আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনটা খুব বিষন্ন তবুও মন্তব্য করলাম এবং আমার মন্তব্যের সংশোধন-পরিমার্জন প্রত্যাশায় শেয়ার করলাম ।

পোষ্টদাতা মিতভাষী : ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের একজন ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক হিসেবে ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের অনুসারী হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাছে আমার দাবী নির্বাহী আদেশ কিংবা আইন করে- যেভাবেই হোক বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির একমাত্র ইজারাদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সমমনা ১৪ দলের রাজনীতি ছাড়া অন্য সব দলের রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হোক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র ইজাদার আওয়ামী লীগ এবং এই দেশের মালিক একমাত্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল বা মতের এই দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। জামাতের মতো ইসলামী দলগুলোর রাজনীতি এই দেশের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। এই দেশে যতো বড় বড় দুর্নিতি তা সব ইসলাম পন্থীরাই করেছে।

সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার খেলা কেবল ইসলামী দলগুলোই করে থাকে। ইসলামী রাজনীতির দোসর হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক। কেবলমাত্র ইসলামী দলগুলোর কারণেই ছাত্রলীগের মতো একটা আদর্শ ও সুশীল সংগঠন দেশকে কাঙ্খিত উন্নয়নের জোয়ারে নিয়ে যেতে পারছে না। অতএব সরকারের কাছে আবেদন আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলছাড়া অন্যসব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক। আমার মন্তব্য ঃ খুব সুন্দর করে আপনি আপনার মনের ভাব ব্যক্ত করার মাধ্যমে জমানো কষ্টের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

আপনার কষ্টে আমিও কষ্টিত । এবার কান খোলা রেখে শূনুন ঃ বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ এবং ইসলাম একটি পবিত্র শান্তির ধর্ম । কথা হচ্ছে এটা মনে প্রানে যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই দুটি বিষয়ের পবিত্রতা তথা স্বাতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে । বিএনপি'কে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি বলা হয় এবং এটা সত্যি যে স্বাধীনতা ঘোষনা জিয়াউর রহমান প্রথম মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়েছে । তিনি তার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দায়িত্ব থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর লিখিত ঘোষনা পাঠ করেছেন ।

সুতরা এখানে কোন দ্বিধা নেই যে বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি । কিন্তু বিএনপির উপর এখন এই প্রশ্নবোধক এসেছে যখন পবিত্র স্থান মসজিদে কিছু দুষ্কৃতিকারী দ্বারা যখন অপবিত্র করার চেষ্টা হয়, স্বাধীন দেশে জাতীয় পতাকা-শহীদ মিনার ভাঙ্গার পরেও এ বিষয়ে কোন নিন্দা না জানিয়ে দুদিন পরে টক শো তথা সাধারন মানুষের কথায় বোধদ্বয় হবার পরে নিন্দা জানায় । মনে রাখবেন জয় বাংলা কোন দলের শ্লোগান নয় এটা দেশ স্বাধীনতার শক্তির শ্লোগান । যদি কেহ এই শ্লোগানকে কোন দলের মনে করে তাদের বুদ্ধিমত্তা-প্রতিবন্ধী চিন্তার প্রতি প্রশ্ন থেকে যায় । ।

। ঃঃঃঃঃ বিএনপির উচিত ছিল ঃ শহীদ মিনার ভাংগা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো, পবিত্র মসজিদে আগুন ধরানো-ঠিল ছোড়ার নিন্দা জানানো এবং সরকারকে চাপ দেয়া এই অপকর্ম যারা ঘটিয়েছে তারা যে দলেরই হোক তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার করা । ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মীয় রাজনীতি অবশ্যই শান্তির পক্ষের হবে এটাই কাম্য । ধর্ম কিন্তু কারা একার সম্পত্তি হবে না । ভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছেও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সহ সকল নবীই মহান এবং শ্রদ্ধার ।

কিন্তু কথা হল তাহলে কারা কটুক্তি করে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে । আমরা এইযে কাদা ছোড়া ছুড়ি করছি তা আমাদের জন্য কতটা সমিচিন । ধর্মের পবিত্রতা রক্ষায় সকলকে সচেতনভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে । ধর্মের নামে অপপ্রচার বা বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু মানুষ সর্বদা সচেষ্ট ছিল এবং এখনও আছে । একটু খেয়াল করলে দেখবেন যারা রাজনীতি করেন না তারা কিন্তু ধর্মকে বেশি বিশ্বাস এবং পবিত্র মনে করেন ।

কিন্তু যারা ধর্মকে বাচানোর জন্য রাজনীতি করেন তারা ততটা বিশ্বাস করেন কিনা তা উপলব্ধির বিষয় । মানিকগঞ্জের বিসয়গুলো ধরা যাক ঃ হরতালের নামে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছেন তারা কিন্তু কেহই মারা যাননি । যখন এই সকল দুষ্কৃতিকারীরা মাদ্রাসার মাইকে অপপ্রচার চালালো তখন সাধারন মানুষ কোন কিছু চিন্তা না পবিত্র ধর্মের কথা চিন্তা করে রাস্তায় নেমে এসেছে । পুলিশ নিরাপত্তার তথা নিজেদের প্রান বাচানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে তখনই গুলি ছুড়ল । মারা গেল কিছু সাধারন জনগণ ।

যারা সত্যিই ধর্মবিশ্বাসী । কিন্তু মৃত্যু পড়েই তারা হয়ে গেলে রাজনৈতিক দলের সদস্য । লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে উঠেপড়ে লেগে গেল রাজনৈতিক কর্মীরা যা আমাদের দেশে প্রায়ই ঘটে থাকে । আমি ঐ সকল পুলিশদের নিকটও আহবান থাকলে আর যেন অন্যায়ভাবে একটি প্রাণও বুলেটে মাধ্যমে ঝড়ে না পড়ে । দেহের কোন অঙ্গে যদি কোন রোগ হয় তখন আমরা নিজস্ব চিন্তা বা সাধারন মানুষের কথায় বা সাধারন ডাক্তার বা শুধুমাত্র এমবিবিএস পাসকৃত ডাক্তারের দেয়া ঔষধ খাই, যদি তাতেও না কমে তাহলে বড় ডাক্তার দেখাই, যদি তাতেও আমাদের রোগ না কমে ক্যান্সার হয়ে যায় তাহলে অঙ্গ হানী করতে হলেও আমরা তাই করি ।

অঙ্গ হানী মেনে নিতে বা তার কষ্ট আমাদের সহ্য করতেই হবে । একটু ত্যাগ বা কষ্টের পড়ে যদি শান্তি পাই তা সকলে আনন্দের সাথে মেনে নেই । এত কষ্টের স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে । প্লিজ আরকোন উস্কানী নয় আসুন সকলে সচেতনভাবে সুবিবেচনার দ্বারা সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা আসুন আমরা সচেতনতার সাথে দেশ, জাতী, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ের সত্যিকার মর্ম উপলব্ধি করি, পবিত্রতা রক্ষায় চেষ্টা করি । বাংলাদেশ একটি শান্তি ও সৌহার্দের দেশ হিসেবে গড়ে তুলি ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।