মতো ইতরজনের সংশয় যাচ্ছে না_এই সরকার কি সত্যি সত্যি '৭২-এর সংবিধান পুনঃস্থাপন করবে? যদি করে তাহলে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা কই, কোথায়? তারা তো বলছে না স্পষ্ট করে যে '৭২-এর সংবিধানে দেশ ফিরে এসেছে; বলছে না তো যে '৭২-এর আদি সংবিধানে যেসব স্থানে বা বিধিতে কালের পরিবর্তনের কারণে কোনো বিধির মধ্যে সংশয় বা সাংঘর্ষিক উপাদান রয়েছে, সরকার শুধু সেসব স্থানে বা ধারায় আইনানুগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনবে। সেই উপাদানগুলো কি, সরকার জনগণের কাছে তুলে ধরুন তাদের বক্তব্যসহ।

কিছু দিন আগে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে সংবিধান দিবস (৩ নভেম্বর) পালিত হয়েছিল_সেখানে কোনো কোনো বক্তা '৭২-এর সংবিধানের কোনো কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন বর্তমানে কথিত আদিবাসীদের অবস্থান নিয়ে সংবিধানে কিছু স্পষ্টতা আনা অথবা বর্তমানে যে বলা হয়েছে কোনো দলীয় সংসদ সদস্য যদি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ বাতিলযোগ্য। আবার অনেকে বলেছেন, সংবিধানের এই অবস্থান গণতন্ত্রের নীতিবিরুদ্ধ ও মৌলিক অধিকারবিরুদ্ধ এবং স্পষ্টত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবিরোধী অবস্থান। ইতিমধ্যে এরশাদ আনীত সপ্তম সংশোধনীও অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু এহ বাহ্য! সংবিধানবহির্ভূত পন্থায় কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ প্রশ্নে সরকার ইচ্ছা করলে আইন প্রণয়ন করতে পারে। তবে বর্তমানে সংবিধানের যে উপাদানটি '৭২-এর সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্টত সাংঘর্ষিক অবস্থানের সৃষ্টি করেছে, তা হলো এরশাদ সংশোধিত সংবিধানের ২ক ধারাটি, যেখানে বলা হয়েছে 'প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে। ' অন্যদিকে '৭২-এর সংবিধানে এরূপ কোনো বাধা নেই। সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনা প্রসঙ্গে ৮(১) রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে ঘোষণা করা হয়েছে_যেমন 'জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা_এই নীতিসমূহ এবং তৎসমূহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে। ' এই সংবিধানে ১২ ধারায় বলা হয়েছে_ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, (গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার, (ঘ) কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।

স্পষ্টতই ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ২ক ধারার অন্তর্ভুক্তি '৭২ সংবিধানের ১২(খ, গ) ধারার সঙ্গে অসংগত ও সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান করা হয়েছে_যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের আদি সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবনায়_যেখানে ছিল : আমরা বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি; আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যেসব মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল_জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূল নীতি হইবে; এর স্থলে জিয়া লিখলেন_আমরা অঙ্গীকার করিতেছি...প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল_সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে; এ ছাড়া সংবিধানের ললাটে আছে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' লিখনটি। ধর্মনিরপেক্ষতাকে একেবারেই বর্জন করা হয়েছে অর্থাৎ এখন থেকে প্রজাতন্ত্র ধর্মের ব্যাপারে পক্ষ নেবে, কোন পক্ষ নেবে তা ললাট লিখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এ ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

এই সাংবিধানিক পরিবর্তন ও পরবর্তীকালে রাষ্ট্রধর্ম সংযোজন অমুসলমান নাগরিকদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে, তারা নিজ বাসে পরবাসী হয়ে পড়ে বলে তাদের ধারণা। তারা গড়ে তোলে 'হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ' নামে একটি আধা-সাম্প্রদায়িক সংগঠন, যার উদ্দেশ্য পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী বাতিলকরণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার অর্জন করা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনমন্ত্রী রুটিন বক্তব্য মোতাবেক আশ্বাস দিয়েছেন যে '৭২-এর সংবিধানে প্রত্যাবর্তন করা হবে তার সকল মৌলিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা করেই, যদিও তিনি বিশদ ব্যাখ্যায় যাননি। এতদসত্ত্বেও আমার সংশয় দূর হয় না_সত্যিই কি আদি সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আইনমন্ত্রীও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। আমার আশঙ্কার কারণ একাধিক, যা আলোচনা করা প্রয়োজন।

১। আমার সন্দেহ জাগে বর্তমানের আওয়ামী লীগ সত্যিই কি '৭২-এর সংবিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ দল। দলে বিভিন্ন ধর্মের সদস্য থাকলেই দল ধর্মনিরপেক্ষ হয় না। বড় জোর বলা যেতে পারে অসাম্প্রদায়িক। বিএনপিতে গয়েশ্বর, নিতাই, গৌতম গংরা রয়েছেন, তাই বলে কি এই দলটি ধর্মনিরপেক্ষ? ধর্মনিরপেক্ষতা একটি মহৎ আদর্শ।

