নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
নায়াগ্রা জমে যাচ্ছে,
বরফে ছেয়ে যাবে টেমস এবং দানিয়ুব
বাণিজ্যের চাকা ঘুরছে না, দোকান ঝিমাচ্ছে, যুদ্ধের ছাই চোখে দিয়ে ডাকাতি হয়েছে ট্যাক্সের উপার্জন, চাকুরীচ্যুত আঙ্কেল স্যাম বসে আছে লস এঞ্জেলসের পেভমেন্টে - এভাবে যে চলবেনা তা আগেই জানা ছিল। মৌসুমী হাওয়ার দেশের মানুষ আমরা - জন্ম হয়েছে তুফানের রাতে, বুকে আছড়ে পড়ে বন্যা আর জলোচ্ছাস, পাড় ভাঙলে নতুন চরে ঘর তুলি, ভয় যেন আর ভয় দেখাতে পারে না।
এই তো সোজা এক বাঁশের সাঁকো, ওপারে দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ ধান খেত। মোটা চালের ভাত লবন দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে চাষী, ক্লান্ত হয়, অসুস্থ হয়, অকালে শিশুদের হারিয়ে কাঁদে - কিন্তু ওরা
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো রোজ সকালে স্যান্ডউইচের জন্য কাঁদে না।
বিদ্যুৎ নেই, পাউরুটির কারখানা নেই, হাতে আটা সেঁকে নিলেই আমাদের দিন চলে।
মাটির পথ, মোটর নেই, মহিষের গাড়িতে বধূ বাড়ি ফেরে
কাস্তেতে পিঠ চুলকে রূপাই গান ধরে
শুকনো খড়ে শুয়ে জমিন পাহারা দেয় কৃষক
ডিপকল অকেজো আছে আজ বহুদিন
হাতে জমি সেঁচে যেন আমাদের শস্য থামেনি
দিন কিন্তু সবার সমান যায় না।
পুর্তুগীজ কবর ছেয়ে গেছে সাদা ড্যাণ্ডেলিয়নে
মিউজিয়ামে কোহিনুর দেখে
পুর্বপুরুষের কামান ফুটিয়ে ইংরেজরা অবসর কাটায়
আর পোষাকী সভ্যতায় ক্রমেই বেজে যাচ্ছে অসারত্বের শূণ্যঘন্টা
যে দেশের বিজ্ঞানীরা বাতাসে উড়তে শিখিয়েছিল, বাঁশের সুতোয় বাতি জ্বালিয়েছিল
তাদের শিশুরা এখন এক্সবক্সে গেম খেলছে,
ঋণ-কার্ডে দুধমাখন কেনা তাদের স্বভাব হয়েছিল। বেশী সময় যায়নি, ধারের রঙিন বেলুন ফুটো হয়ে সব নেমে আসছে নিচে।
কমলালেবুর গ্রহে এখন আগের মতো সুখীরা নেই।
ভয়াবহ মন্দায় অর্থহীন পকেটগুলো ছটফট করছে।
হয়তো ইতিহাসের লটারী আমাদের দিকে কাঁটা দেখাচ্ছে! এ দেশে এখনো স্কুলে নামতা শেখানো হয়, বিদ্যার মর্যাদা দেয়া হয়। বড়দের দেখে ছোটরা শেখে, বাবা মাকে সন্তানেরা ভুলে যায় না। ছোট শিশুদেরকে শোনালাম বিদ্যাসাগরের বাস্তব গল্পটা - পথের ক্ষীণ আলোয় বই মেলে ধরে একদিন এক বাঙালি পরাক্রমশালী ইংরেজদের লজ্জা দিয়েছিল।
--
ড্রাফট ১.০ / পরিমার্জনরত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।