মেয়েটির সাথে ছেলেটির সম্পর্ক প্রায় ৫ বছর।
একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে একটি বার্বি ডল উপহার দিল।
ছোট্টএকটা কম্পানিতে চাকরি করে বলে অনেক বড় কিছু দেওয়ার আশা থাকলেও
সামর্থ নেই।
সে ভাবত মেয়েটিকে বিয়ে করে সে হয়ত বড় কিছু দিতে পারবে না কিন্তু বুক
ভরা ভালোবাসা দিতে পারবে।
একদিন বৃষ্টি ঝরা সন্ধ্যায় মেয়েটি ছেলেটির বাড়ীতে হাজির।
সে বলল আগামীকাল সে তার বাবার মার সাথে প্যারিসে চলে যাচ্ছে ।
আর কোন দিন ফিরবে না।
তাই তাদের সম্পর্ক ওখানেই শেষ।
ছেলেটি হতবাক হয়ে বলল আচ্ছা ঠিক আছে। ছেলেটি মনে করলো
তার এই সামান ঐসর্জের কারনেই হয়ত তাকে ছেড়ে সে চলে গেছে।
তাই সে কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করলো।
°
°
°
°
প্রায় কয়েক বছর পর সে অঢেল সম্পত্তির মালিক হল।
তার গাড়ি হল, বাড়ী হল।
তখন সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে প্যারিস যাবে এবং মেয়েটির খুঁজ নিবে।
আর বলবে যে সে তাকে এখনও ভালোবাসে।
ছেলেটি প্যারিস গেল। হঠাত দেখল দুইজন বৃদ্ধ পুরুষ ও মহিলা।
তার চিনতে দেরি হলনা যে তারা মেয়েটির বাবা মা।
তাই সে তাদের পিছু নিল।
দেখল যে তারা কবরস্থানে ডুকছেন।
সে হতভম্ব হয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেল।
দেখল তার সেই ভালবাসার মানুষটির ছবি সম্বলিত একটি কবর যেখানে মেয়েটির বাবা-মা ফুল দিলেন।
তার কষ্টে কেঁদে ফেলার মত অবস্থা।
কেমন করে এসব হল জানতে চাইলে, তারা বলে আমরা উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে নিয়ে প্যারিস এসেছিলাম।
তার আসলে ক্যানসার হয়েছিল।
তোমাকে কষ্ট দিতে চায় নি বলে সে তোমাকে এসব কথা বলে নি।
তারপর তারা একটি বাক্স দেখিয়ে ছেলেটিকে বলল-
আমাদের মেয়েটা বলেছিল তুমি তার টানে এখানে আসবেই।
তাই সে তোমার জন্য এই বাক্সটি রেখে গিয়েছে আর বলে ছিল
তুমি এলে তোমাকে এটি দিতে।
ছেলেটি বাক্স খুলে দেখল
তার দেওয়া সেই বার্বি ডল আর একটি চিঠি|
তাতে লেখা ছিল " আমাকে ক্ষমা করো,
তোমাকে কষ্ট দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলনা।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমার যাবার টিকেট করে রেখেছেন।
তাই তোমাকে ছেড়ে চলে যেতে হল। "
চিঠির একদম শেষ প্রান্তে লেখা-
"খবরদার কাঁদবে না "........
সংগৃহিত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।