নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
জোনাকী নিয়া খেলতে নাই। বাচ্চা থাকলে তারা বিছনা ভিজায়ে দেয়। আর লঞ্চের ভেঁপু বাজার সময় কচি বাচ্চাদের কান ধরে রাখতে হয়। ফলাফল একই। এটা হুরমতের নানীর উপদেশ।
বৃদ্ধার উপদেশ। গরীবের কথা বাসি হলে ফলে।
তুরাব আলি লঞ্চের টিকেট না কিনে উঠে যাবে। কিন্তু কোন দিকে যাবে। ডানে একটা দালাল ডাকছে।
এত লঞ্চ যে ঘাটের মাটি ভেঙে পড়ছে। লঞ্চ ঘাটের ভিতরে ঢুকে ময়নার বাপ বলে, এই রে হুরু, পুজা খান আস্তে লও দিকি। একজন দুইটা মুরগী আনছে । মুরগী ঝুলায়ে রাখছে। কক কক শব্দ উঠছে।
বড় বড় পানের ঝাঁকা ছাদে তুলতে তুলতে মজুপাগলা তের বছরের বদুর দিকে অভিযোগ দেয়, আচ্ছা তো পোলা একটা এত ঢিলা গতরে শক্তি নাই।
মুক্তা বেগম সস্তা লিপস্টিকের মুখ বের করে। বোরকা তুলে সুধায়, কত নিবো। জাহাজ থামবে এমন সময় একটা ছিপ ছিপে চিকন মেয়ে বের হয়ে আসে, পিছন থেকে একটা খর্বাকতি ময়লা গাত্রবর্ণের পুরুষ হড় হড় করে তার সহধর্মিনীকে টেনে আনে, আচ্ছা রঙ্গিবিবি আমরে ছেড়ে কই যাবা?
হাবিয়া দোজখে। আমারে জোর করে লাভ নাই, যাবো না, পানিতে ঝাঁপ দেবো।
সুরুৎ সুরুৎ করে মানুষ উঠছে। এরই মধ্যে রঙ্গিবিবি জাহাজের কাঠের তক্তা দিয়ে ফেরত যাচ্ছে।
মাথা নষ্ট করিও না অপ্সরী, বাবু বড় হলে দিগন্তে প্রজাপতির মতন জ্যোৎস্না কুড়াতে যাবো। লোকটার চোখের কালো চশমা গ্লু দিয়ে লাগানো।
মেয়েটি তার কোলের বাচ্চাকে চেপে ধরে, আপনেরে চিনা আছে, ঘর নাই, দিগন্তের বাতি আপনেই খান।
জিন্দেগীকে আপনের সঙ্গে আর সংসার করবো না
আমার কি দোষ, সঞ্চয়িতার মা?
আপনি কবি।
কবি কি গালি? কয়েকশত ফুট লম্বা ভেঁপু বাজায় লঞ্চ। মুক্তাবেগম ঝিমায়। মজুপাগলাও বিড়িতে আগুন দেয় আর বলে, আমরাই ভালা আছি।
জি, আমরাই ভালা থাকি।
তোরাব যোগ দেয়। পানের ঝাঁকায় শরীর হেলান দিতেই ইঞ্চিনের শব্দ দ্বিগুণ হয়।
--
ড্রাফট ১.০
অনুশীলন ...কিছুই না, কিন্তু কিছু না লেখার চাইতে মন্দ লেখা ভাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।