পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
পৃথিবির কাছাকাছি প্রায় ৪৫০০ টি গ্রহ আছে। এর মধ্যে কোনটি পৃথিবির তুলনায় অনেক বর আবার কোনটি অনেক ছোট। তম্মধ্যে ১২৭ টি গ্রহাণুর সাথে পৃথিবির সংঘর্ষ হয়ে যেতে পারে আগামি ১০০ বছরের মধ্যেই। আর এই সংঘর্ষ হয়ে গেলে মানুষ সহ অনেক প্রাণি কিংবা সমস্ত প্রাণি জগতই নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় করণীয়ঃ
যুক্তরাস্ট্র ভিক্তিক কাউন্সিল 'The Nearearth' এর চেয়ারম্যান যিনি বছর ত্রিশেক আগে এপোলো রকেটে চন্দ্রে গিয়েছিলেন তাকে প্রধান করে এ বিষয়ে নতুন এক গবেষনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের মুল কাজই হলো পৃথিবির দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর নিয়ন্ত্রন করা। তাদের পদক্ষেপ অনুযায়ি, আমরা ঐ গ্রহাণু লক্ষ করে নভোচর বিহিন নভোযান পাঠাবো। এই নভোযানটি ঐ গ্রহাণুটির গতি সামান্য হলেও বারাতে বা কমাতে পারবে। এভাবেই পৃথিবির সাথে গ্রহানুর সংঘর্ষ আমরা এরাতে পারব।
কিভাবে গতি পরিবর্তন করবেঃ
Grafitational Tract কৌশল এর মাধ্যমে আমরা গ্রহানুর গতি পরিবর্তন করব। আর সেটা হলো ২ বস্তুর মধ্যকার আকর্ষন ও বিকর্ষন শক্তিকে কাজে লাগাব। আমরা জানি এই আকর্ষন কিংবা বিকর্ষন নির্ভর করে ঐ বস্তুদ্বয়ের মধ্যকার ভর ও দুরত্বের উপর। ধরেন, পৃথিবির কাছাকাছি আসতে থাকা গ্রহাণুটির ওজন ১০০০ মেট্রিকটন। তখন আমরা ৫০০ মেট্রিকটন ওজনের একটি নভোচর বিহিন নভোযান আমরা ঠিক ঐ গ্রহানুর উদ্বেশ্যে পাঠাবো যা ঐ গ্রহানুর ঠিক পাশেই অবস্থান করবে এবং একে অপরকে আকর্ষন করবে।
ফলে ঐ গ্রহানুটির গতি পরিবর্তন হবে। আর এই গতি পরিবর্তনটি আমরাই নিয়ন্ত্রন করতে সথেষ্ট সক্ষম হব। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই নভোযানটি যেন কিছুতেই ঐ গ্রহানুর উপর আছরে না পরে।
'Apofis' নামের একটি গ্রহ ২০২৯ সালের ১৩ই এপ্রিল শুক্রবার পৃথিবির খুব কাছ দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাবে। অথবা পৃথিবির সাথে সংঘর্ষও লাগতে পারে।
যদি এটা পৃথিবির 'কি হোল' দিয়ে যায় তাহলে ৭বছর পর এটা আবার
ফিরে আসবে এবং পৃথিবির সাথে ধাক্কা লাগবে। যেটা এরানো সম্ভব হবে না। তাই গ্রহটিকে প্রথমেই এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে যাতে সেটা পৃথিবির সাথে ধাক্কা না লাগে আবার 'কি হোল' দিয়েও না যায়। এই ভাবে আমরা আমাদের পৃথিবিকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হব।
Click This Link
http://en.wikipedia.org/wiki/Gravity_tractor
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।