কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর
লিখেছেন:মাসকাওয়াথ আহসান
সূ্ত্র: নতুন দেশ
শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পছন্দ করি। উনি হাসিখুশী মানুষ। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে ‘জনগণের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর উত্তর’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে ঘণ্টা দুয়েক উনাকে কাছ থেকে দেখি। এই দুইঘন্টা আমি উনার মনোজগত সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে চেষ্টা করি। উনার মেধা বেশ ভালো।
কারণ দুইঘন্টা কোন রকম সেন্সরশীপ বা ডিলে সুবিধা ছাড়া লাইভ অনুষ্ঠানে ফায়ারিং স্কোয়াডে বসে হাসিমুখে কথা বলার যে ক্ষমতা আমি দেখেছি, তাতে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের দীপ্তি সুস্পষ্ট। স্টুডিওতে ঢোকার আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিরকম টেনশন হচ্ছে। উনি বললেন ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে ঠিক এইরকম লেগেছিল। তার সেন্স অব হিউমার ভালো। সব মিলিয়ে মহিলা আর যাই হোক গম্ভীর এলিট আন্টিদের মতো বোরিং না।
উনি ইউনুস সম্পর্কে যখন বললেন, গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হবে, তখন তাকে ত্রিকালদর্শী টিরেসিয়াস মনে হয়েছে। উনি এই কথাটা শুধু ইউনুস স্যার সম্পর্কেই বলেননি। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক বিপর্যয় দেখে উনি নিশ্চিত হয়েছেন হাওয়া ভবনের গরীবের রক্ত চোষার কারণে বিএনপি গত নির্বাচনে ধরা খেয়েছে। সুতরাং এটা একটা অটো সাজেশন। আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপি-ব্যবসায়ী-কর্মীদের গরীবের রক্তচোষার পরিমাত্রার ওপর ২০১৩ র নির্বাচনের ফল নির্ভর করছে।
দুর্নীতিবাজ প্রতিটি মানুষের সামনে বাঁধিয়ে রাখার মতো বাণী চিরন্তনী- গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হবে।
ইউনুস স্যার গোলকের সামাজিক ব্যবসায় সফল হবেন আমি নিশ্চিত। কারণ অর্থনীতি বুড়ো হয়ে গেছে। সাহিত্য আর বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা সময়ের চেয়ে এগিয়ে। আর অর্থনীতির একশো দুশো বছর আগের পান্ডুলিপি নিয়ে আসেনি।
‘গ্রোথ উইথ ইকুইটি’ আর ‘সোশ্যাল বিজনেস’ এছাড়া কোন দিকনির্দেশনা নেই। জিডিপি গ্রোথ দিয়ে গোলকের উন্নয়ন মাপার যে আউটডেটেট পদ্ধতি অর্থনীতির চিকিৎসকরা প্রেসক্রাইব করেছেন তা বাংলাদেশে সম্পদের আকাশ-পাতাল ব্যবধান তৈরী করেছে। বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-ট্রান্সকম পুঁজিপতির সঙ্গে তাদের খোলা মিডিয়ার সাবএডিটরের বিত্তের ব্যবধান, শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর এলাকার ভোটার অনাহারী ফাহমিদা খাতুনের অর্থনৈতিক সামর্থ্য (কমপক্ষে শাড়ীর সংখ্যা), খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাস্তুহারা মারিনা বেগমের বিত্তের পার্থক্য (কমপক্ষে কসমেটিকসের মান কারণ শফিক রেহমান ফেয়ার এন্ড লাভলী হবার জন্য খালেদার কসমেটিকস আওয়ামী লীগের বাদামী মন্ত্রীরা চুরি করেছেন জানিয়ে ঘেউ ঘেউ করেছেন) আকাশ-পাতাল। একইভাবে ইউনুস স্যারের অর্থনৈতিক সামর্থের সঙ্গে জোবরা গ্রামের গ্রামীণ ব্যংকের প্রথম সদস্যের কোন তুলনাই হয়না। আবেদ স্যারের মেয়েটির ক্রেডিট কার্ডের সামর্থ্যের সঙ্গে কাঁথা সেলাইয়ের মার রেশন কার্ডের পার্থক্য ভয়ংকর।
