পরীক্ষার নাম শুনলে ই সব সময় আমার মাথার কর্মকাণ্ড অনেকটা শামোক এর চেয়ে ও ধীর হয়ে যায় ।
পরীক্ষা না দেয়া টা আমার কাছে ছিল অনেকটা গৌরব এর । আমার লাইফ এ প্রথম কর্মকাণ্ড স্টার্ট হয় যখন আমি ফোর এ পড়ি।
দিনক্ষণ ভালো,আবহাওয়া ও ভালো মা সাজিয়ে গুঁজিয়ে দিলো কিন্তু আমার মন যে মানে না ,কী চায় ও নিজে ও জানে না।
পরীক্ষার সময় আমার সবচেয়ে বেশী টয়লেট চাপত ।
আমার অনেক ভয় ছিল এই ব্যাপার টা নিয়ে।
আসল ব্যাপার হল আমী ছোট বেলা হতে ই মেয়েদের প্রতি দুর্বল। আমাদের ক্লাস এ নিয়ম
ছিল যদি বড় টা লাগে তাইলে ১ বলবে। ,ছোটো হলে ২,কেঊ যদি ১ বলত ক্লাস এর মেয়ে গুলা এমন ভাবে তাকাতো যে
ভালো করে খুঁজলে টেবিল নষ্ট করা কারোকাজ দেখা যাবে । জানেন ই তো পিচ্চি মেয়েরা অনেক দুষ্ট হয়।
যা ই হোক ফোর এ পরীক্ষা
না দেয়ায় আমার ওপর উত্তম অধম সর্বত্তম সব ই পড়ল। আমি বাঁচার জন্য বললাম আমার মাথা ঘোরে গেছিলো
( পেট বেথা বলতে পারতাম কিন্ত এই মহামান্য
রোগ আমায় অনেক বার ই রক্ষা করছে, তাই নতুন কিছু বের করলাম )
আমার দাদা বলল আমার নাকি গায়ে আলগা বাতাস লাগছে এই কারনে প্রথম এ বিস্কুট পরা,পানি পড়া আর গলায়
লাগালাম আমার থেকে বেশী ওজন আর তাবিজ । মাগার কাম তো হয় না। আমি পরীক্ষা দিমু না তোরা পারলে ঠেকা।
সাইকেল কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আমাকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেল।
কথায় আছে না লোভ এ পাপ, পাপ এ অক্কা,
আর তাই আমার মান ইজ্জত এর মরন হল ক্লাস এ পিঁ করে।
তাবিজ আর জোরে ই হোক আর পানি পড়ার কারনে ই হোক আমি ক্লাস ফাইভ এ
স্কলারশিপ পরীক্ষা দিমু। প্রথম দিন ভাল ই ব্যাটিং করছি কিন্ত ২য় দিন তো বল ব্যাট এ লাগে না ।
আমার গায়ে আবার আলগা বাতাস লাগলো। পরীক্ষা দিবো না ।
পরে যখন বড় ক্রিকেট ব্যাট কিনে দেওয়ার কথা দিল
আমি আমার লাইফ এ ২য় ভুল করে পরীক্ষা দিলাম। হতাশার জিনিস হল স্কলারশিপ পেলাম ও। আপনারা হয়ত ভাববেন এতে হতাশ আর কি আছে ?
হতাশ তো বটে,ফাইভ এ স্কলারশিপ পাইছি, মজা টের পাইছি ক্লাস এইট এ ।
মজার নাম সরল সুদকষা । কিন্ত এই সরল জিনিস আমার টয়লেট কষা বানাইছে ।
স্কলারশিপ দিবো তাই এই চিরতার পানির চেয়ে ও তিতা সুদকষা করলাম।
আমি কি আর বিদ্যাসাগর এর ভাতিজা লাগি যে দেখব আর করে ফেলব? যা ই হোক পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বের হয়ে
ক্রিকেট মাঠ বানায়ে ভাবছি মা বাবা কে আমি ত্যাজ্য করব । কারন রেজাল্ট দেখলে আমারে আগে এ বের করে দিবো,
আল্লাহ কে অবাক করে দিয়ে আমার রক্তে + রেজাল্ট পাইসে ( যে পরীক্ষা দিছি আমই জানি )।
আমার এই বেহাল দশা দেখে ভাবতামএটা আমার জন্মগত রোগ,
এটা একটা জটিল জিনিস ( উত্তম মাধ্যম ছাড়া ভাল হয় না )। কিন্ত এই বার বাড়ি গিয়ে শুনলাম আমার বাবা
ও নাকি পরীক্ষা দিত না,ফরমফিলআপ এর টাকা দিয়ে ঢাকা ঘুরছে।
হায় আল্লাহ এটা দেখি আমার বংশগত রোগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।