বাংলাদেশ
পরোক্ষ ধূমপানে বিশ্বে প্রতিবছর ৬ লাখ লোক মারা যায়। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) ১৯২টি দেশের উপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে। খবর বিবিসির।
গবেষকরা জানান, পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব নিয়ে এই প্রথম বিশ্বব্যাপী গবেষণাটি চালানো হয়।
এতে দেখা যায়, পরোক্ষ ধূমপান বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এর ফলে শিশুরা নিউমোনিয়া ও হাঁপানির ঝুঁকিতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি। উলেস্নখ্য, পরোক্ষ ধূমপানে হূদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো ফ্রি ইনিশিয়েটিভের গবেষক আরমান্দো পারুগা জানান, তামাকের প্রভাবে যে সমস্যা হচ্ছে তার প্রকৃত অবস্থা জানতে এই গবেষণা আমাদের সাহায্য করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, সংস্থাটি প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার শিশুর ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
কারণ ধূমপানে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে প্রধানত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় এরা মারা যাচ্ছে। গবেষণা থেকে আরো জানা যায়, শিশুরাই বড়দের চেয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় বেশি। এমনকি এরা নিজ গৃহেই এর শিকার হচ্ছে। ইউরোপ ও এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকা ও আফ্রিকায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার মাত্রা সর্বনিম্ন।
গবেষকরা দেখেছেন, ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ শিশু, ৩৩ শতাংশ অধূমপায়ী পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ অধূমপায়ী মহিলা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এর ফলে হূদরোগের কারণে ৩ লাখ ৭৯ হাজার শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের কারণে ১ লাখ ৬৫ হাজার ও হাঁপানির কারণে ৩৬ হাজার ৯শ' এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে ২১ হাজার ৪শ' লোক মারা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।