গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ২ জন খেলোয়াড় এর দলে থাকা, না থাকা নিয়ে সামু বেশ সরগরম।
কিউইদের বাংলাওয়াশ করার পর আমাদের অনেক সমর্থকের আচরন এমন হয়ে গেছে, যেন আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারার পর সাকিব, ইমরুল আর রাজ্জাক ছাড়া সব ক্রিকেটারের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেইসবুক স্ট্যাটাস, বিভিন্ন ব্লগে লেখার ছড়াছড়ি। বিশেষত: আশরাফুলের জন্য যে অশ্রাব্য কথাগুলো লেখা হয়েছে, তাতে আমাদের অসহনশীলতার প্রকাশ পেয়েছে। চরম অভদ্রতারও প্রকাশ ঘটেছে বটে।
আমরা খুব দ্রুতই ভুলে গেছি, টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে পশ্চিমাদের চোখ রাংগানোর সময়গুলোতে এই আশরাফুলের ব্যাটই ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচে বড় বিজ্ঞাপন। সাথে মাশরাফি, রফিক আর হাবিবুল বাশার। মাত্র ২৬ বছর বয়সে আশরাফুল কমকিছু দেন নি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। আমরা ভুলে গেছি, গত দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার এই আশরাফুল। আমাদের ১৬ কোটি মানুষকে তার ব্যাট অনেকবার হাসিয়েছে।
তার ব্যাটিং গড় ভালো না। ফরম খারাপ যাচ্ছে। তাই দল থেকে বাদ পড়তেই পারেন। খারাপ ফর্মের জন্য তাই বলে আমরা একজন জাতীয় বীরকে গালাগাল দেবো?!!?
মাশরাফি প্রথম ২ ম্যাচে ভালো বল করতে পারেন নি। তাই আমরা বিজ্ঞ ক্রিকেট প্রেমীরা দাবী তুলে ফেললাম, মাশরাফিকে বাদ দেয়া হোক! সাথে সেইসব গালাগালি! ইন্জুরি থেকে ফিরে যে কোনো বোলারের রিদম ফিরে পেতে একটু সময় লাগে।
দরকার হয় ম্যাচ প্র্যাকটিসের। আজ মাশরাফির বোলিং দেখে আগের দুই ম্যাচ পর গালি দেয়া ভদ্র মহোদয়গণই আবার তালি দিয়েছেন!
যারা এখন আশরাফুলকে গালাগাল করছেন আর মাশরাফিকে আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্তও যারা মাশরাফিকে গালি দিয়েছেন, এই তারাই ক্য়দিন পর সাকিব, রাজ্জাককেও গালি দেবেন। এই ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নাই। কারন সব খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেই খারাপ সময় আসে। যাকে বলে ব্যাড প্যাচ।
সাকিব রাজ্জাকেরও আসবো। তখন আমরা ওদের অবদান ভুলে গিয়ে বকাবকি করে ছাল তুলে ফেলবো। কি বলেন ভাইয়েরা??!!??
আসুন, আমরা চরিত্র বদলাই। দল খারাপ করলে আরো বেশি সাপোর্ট করি। ভালো করলে উল্লাস করি।
দল হারলে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। কোনো খেলোয়াড়ই যেমন খারাপ খেলার জন্য মাঠে নামে না, তেমনি কোনো দলই হারতে চায় না। এই সত্যটুকু আমরা বারবার ভুলে যাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।