অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

ভিওবিডি, নিউইয়র্ক থেকে ওয়েবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস যুত্তপ্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিসহ গোটা বিশ্বের যে আড়াই লাখ নথি ফাঁস করার মিশনে নেমেছে, তার মধ্যে দুই হাজার ১৮২টি বাংলাদেশবিষয়ক। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত উইকিলিকস তার ওয়েবসাইটে ৬৮৩টি নথি প্রকাশ করেছে। বাকিগুলো গুরুত¦ বুঝে পর্যায়ত্রপ্তমে আগামী কয়েক মাসে প্রকাশ করা হবে বলে উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে উলেখ করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ১৯৬৬ সাল থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুত্তপ্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দেশটির ২৭৪টি দূতাবাসের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া নথি ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। তবে উলেখযোগ্য নথিগুলোর উৎস দেখানোর জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখচিত্রে (গ্রাফ) ৪৫টি দূতাবাস স্থান পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৩৭ নম্বর অবস্থানে আছে ঢাকায় যুত্তপ্তরাষ্ট্র দূতাবাস। উইকিলিকস সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য নথির মধ্যে আট হাজার ৩২০টি চীনবিষয়ক, সাত হাজার ৯৫টি আফগানিস্তানবিষয়ক, পাঁচ হাজার ৮৭টি ভারতবিষয়ক এবং চার হাজার ৭৭৫টি পাকিস্তানবিষয়ক। গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রকাশিত নথির চারটিতে বাংলাদেশের নাম এসেছে।

এগুলোর মধ্যে দুটি প্যারিসের যুত্তপ্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এবং বাকি দুটি ইসলামাবাদের দূতাবাস ও যুত্তপ্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো। ইসলামাবাদের যুত্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে পাঠানো নথিতে বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈয়বার আস্তানা থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে। প্যারিসের দূতাবাস থেকে পাঠানো নথিতে ২০০৬ সালের সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিবেদনের বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মরক্কো থেকে আসা কমপক্ষে ২০ জন ইমামকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা এতে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ২০০৬ সালে ফ্রা›স থেকে বহি®কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্যারিসে যুত্তপ্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নথিতে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশে ডিএনএ পরীক্ষা শুরুর পরিকস্ফপনার কথা জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো নথিতে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যাপারে জাতিসংঘ-সংশি¬ষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ফাঁস হওয়া এমন সাতটি নথি রয়েছে যেগুলোর অনুলিপি ঢাকায় যুত্তপ্তরাষ্ট্র দূতাবাসে এসেছে। এগুলো হলো শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বিষয়ে ’শ্রীলঙ্কা ওয়ার ত্রপ্তাইম অ্যাকাউন্টিবিলিটি ঃ দ্য তামিল’, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারকে চাপে রাখার বিষয়ে ’টেরর ফিন্যা›স ঃ এমবাসি প্রেসেস গভর্নমেন্ট অব পাকিস্তান অন ইউএন ১২৬৭’, ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার না করতে আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনের কাছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের অনুরোধ বিষয়ে ’মোশাররফ টেলস ম্যাককেইন ঃ ডোন্ট পুল আউট ফ্রম ইরাক’, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই ইস্যুতে যুত্তপ্তরাষ্ট্রের জেনারেল স্কুমেকার এবং দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বৈঠক বিষয়ে ’প্রেসিডেন্ট মোশাররফ ব্রিফস জেনারেল স্কুমেকার অ্যান্ড’, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের স¤পর্ক নিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক যুত্তপ্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেত্রেপ্তটারি রিচার্ড বাউচারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বৈঠক প্রসঙ্গে ’মোশাররফ টেলস বাউচার অ্যাবাউট পাকিস্তানস ’, যুত্তপ্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি সভার ন্যা›িস পেলোসির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের বৈঠক বিষয়ে ’প্রেসিডেন্ট মোশাররফ মিটস ¯িপকার পেলোসি’ এবং ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈয়বার আস্তানা থাকতে পারে বলে ধারণা পোষণ বিষয়ে ’প্রিজার্ভিং ইনফরমেশন শেয়ারিং’।
।