ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের একটি লিখা এবং তা নিয়ে কিছু মন্তব্য তুলে ধরলাম। এই পোষ্ট পড়ার আগে মুল লিখা পড়ে নিন এখানে
প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীই কিন্তু অন্য সকল ধর্ম সম্পর্কে নাস্তিক, অন্য
ধর্মগুলোতে বর্নিত স্রষ্টা সম্পর্কে অবিশ্বাসী, শুধুমাত্র একটি ধর্ম
সম্পর্কে আস্তিক। [/su
আস্তিক মানেতো জানতাম,যে আললাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী। শুধু বিশ্বাসী বলেতো জানতামনা।
সব ধর্মই স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী।
মতপার্থক্য তার স্বরুপ নিয়ে। আর যেহেতু স্রষ্টার অস্তিত্বে সবাই বিশ্বাসী,সেহেতু ধরে নেয়া যায় সবগুলোর উৎস একই।
শিব ভদ্রলোক তার প্রকান্ড লিঙ্গ খাড়া করে প্রস্তুত হয়ে আছে, অবিশ্বাসীদের ধর্ষনের জন্য, তখন আপনার কি হবে?
হিন্দু ধর্মে কি এমন কিছু আছে?
পৃথিবীতে এই পর্যন্ত কয়েক হাজার ধর্মের উদ্ভব হয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে
আজ পর্যন্ত যতগুলো ধর্মের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তা থেকে দেখা গেছে যে
প্রতিটি ধর্মই অন্য সকল ধর্মকে অবৈধ, অসার প্রমাণ করেছে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসা ঈসা একই আললাহর বানী নিয়ে এসেছিলেন।
তাদের অনুসারিরা মুল শিক্ষাকে বিকৃত করে ফেলে।
আহাম্মকির মাত্রাটা নিজে যেই পরিবারে জন্মেছেন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ রাখবেন পারিবারিকভাবে ছোটবেলায় সেসকল গাঁজাখুড়ি গল্পে বিশ্বাস করে।
গাজাখুরি কেন?আমি নিজে দেখিনি বলে?সুর্য,পৃথিবী,চাদ প্রত্যেকে তার কক্ষপথে ঘুরছে আপনি আমি কি দেখেছি?পৃথিবী সুর্য থেকে ১৩,০০,০০০গুন ছোট,আপনি আমি কি মেপে দেখেছি?কিংবা প্রক্সিমা সেন্টরাই নামে একটি নক্ষত্র আছে যেটি সুর্যের খুব কাছে আপনি আমি কি দেখেছি?তবে এগুলো কি গাজাখুরি গল্প?
গন্ডমুর্খ আহাম্মক ফাদারের আহাম্মকী
কল্পকাহিনী শুনবে।
গীর্জার ফাদার কিংবা ধর্মীয় সকল পন্ডিটেরা আহামমক?শুধু ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকেরাই জ্ঞানী,বুদ্ধিমান?তবে যাদের এত দোষারোপ করছেন তাদের চাইতে আপনি ভাল হলেন কি করে?
ধর্ম পালনে যেই "ঐশ্বরিক শান্তি" পাওয়া
যায় বলে দাবী করা হয়, তার চাইতে বিনোদনের চাহিদা অনেক বেশি
গুরুত্বপুর্ণ। পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব একজন মানুষকে ক্রমশ যান্ত্রিক
সত্তায় পরিনত করে, যেটা ক্ষতিকর।
এই যান্ত্রিকতা থেকে প্রার্থণা কিছুতেই
মুক্তি দেয় না, প্রার্থণা বরঞ্চ মানুষকে আরও বেশি যান্ত্রিকে পরিনত করে।
মানুষের মননশীলতাকে রুদ্ধ করে।
তাই যদি হবে তবে আধুনিক বিশ্বে মানুষের মাঝে মেডিটেশন নিয়ে এত আগ্রহ সৃষ্টি হবে কেন?এখানেওতো প্রার্থনার মত একাগ্রতা লাগে। নবী মুহামমাদ (স। )শুধু এক ধর্মের পরশে যেভাবে গোটা একটা সমাজ বদলে দিয়েছিলেন,যেভাবে বর্বর জাতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সুসভ্য জাতিতে,তেমন উধাহরন আধুনিক বিশ্বে খুব বেশী আছে কি?মানুষকে যান্ত্রিক বানিয়েই কি এমন সম্ভব হয়েছিল?
আস্তিকতা আমাদের প্রেয়সীর চুম্বন থেকেও দুরে ঠেলে দিচ্ছে।
আমাদের বোঝাচ্ছে প্রেম একটা পাপের নাম, নারী হচ্ছে শয়তানের প্রতীক।
কোন আস্তিকতা নারীকে শয়তানের প্রতিক বলছে?দুয়েকজন আস্তিকের কথা আর আস্তিকতা তত্ব দুটো কি হল?কোন ধর্মগ্রন্থে আছে নারী শয়তানের প্রতিক?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।