আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলালায়ন সহ বানিজ্যিক প্রতিষ্টান গুলোর প্রতারনা, অসংগঠিত ভোক্তা ও কিছু আইনি কথা



যারা বাংলালায়ন এর আনলিমিটেড প্যাকেজ ব্যাবহার করে তাদেরকে সাম্প্রতিক সময়ে কোন ধরনের নোটিশ ছারাই লিমিটেড ব্যাবহারের প্যাকেজ এর মধ্যে নিয়ে আশা হয়েছে। একজন ব্যাবহারকারী এখন কতটুকু ব্যাবহার করতে পারবে তাও নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। তাদের হট লাইন থেকে একটা তথ্য দেওয়া হয় (যদিও রাত ১২ টার পরে ছাড়া কখনও লাইন পাই না) তো তাদের তথাকথিত কাষ্টমার কেয়ার থেকে অন্য তথ্য দেয়। এমনকি একই কাষ্টমার কেয়ার এর দুজন ২ মিনিটের ব্যাবধানে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেয়। আমরা সাধারন ভোক্তারা এসকল বানিজ্যিক প্রতিষ্টান গুলোয় নিয়মিত প্রতারনার শিকার হচ্ছি। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) তাদের কাজ তেলের দাম বাড়ার পর দু-একটা সংবাদ সম্মেলন করার মাঝে সিমাবদ্ধ রখছে। ভোক্তা-অধিকার সংরৰণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, “কোন ব্যক্তি প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷” এবং ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে, “কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷” আমরা ব্যাবহারকারীরা যদি সচেতন ও সংগঠিত হতাম তাহলে এসব বানিজ্যিক প্রতিষ্টান আমাদের এভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করতে পারত না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.