আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুষ্ট গ্রহাণু দমনে নাসার উদ্যোগ

ভবিষ্যতে কোনো গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর মারাত্দক ক্ষতি হতে পারে। এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই বিপদ এড়াতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা নতুন উদ্যোগ শুরু করছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবী দু-দুটি অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণুর কাণ্ড দেখেছে। তার মধ্যে একটি সাইবেরিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরের আকাশে প্রবেশ করেছিল।

তার বিস্ফোরণের তীব্রতার মাত্রা ছিল হিরোশিমার আণবিক বোমার তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি। একই দিন দ্বিতীয়টি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে যায়। এমন আরও মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর ক্ষতি করার মতলব অাঁটছে কিনা, তা আগেভাগে জানতে পারলেই মঙ্গল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তিন বছরের জন্য একটি মহাকাশ টেলিস্কোপকে সেই কাজে ব্যবহার করছে। ২০০৯ সাল থেকেই 'ওয়াইড ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এঙ্প্লোলার' নামের এই মহাকাশ টেলিস্কোপ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে।

মহাকাশের গভীরে যে সব মহাজাগতিক বস্তুর নিজস্ব আলো প্রায় দেখা যায় না, তাদের ইনফ্রারেড রশ্মি দেখে শনাক্ত করাই ছিল এই টেলিস্কোপের কাজ। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণুকে চিহ্নিত করেছে। পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এসেছিল, এমন ১৩৫টি গ্রহাণুও ধরা পড়েছে টেলিস্কোপের চোখে। মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে অ্যাস্টারয়েড বেল্ট-এ বিচরণ করে এই সব গ্রহাণু। মূল কাজ শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ ১৩ মাস কাজ করার পর টেলিস্কোপের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বন্ধ করে দিয়েছিল নাসা।

কিন্তু নাসা এবার আগামী মাসে তার ঘুম ভাঙিয়ে সেটিকে নতুন করে কাজে লাগাতে চাইছে। তিন বছর ধরে চলবে নতুন এই কর্মসূচি। ব্যয়ভার বছরে ৫০ লাখ ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ 'ওরিয়ন' নামের যে দূরপাল্লার ক্যাপসুল মহাকাশযান চালু হওয়ার কথা, তাতে করেই এই অভিযান চালানো হবে। * ইনফোটেক ডেস্ক

 

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.