একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়।
বগুড়ার শেরপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় মলি নামে এক স্ত্রী (৩৬) তার স্বামীর শরীরে গরম পানি ও সোটা ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটায় শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্বামী কামাল হোসেন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্ত্রীকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী কামাল হোসেন জানান, স্ত্রী মলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে ঘরের মধ্যে ক্যাসেটের ভলিয়ম জোরে দিয়ে ও একমাত্র ছেলে আকাশ (৭) কে বাইরে পাঠিয়ে স্বামীকে রড দিয়ে মারধর করতো। ব্যাচারা স্বামী লোক-লজ্জার ভয়ে বাইরের মানুষের কাছে বলতো না।
তিনি আরো জানান, এভাবেই দীর্ঘ ৮বছর ধরে স্ত্রীর সকল নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতো।
মাঝে মধ্যে এলাকাবাসীদের জানাতে চাইলে স্ত্রী উল্টো নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাতো স্বামীকে। তাই সকলকে অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। হাসপাতলের বেডে শুয়ে কথা গুলো জানালেন দ্বগ্ধ কামাল হোসেন। তবে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন মামলা করতে চাননি।
রসুল, রহিমসহ স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে মারপিটের কথা শুনে আমরা বাড়িতে গেলে উল্টো আমাদেরকেই তাড়িয়ে দিতো।
গত মঙ্গলবার রাতে কাঠ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ঢাকায় ব্যবসার কাজ শেষ করে বাড়ি এলে স্ত্রী মলি বেগম বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে ক্যাসেটে জোরে ভলিয়ম দিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে সোডা মিশিয়ে স্বামী কামাল হোসেনের গায়ে নিক্ষেপ করে। ফরে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর ঝলসে যায়।
এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকেরা ছুটে এলে মেইন গেটের দরজা বন্ধ দেখে। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে আহত অবস্থায় কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে। বুধবার ভোরে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত কামাল হোসেনের ছেলে ২য় শ্রেণীর ছাত্র আকাশ জানায়, মাঝে মধ্যেই বাবাকে মা মারপিট করতো। মা বলতে নিষেধ করেতো। বাবা বাড়ি এলেই টাকা দিয়ে মা দোকানে পাঠাতো। রাতে বাবাকে মারার সময় আমি পাশের ঘরে ছিলাম। আমাকে ঘরের মধ্যে ঢুকতে দেয়নি।
পরে সবাই বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।
এ ব্যাপারে মলি বেগম জানান, সে বাড়ির কাউকে না বলে গোপনে রাজশাহী এলাকায় গত ২বছর আগে ২য় বিয়ে করে। ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেও দেয়নি। তবে স্বামীকে মারধর করে আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।
এব্যাপারে শেরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত মলি বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি।
বগুড়ার শেরপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় মলি নামে এক স্ত্রী (৩৬) তার স্বামীর শরীরে গরম পানি ও সোটা ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটায় শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্বামী কামাল হোসেন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্ত্রীকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী কামাল হোসেন জানান, স্ত্রী মলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে ঘরের মধ্যে ক্যাসেটের ভলিয়ম জোরে দিয়ে ও একমাত্র ছেলে আকাশ (৭) কে বাইরে পাঠিয়ে স্বামীকে রড দিয়ে মারধর করতো। ব্যাচারা স্বামী লোক-লজ্জার ভয়ে বাইরের মানুষের কাছে বলতো না।
তিনি আরো জানান, এভাবেই দীর্ঘ ৮বছর ধরে স্ত্রীর সকল নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতো। মাঝে মধ্যে এলাকাবাসীদের জানাতে চাইলে স্ত্রী উল্টো নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাতো স্বামীকে।
তাই সকলকে অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। হাসপাতলের বেডে শুয়ে কথা গুলো জানালেন দ্বগ্ধ কামাল হোসেন। তবে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন মামলা করতে চাননি।
রসুল, রহিমসহ স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে মারপিটের কথা শুনে আমরা বাড়িতে গেলে উল্টো আমাদেরকেই তাড়িয়ে দিতো। গত মঙ্গলবার রাতে কাঠ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ঢাকায় ব্যবসার কাজ শেষ করে বাড়ি এলে স্ত্রী মলি বেগম বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে ক্যাসেটে জোরে ভলিয়ম দিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে সোডা মিশিয়ে স্বামী কামাল হোসেনের গায়ে নিক্ষেপ করে।
ফরে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর ঝলসে যায়।
এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকেরা ছুটে এলে মেইন গেটের দরজা বন্ধ দেখে। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে আহত অবস্থায় কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে। বুধবার ভোরে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত কামাল হোসেনের ছেলে ২য় শ্রেণীর ছাত্র আকাশ জানায়, মাঝে মধ্যেই বাবাকে মা মারপিট করতো।
মা বলতে নিষেধ করেতো। বাবা বাড়ি এলেই টাকা দিয়ে মা দোকানে পাঠাতো। রাতে বাবাকে মারার সময় আমি পাশের ঘরে ছিলাম। আমাকে ঘরের মধ্যে ঢুকতে দেয়নি। পরে সবাই বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।
এ ব্যাপারে মলি বেগম জানান, সে বাড়ির কাউকে না বলে গোপনে রাজশাহী এলাকায় গত ২বছর আগে ২য় বিয়ে করে। ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেও দেয়নি। তবে স্বামীকে মারধর করে আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।
এব্যাপারে শেরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত মলি বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
তবে এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।