গরীবের রক্ত না চুষলে এরকম ‘গ্রোথ উইদাউট ইক্যুইটি’ সম্ভব হতো না। জয়তু উন্নয়নের রসট্রো মডেল।
হৃদয়হীন অর্থনীতির উপজাত আজকের ঢাকা শহরের গজদন্তের মিনার। বাংলাদেশে দুই শতাংশ হ্যাভস আর আটানব্বুই শতাংশ হ্যাভ নটস অর্থনীতির রূপকার অর্থনীতিবিদ সাইফুর রহমানের সলিল সমাধির পরে এতোদিন গরীবের রক্তচুষে পার পেয়ে যাওয়া মানুষেরা ধরা খেতে শুরু করলেন। অধ্যাপক ইউনুসের কথিত ধরা খাওয়ার সমান্তরালে তার গবেষণা বান্ধবী হিলারী উইকীলিক্সের ফাঁদে ধরা খেলেন।
খালেদা জিয়া আগেই ধরা খেয়েছেন তদীয় পুত্রের উন্নয়নের ‘হাওয়া মডেল’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে। হাসিনা তদীয় পুত্রের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন’ করে এখন প্রতিদিন আওয়ামী লীগের আদিম শাসন-অনাচার ধরা খাচ্ছে। তাই শেখ হাসিনার ইউনুস সম্পর্কে উক্তি একটি রিয়ালাইজেশন। বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের জন্য ফান্ড ট্রান্সফার আমার চোখে বা ইউনুসের বিদেশী টাকার ফান্ড ট্রান্সফার প্রশাসক মুহিতের চোখে একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এরসঙ্গে ইউনুসের ব্যক্তিগত সততার বা অসততার সংশ্লেষ নেই।
বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের উন্নয়ন কাজে শেখ হাসিনা যদি সেরকম কিছু করে থাকেন, আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইউনুস-শেখ হাসিনা দুজনেই সৎ। নরওয়ের সেরা সাংবাদিক বিবিসির কাছে বলেছেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইউনুসের অসততার কোন প্রমাণ তিনি পাননি। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত অসততার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই।
কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগের নেতাদের গরীবের রক্ত চোষা বা ধরা খাওয়া কোন ব্যাপারেই শেখ হাসিনা কিছুই করতে পারেন নি, গত দুবছরের পারেননি, ভবিষ্যতে পারলে খুব খুশী হবো।
অধ্যাপক ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গরীবের রক্ত চোষা বন্ধ করতে পারেন নি। কারণ কেইন্স অর্থনীতি পড়ে যিনি বড় হয়েছেন, যার বান্ধরী ‘ঘষেটি বেগম’ হিলারী তিনি জোবরা গ্রামের সুফিয়ার দু:খ কি করে বুঝবেন, আর যার বাবা সওদাগর ছিলেন।
ইউনুস নোবেল কমিটির বিবেচনার অর্থনীতির মানবিক তত্ত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু যেসব দেশে সরকারী বিনিয়োগের সম্ভাবনা নাই, সেইখানে গ্রামীণ অর্থনীতিকে কিছুটা লিকুইডিটি ও সচলতা দিতে ইউনুসের কাবুলীতত্ত্ব সক্ষম। এহচ্ছে চুঁইয়ে পড়া কাজের বিনিময়ে খাদ্য অর্থনৈতিক নাটকের বিকল্প।
ফলে শান্তির আশার পদকটি তাকে দেয়া হলো। নোবেল পদক জীবিত মানুষ পান। যাতে এই সম্মানের শক্তিতে কিছু মানব কল্যাণ লোকটা করতে পারেন। কিভাবে ইউনুস মানব কল্যাণ করবেন যখন জাতির বুক গ্যালিভরের বুক হয়ে গেলো প্রথম আলোর উৎসাহদাত্রী পোস্টারে।
ঢাকার সুশীল মধ্যবিত্ত অক্ষম সমাজ অশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতাদের পায়জামাখোলা রাজনীতি আর হরতালে ক্লান্ত হয়ে ভাবলো এই আমাদের মাহাথির।