এই আদর্শকে মনে-প্রাণে গ্রহণ ও এই নীতির বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই দল ধর্মনিরপেক্ষ বা সেক্যুলার হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ ও বর্তমানের আওয়ামী লীগের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নইলে গত নির্বাচনে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগের ছোট-বড় কোনো নেতাই ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি উচ্চারণ করেননি কেন, তাঁরা বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ 'অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি' চালু করবে। জামায়াতের কথা বাদই দিলাম, বিএনপির কাছেও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি নিষিদ্ধ শব্দ (ট্যাবু)। আওয়ামী লীগও কি সেই খাতায় নাম লেখাতে চায়, আমার বিনম্র প্রশ্ন।

আবারও বলি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা এক বিষয় নয়। একটি দল ধর্মভিত্তিক হয়েও অসাম্প্রদায়িক হতে পারে আচার-আচরণে। জিন্নাহর মুসলিম লীগ মুসলিমদের দল হলেও অসাম্প্রদায়িকতা নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল। ব্যক্তি জিন্নাহ সব অর্থেই সেক্যুলার ছিলেন, যদিও তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেছেন ব্যক্তিস্বার্থে। ইসলামকে ব্যবহার করেছেন মুসলিম জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশকে সাম্প্রদায়িক সীমারেখায় ভাগ করে ছেড়েছেন।

২। আওয়ামী লীগ মুসলিম ফোবিয়ায় ভুগছে। তাদের আতঙ্ক তাদেরকে এই বুঝি কেউ অধার্মিক, ধর্মহীন, ইসলামবিরোধী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে। তারা ধরেই নিয়েছে, অমুসলিমরা হলেন তাদের ভোট ব্যাংক, তাদের আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। অতএব ক্ষমতায় এলেই তাদের মুসলিমপ্রীতি বেড়ে ওঠে, চেষ্টা কেমন করে জামায়াত-বিএনপি ভোট ব্যাংকে হানা দেওয়া যায়।

আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের জানা উচিত আওয়ামী লীগের চরিত্র জেনেই জনগণ তাদের ভোট দেয়, তারা জানে যে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী, তাদের নতুন করে মুসলমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। ৩। আওয়ামী লীগ যদি ধর্মনিরপেক্ষ দল হয়ে থাকে, তাহলে তারা কেন ভোটের আগে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জলিল সাহেবকে দিয়ে ধর্মান্ধদের সঙ্গে চুক্তি করে ওয়াদা করেছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে কোনো ইসলামবিরোধী আইন প্রণয়ন করবে না? তাদের ভাব এমন_আমরা খাঁটি ইসলামী দল তবে 'অসাম্প্রদায়িক'। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের তো এই লিখনের প্রয়োজন ছিল না, বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন, কামরুজ্জামান, মনসুর আলী কি মুসলমান ছিলেন না? দলের মধ্যেই অমুসলমান সদস্যরা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পরিগণিত হলেন। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, 'ঈশ্বর আল্লাহ তেরা নাম, সবকো সুমতি দে ভগবান!' লীগ এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করলেও পারত।

৪। তাহলে কি বুঝব যে আমরা 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' থেকে 'আওয়ামী লীগ' হয়ে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' হওয়ার পথ ধরেছি? আমার ভারি কষ্ট হয় এ কথা ভাবতে! এই যদি সার্বিক অবস্থা হয়, তাহলে '৭২-এর সংবিধানে ফিরব কেমন করে? আমি গোড়াতেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, আদি সংবিধানে প্রত্যাবর্তনে বাধা কোথায়? বাধা 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' হওয়ার প্রবণতা, নিজেদের ভালো মুসলমান প্রমাণের প্রবণতা। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়ার আগে এবং পরেও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে একাধিকবার বলেছেন, 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' সংবিধানের ললাটে থাকবে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও থাকবে। এটা নাকি ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইনমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একাধিকবার এ ধরনের কথা বলেছেন।

'৭২-এর মূল সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের এটিই সবচেয়ে বড় বাধা। সংশোধিত '৭২-এর সংবিধানে প্রত্যাবর্তন করলেও অমুসলমানরা চিরকালের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হবেন সাংবিধানিকভাবে। তফাত কেবল জিয়া-এরশাদ করেছিলেন গায়ের জোরে, আর এঁরা করবেন সাংবিধানিক পন্থায়। ফল একই। হিন্দু নাগরিকরা স্বস্তি পেতে পারেন গীতার শ্লোক আউড়িয়ে_'মা ফলেষু কদাচন'_কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে নয়।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।