র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কে টি এম হাবিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন- রফিকুলের শাশুড়ি লিপি আক্তার, মো. আলী মোহাব্বত (৩৬), ফজলুর রহমান (৫৩) ও মিজানুর রহমান মন্টু (৪১)।
তাদের সবাইকে বুধবার উত্তরা র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়। তবে এ সময় তারা কেউ কথা বলেননি।
হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লিপি আক্তার জিজ্ঞাসাবাদে লোক ভাড়া করে রফিকুলকে খুন করানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
“লিপি বলেছেন, তার ছোট মেয়ের স্বামী রফিকুল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপুর্বক অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তার সাথে। এ কারণে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি। ”
মূলত মহব্বতের সঙ্গেই এই অর্থ লেনদেন হয় বলেও র্যাবকে জানিয়েছেন লিপি।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে অপহৃত হন ঢাকার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজুমদার।
ওই রাতেই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তার হাতকড়া পরা লাশ পাওয়া যায়।
র্যাব কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে ফজলুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য; তিনি র্যাবেও কাজ করেছেন। এ কারণে রফিকুল অপহৃত হলে গুজব ছড়ানো হয় যে র্যাবই তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
হত্যাকাণ্ডের পেছনে জমি নিয়ে বিরোধের কোনো বিষয় রয়েছে কিনা জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ করলে তা জানা যাবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।