কিন্তু রাজনীতিতে এখনো বাতাবী লেবুর ফুটবল প্রচলিত, দেশের চেয়ে ক্ষমতা বড়, সেখানে ইউনুস বেমানান। ঢাকার বিগ মাউথ সুশীল সমাজের স্তুতিতে ইউনুস মাহাথির হবার পথে পা বাড়িয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হলেন শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর পেশায় ইউনুস-মতিউর রহমান বা এরকম কোন শিক্ষিত বড় খেলোয়াড় ঢুকতে দিতে চাননা। নতুন হানিফ বনাম পুরোনো দেলোয়ার বাতাবী লেবু ফুটবল এক এগারোর ইনজেকশন দিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে মাইনাস টু কমেডিতে বাংলাদেশ সময় নষ্ট করলো।
আবার যেই লাউ সেই কদু। লর্ড ক্লাইভ আর জলপাই কমেডিতে কিছু গ্রেফতার বাণিজ্য শেষ শিম্পাঞ্জী রিপাবলিকের গোল্ড ফিস মামোরী ভোটাররা ৯৫-০১এর হাজারী শাসনের কথা তখন ভুলে গেছে। তারেকের হাওয়া ভবন আর বাংলাভাই কেলেংকারি সূত্র ধরে শিম্পাঞ্জী আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ী কলাগাছদের ভোট দিয়ে দিলো। কারণ বিএনপির প্রার্থীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খেটে ফিরেছে, তার বিপরীতে আওয়ামীলীগের সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেয়া ঋণ খেলাপী, সে খবর আমজনতার অজানা।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী ছয় আসনের বিকল্প ধারার প্রার্থী হিসেবে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আমি বাঘা-চারঘাটের আমজনতার পছন্দের, কিন্তু আমার মার্কা তাদের শিক্ষণে নেই। ইউনিভার্সিটির বিতর্ক সংগঠন, সিভিল সার্ভিস, সাংবাদিকতার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সততা, পলিসি মেকিং সক্ষমতা এসব কিছুই কাজে আসেনি। কারণ আমার নৌকা বা ধানের শীষ ছিলনা। আওয়ামী লীগের তৃণমূল যাকে নির্বাচন করবে, শেখ হাসিনা তাকে টিকেট দেবেন, এই সততার বয়ানে তুষ্ট হয়ে আমি আওয়ামী লীগের টিকেটের অযোগ্য ভেবে কোন লবি করলাম না। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর চেয়ে এরশাদ বেশী ভোট আনতে সক্ষম তাই মহাজোটের টিকেট আমার ভাগ্যে জুটলো না।
পরে যখন দেখলাম তৃণমূলের পাঁচ জন বাদ দিয়ে লালমনিরহাটের একজন ব্যবসায়ীকে রাজশাহী-৬ এ আওয়ামী লীগ নমিনেশান দিলো, সেখানে গরীবের রক্তচোষার অশনি সংকেত দেখলাম। সুতরাং অন্তত জনগণের কাছে তথ্যপ্রযুক্তির খবর পৌঁছে দেয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ইলেকশনে নেমে গেলাম। কারণ তথ্যই গরীবের রক্তচোষা কমাতে পারে। টাকা নয় তথ্যই দারিদ্র দূরীকরণের শেষ অস্ত্র। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী প্রার্থীর সামনে আমি ছিলাম ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার।
‘গরীবের রক্ত চোষা’ নব্য আওয়ামী বণিকের মুখে লবণ দেয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না, মানুষ তখন মার্কার জোয়ার আর শাড়ি-টাকা-লুঙ্গি-সোয়েটার-ফ্যাকটরীতে চাকরীর প্রলোভন আর ফেনসিডিল ডিলিরিয়ামে, এর সামনে কিসের তথ্য প্রযুক্তি।
আওয়ামী লীগের অর্থনীতিবিদেরা মহাজোট জিতলে বাজার দর সস্তা হবে এরকম একটি সাদাকালো-মূলা পোস্টার ঝুলিয়ে দিলো। আমজনতা ভাবলো শায়েস্তা খান মহাজোটের অর্থনীতিবিদ সম্ভবত। সুতরাং নানারকম ডিসেপশনের মধ্যে ফখরুদ্দীন-মঈন জেমস বন্ডেরা যখন হাসিনা-খালেদা দুজনকেই শত্রু বানিয়েছেন, তখন অপেক্ষাকৃত আগে গরীবের রক্ত চুষেছে, আমজনতা প্রায় বিস্মৃত এরকম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবার পক্ষে রায় দিলেন। সেই রায় নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী নাটকে রাং দে বাসন্তী করে রাজনীতিতে নবজাতকদের দিন বদলের গান জয়যুক্ত হলো।
