আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের ১০ যাত্রীর লাশ উদ্ধার

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।

ভোলার তেঁতুলিয়া নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের ১০ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের সবাই নারী ও শিশু। ঢাকা থেকে ভোলার লালমোহনগামী এমভি কোকো-৪ নামে লঞ্চটি শুক্রবার রাতে তলা ফেটে আংশিক ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোলা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার) নূরুদ্দীন আল ফারুক সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত ১০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে তিনজন নারী ও সাতটি শিশু। এরা হচ্ছে- ফারুক (২), আকলিমা (২৫), কবিতা (৩), সুরভী (৭), তমা (৮), শাহনূর (৪৫), রিপন (১২), খোশ বাহার (৪০), তামান্না (১৫) এবং অজ্ঞাত এক বছর বয়সি এক শিশু। তবে স্থানীয়রা বলছেন, আরো চারটি লাশ পাওয়া গেছে, যেগুলো স্বজনরা নিয়ে গেছেন। লালমোহন থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, লঞ্চটির যাত্রীরা ছিলেন চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার। ঈদের আগের রাতে লঞ্চডুবির কারণে দুই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ছয়শর মতো হলেও এতে দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ছিলো বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। এটি শুক্রবার বিকালে ঢাকার সদরঘাট ছেড়ে যায়। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে অনেকে চড়েছিলেন ওই লঞ্চে। লঞ্চের যাত্রীরা জানান, রাত ১০টার দিকে লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটের কাছে এলে লঞ্চটির তলা ফেটে যায়। এটি তখন দ্রুত ঘাটে ভিড়তে চেষ্টা করে।

কিন্তু ঘাটে ভেড়ার ঠিক আগে এটি হেলে পড়ে অর্ধেক ডুবে যায়। লঞ্চের কত যাত্রী জীবিত উদ্ধার হয়েছে এবং কতজন নিখোঁজ তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে নিমজ্জিত লঞ্চের এখনো প্রায় ৫০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। লঞ্চডুবির পর স্থানীয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। অনেকে সাঁতরে তীরে ওঠেন।

শনিবার সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিওটিসি) উদ্ধারকারী জাহাজ 'হামজা' বরিশাল থেকে ভোলায় রওনা হয়েছে বলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।