আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুয়েট ভিসির দল প্রীতির মোকাবিলায় দেশপ্রেম হার মেনে গেল!!!!!



বুয়েটের চিরাচরিত tradition টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ১/২ সপ্তাহ পিছানো। ড. শাহজাহান বাদে অন্য কোন ভিসির পক্ষেই সম্ভব হয়নি এই tradition কে ভাঙার। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্দোলনগুলো political party দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন, কয়েক দিন আগে ফুটবল খেলা দেখার জন্য ক্লাস বন্ধের যে আন্দোলনটি হয়েছিল তা পুরোপুরি ছাত্রলীগ পরিচালিত ছিল। আবার ছাত্রদের দাবি না মানলেও সমস্যা।

হয় ২০০৬ সালের মত স্যারদের বাসায় হাম্লা/ভাংচুর নয়ত ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন। কিন্তু বুয়েটের বর্তমান ভিসির পক্ষেই সম্ভব ছিল বুয়েটের চিরাচরিত tradition কে ভেঙে যথাসময়ে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা। কারন বুয়েটের বর্তমান প্রশাসন সরাসরি আওয়ামি রাজনীতির সাথে জড়িত। শোনা গেছে, বর্তমান বুয়েটের ভিসি ড. নজরুল ইসলাম শেখ হাসিনার private tutor ছিলেন। প্রোভিসি ড. হাবিবুর রহমান সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত।

ছাত্র কল্যান পরিচালক ড. আমিনুল ইসলামও আওয়ামী লীগার। সুতরাং ছাত্রলীগের পক্ষে সম্ভব হত না আন্দোলন করে বর্তমান প্রশাসনের পদত্যগ করানো। বিশেষ করে হাসিনার private tutor অর্তাৎ VC এবং হাবিবুর রহমানের মত গোড়া লীগারকে পদত্যাগ করানোর সামর্থ বুয়েট ছাত্রলীগের নেই। কিন্তু তারপরেও জানতে পেরেছি, গতকাল ছাত্রলীগেরা রুদ্ধদার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরীক্ষা ১ সপ্তাহ পিছানোর, অতঃপর DSW এর কাছে পরীক্ষা পিছানোর আবেদন করে দিয়ে এসেছে। বুয়েট প্রশাসন চাইলেই এই tradition টি কে ভেঙে ফেলতে পারত।

কিন্তু তারা তা করেনি। নিজেদের আদরের সোনার ছেলেদের অযৌক্তিক দাবী অগ্রাহ্য করতে পারেনি। কারন যদি দাবী নাকোচ করে দেয়া হয় তবে ছাত্রলীগের মর্যাদা থাকবে কি করে?? ছাত্রলীগের বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইদের মুখ দেখাবে কি করে??? সাধারন ছাত্ররা তো তাহলে ছাত্রলীগকে লেদা মনে করবে!! কোথায় টিকবে তাহলে ছাত্রলীগের বীরত্বের গাথা?? এমনই চিন্তা করে হয়তো বুয়েট প্রশাসন পরীক্ষা ১ সপ্তাহ পিছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মানে কি দল প্রীতির মোকাবিলায় দেশপ্রেম হার মেনে গেল!!!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।