বিজয়ী প্রার্থী আমাকে ফোন করে জামানত বাজেয়াপ্তের অভিনন্দন জানালেন। গণতন্ত্রের সুধা পান করে ঢাকায় ফিরলাম। আমার বন্ধুবান্ধব কাউন্সেলিং করলো। এসব বাদ দে রাজনীতি করতে পয়সা লাগে। গান্ধি-মুজিব-জিন্নাহ-নেহেরু-তাজউদ্দীন কারো পয়সা লাগেনি।
কিন্তু এখন টাকাই বাংলাদেশ রাজনীতির খোদা।
ইউনুস রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণার পর হাসিনা সুদখোর বলে টন্টিং করলেন, যেন উনার দলের নেতারা সব সততাখোর। আওয়ামী লীগ টন্টিং করে বাম বুদ্ধিজীবীদের বিএনপিতে ঠেলে দেয়। ইউনুস ওদিকে না গিয়ে নাকে খত দিলেন। সোশ্যাল বিজনেস সূত্র ধরে ওবামার গুরু হয়ে গেলেন।
খেলোয়াড় তো খেলবেই। ঘরে বসে আঙ্গুল চোষা কাপুরুষ তিনি নন। হাসিনা ইউনুসকে সুদখোর বলে টণ্টিং করার পর আধুনিক রাজনীতির ভক্ত মাহমুদুর রহমান মান্নাও ইউনুস স্যারের ফোন ধরা বন্ধ করে দিলেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের ছোট ভাই রাজনীতির চেয়ে সোশ্যাল বিজনেস গপ্পে বেশী আগ্রহ দেখালেন। ইউনুস দ্রুত জনারণ্যে একা হলেন।
আমার বন্ধুরাও ভোটে হারার পর আমাকে এত একা করেনি। হয়তো নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই বলে।
ইউনুস নাকে খত দিয়েছেন রাজনীতিতে উনি আসবেন না। এক এগারোর সেনা কর্মকর্তারা গণেশের মূর্তির মাথা খুঁজতে তার বাসায় সারারাত বসে ঢাকার মসনদে তাকে বসাতে রাজী করতে পারেনি। ফখরুদ্দীন সাহেব সে ভুলটা করেছেন।
যে ভুল বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা করেন। পদের লোভ সামলাতে না পারা আমাদের জাতীয় রোগ। ইউনুসের চিন্তার জগত এখন গ্লোবাল। সামাজিক ব্যবসাই আগামীর ব্যবসা। বাঙ্গালীর ব্যবসায়ী বুদ্ধি এখন বাঁচাচ্ছে অ্যামেরিকার অনুন্নত কাউন্টিগুলোকে।
পুঁজিবাদের হোমিওপ্যাথির এই ডাক্তার গোলকের তাবত অর্থনীতির গুরুকে পিছে ফেলে দিয়েছে। নরওয়ের মিডিয়া সন্ত্রাস প্রতিহত করার ক্ষমতা ইউনুসের আছে। তবে ঢাকার বাতাবী লেবু ফুটবল মিডিয়া সন্ত্রাস তার ভক্তদের ভোগাবে। কিন্তু সামাজিক ব্যবসার জনক ইউনুসের মৃত্যু নেই।
ঢাকার মিডিয়ায় উনার অপমৃত্যুতেও হাসিনার কন্ঠে যে ‘গরীব মানুষের রক্ত চুষলে ধরা খাওয়ার’ আশংকা ও রিয়ালাইজেশন প্রকাশ পেল, তা এই ডিসেম্বরের প্রাপ্তি।
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সততার লিগ্যাসী ধরে রাখাই এখন শেখ হাসিনার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের রক্তচোষা নীতি সামাজিক ব্যবসায় শোধরানোর চেষ্টা আমৃত্যু করবেন। উনি কোলনের রেস্টুরেন্টে বসে এই অঙ্গীকার অন্তত পাঁচজন মানুষের সামনে করেছেন, রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে আঙ্গেলা ম্যারকেলের আমন্ত্রণে সামাজিক ব্যবসা বোঝানোর সফরের সাইড লাইনে আমি স্যারের এই অঙ্গীকারের সাক্ষী। শেখ হাসিনাকেও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সততার প্রমাণ আমৃত্যু নিজের জীবনে রাখতে হবে। গরীবের রক্ত চুষলে ধরা খেতে হয় এই সত্যকে রাজনীতিতে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার শেখ হাসিনা দেশবাসীর সামনে করেছেন।
কোন রকম ভুল করার সুযোগ ইউনুস বা হাসিনার কারো নেই। ইউনুস এবং হাসিনার দীর্ঘজীবন প্রত্যাশা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।