ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরিক্ষায় "খ" ও "ঘ" ইউনিটে মাদরাসা থেকে আলিম পাশ করা ছাত্ররা প্রতি বছরের মত এবারও ভাল ফলাফল করেছে। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ১ম ৫ জনই মাদরাসা থেকে পাশ করা। তারা এত ভাল রেজাল্ট করার পরও তাদের পছন্দ মত সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারবে না। কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকরা শর্তারোপ করেছেন যে,যারা 'এইস এস সি" পর্যায়ে ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজী পড়ে নাই তারা-১০ সাবজেক্ট
বাংলা
ইংরেজী
আই আর
অর্থনীতি
ডেভোলপমেন্ট স্টািডজ
ভাষাবিজ্ঞান
উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টািডজ
সমাজিবজ্ঞান
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ও
স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে ভর্তি হতে পারবে না। তাদের অপরাধ তারা "এইস এস সি" পর্যায়ে ১০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজী পড়েছে।
এটাই কি তাদের অযোগ্যতা? যদি তারা ১০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজী পড়ার কারনে অযোগ্যই হবে; তবে যারা ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজী পড়ে আসে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা দূরের কথা মাঝ পথেই ছিটকে পড়ত। ১ম ১০ জনে ৫ জন এবং ১ম ৫ জনই যদি হয় মাদরাসা থেকে পাশ করা তাহলে তাদের অযোগ্য বলি কীভাবে? উচি্ত ছিল তাদেরকে পুরস্কৃত করা। কারণ তারা এক অসম প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে শুধু টিকেই থাকেনি বরং ১ম ৫টি সহ মেধা তালিকার এক বিরাট অংশ দখল করেছে।
অধিকার বঞ্চিত এসব ছাত্রদের কয়েকজন আদালতে রিট করল। আদালত ন্যায়বিচার করলেন।
ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শর্তারোপ কে অবৈধ ঘোষনা করলেন।
আদালতের রায় মেনে না নিয়ে বিশ্বিদ্যালয় প্রশাসন সকল ছাত্রের শিক্ষা জীবন নিয়ে ছিনমিনি খেলছে। ইতোমধ্যে ২ বার সাক্ষাতকার স্থগিত করা হয়েছে। সেশন জটের দিকে যাচ্ছে ছাত্রদের শিক্ষা জীবন।
মেধা কে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা কী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই? নাকি তারা এখানেও কোমলমতি ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতির নোংড়া খেলা খেলবেন?
আসলে গুনের সমাদর করার যোগ্যতা ঢাবি প্রশাসনের আছে কা না তা নিয়েই আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।