১৬ তারিখ ভোর ৬টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখি সে এক এলাহী কান্ড। কারণ আজ তো জাতীয় বিজয় দিবস। লাখ প্রাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা আমাদের। আমরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলাম ৮টায়। আমাদের সাথে ছিলেন জাবি পাঠকমেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামছুল আলম সেলিম, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরিফ উদ্দিন, জাবি পাঠকমেলার সভাপতি নাজমুস সাকিব , সম্পাদক সোহেলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আবু আজাদ, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন সৈকত ও পাঠকমেলার সদস্যবৃন্দ।
সচারাচর এমনি হয়। সারা বছর বীর বাঙালির কুম্ভকর্ণের ঘুম আর জাতীয় দিবসগুলি এলেই আমাদের মনে পড়ে জাতীয় স্থাপনাসমূহের ফরজ গোছল (পরিষ্কারকরণ) আর পূজার্ঘ্যের কথা।
এই আনন্দের দিনে তাই আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার দেশ পাঠকমেলা শপথ নিয়েছি সত্যিকার বিজয় আনতে, আমরা আজ থেকে কাজ করে যাব । যেখানে থাকবেনা কোন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা, ক্ষুধা ও দারিদ্রতা আর গনতান্ত্রিক সরকারের ফ্যাসিবাদী শোষণ। নাহলে ঘরের কোণে বসে চুপটি করে বসে আমার মা, মাতৃভূমির জন্যে যারা ৭১’এ প্রাণ দিয়েছেন তাদের জন্যে ক’ফোটা চোখের পানি ফেলব।
আমরা ৭১ দেখিনি। দেখিনি স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ। প্রজন্ম’৭১ কিংবা স্বাধীনতার শক্তি বলে বড় গলায় আমরা তাই হয়ত ডুগডুগি বাজাতে পারিনা। তবুও আমাদের বুকের গহীনে ব্যথা বাজে দেশের জন্যে কিছু করার। আমাদের মায়ের যা কিছু কলঙ্ক তা মুছে দেবার।
না হোক আমাদের জন্ম ৭১ এর আগে, এই একুশ শতকে এসে আমরা যারা বাংলাদেশী, আমরা যারা চাই ভারতীয় রামরাজ্যের আগ্রাসী বাসনা বিনাশ করতে। তাদের আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। আরেকবার বিজয়ী হতে হবে। এই দেশকে কারও পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে আমরা মেনে নিতে পারিনা।
আমাদের নতুন যুদ্ধ হবে এই দেশের গরীব মজুর শ্রমিক আর কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবার জন্যে, কোন বুদ্ধিজীবী সুশীলদের আয়েশী লেকচারের জন্যে নয়।
তবে সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে আমরা কোন কোটা চাইবনা, চাইবনা কোন অনুকম্পা। কেননা আমরা এই দেশ, এই মায়ের জন্যে জীবন যুদ্ধে যাচ্ছি, কোন প্রতিদান কিংবা বিনিময় এর কাছে তুচ্ছ। আসুন আমরা সবাই এক হই, এই বিজয় দিবসে এক পতাকাতলে দাড়িয়ে আমাদের মাতৃভূমিকে সাফল্যের পাহাড়চূড়ায় নেবার দীপ্ত শপথ নেই। প্রকৃতপক্ষে ৭১’এ ৩০ লাখ প্রাণ আর ২ লাখ ইজ্জত যে কারণে আত্মত্যাগ করেছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।