আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজেকে আজ এই প্রশ্নটি একবার করুন ?

মনে নেয়া আর মেনে নেওয়া এক নয়।
প্রতিদিন ভার্সিটি যাওয়ার পথে, পথহাঁটা রাস্তায় , ট্রাফিক সিগ্নালে ,আড্ডার সময় ;মাঝে মাঝে একটি বা দুটি ময়লা হাত বাড়িয়ে থাকে আর ভীত একটি আকুতি ' একটা টাকা দেন না আপা, খুব খিদা পাইসে' অথবা একটা ফুলের মালা বা চকলেট বিক্রির আবেদন করে কিছু টাকার আসায় !! শ্রেণী বিভেদ ,লিঙ্গ বিভেদ সহ আর হাজারো বিভেদে যখন পৃথিবী জর্জরিত তখন এই বিভেদ কমলমতি শিশুদের ও ছারেনি। একশ্রেণী আছে যারা মায়ের অতি যত্নের ,যাদের আবদার করার আগেই সব চাওয়া পূর্ণ হয়ে যায় । যেমনটি আমি কিংবা আপনি ও ?? আরেকশ্রেনী আছে যাদের আবদার করা যেন জন্মের সাথে সাথে ই বারন করেছেন সৃষ্টিকর্তা ! যাদের শৈশব এ নেই প্রান খুলে হাঁসার খেলবার সব ইচ্ছা পূরণের সুযোগ। যাদের এখনই নামতে হচ্ছে দিন শেষে কি খাবে?কত টাকা মনিব কে দিতে হবে ??....সে চিন্তায় !! আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শিশু মৃত্যুহার আগের তুলনায় কমে এসেছে।

কিন্তু খুব বেশি কি লাভ হয়েছে তাতে? বিভিন্ন প্রাকিতিক দুর্যোগে বিশাল পরিমান প্রাণহানি হয়ে থাকে যার মাঝে উল্লেখযোগ্য অংশ থাকে শিশু। এছাড়াও বিভিন্ন নির্মাণ কাজে , কারখানাতে বিষাক্ত কাজে এবং আজকাল বিশেষভাবে চোখে পরে বাসাবাড়িতে কর্মরত শিশু নির্যাতন। একবার কি ভেবেছি আমি বা আমরাও হতে পারতাম তাদের এ মত কেউ একজন? একটি সভ্য ও জ্ঞানে-শিক্ষায় সমৃদ্ধ দেশের জন্য সব বয়সের মানুসের অংশগ্রহনের প্রয়োজন। সেখানে একটা বিশাল অংশ জুরে আছে শিশু। আমার বা আপনার ছোট ভাইবোনেরা সবক্ষেত্রে ই এগিয়ে থাকবে কারণ তারা সুবিধাবঞ্ছিত শিশু নয়।

তাদের খাবার , পোশাকের , শিক্ষার চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু সেই সুবিধাবঞ্ছিত শিশুগুলোকে যদি সঠিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা না যায় তবে একটি পূর্ণ দেশ, একটি পূর্ণ রাষ্ট্র, একটি পূর্ণ পৃথিবী ,একটি পূর্ণ বিশ্ব কল্নপনাতীত নয় কি?? এই দিবস ,সেই দিবসে কত আয়োজন হয়ে থাকে সুবিধাবঞ্ছিত শিশুগুলোকে নিয়ে। সভা সেমিনার , নামিদামি এনঙ্গিও গুলো বিভিন্ন কাজ করে থাকে । তারা কততুকু সফল বা বিফল তা আলোচনা নয়। একটি দেশের বিশেষ করে আমাদের মত সমস্যা জর্জরিত দেশের পক্ষে উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন আমরা প্রত্যেকে সচেতন হব।

সুধু সচেতনতা নয়, শুধু সরকারি সাহায্য বা বিদেশি অনুদানের আসায় নয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে সাধ্য অনুসারে। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের বাস এ দেশে আমরা কি পারি না প্রত্যেকে অন্তত নিজের একটি অতিরিক্ত অপ্রয়জনীয় কোন বিশেষ অভ্যাস ত্যাগ করে সে টাকায় কোন একটা দুস্থ শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে? খুব বেশি কিছু ত প্রয়োজন নেই, শুধু একটু ইচ্ছা , সহযোগিতাই পারে তাদের বাচাতে , মানুষ হিসেবে সব সুযোগ সুবিধা পেতে,নিজের জীবনটাকে সাজাতে। ব্লগে শুধু লেখার জন্যই লেখা নয় বা নতুন কোন লেখা প্রকাশ করে রাতারাতি হইচই ফেলে দেবার জন্য নয়। নিজেকে কিছু প্রশ্ন করার জন্যেই এ লেখা ঃ আজ হয়ত ওর অবস্থানে আমিও থাকতে পারতাম??? গাড়ির জানালায় পেতে থাকা হাতটি আমার ও হাত হতে পারত?? ............. পাঠক একবার নিজেকে সেই অবস্থানে চিন্তা করুন তো? নিজেকে ও আজ এই প্রশ্নটি একবার করুন ? আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ এর একটি কথা দিয়ে শেষ করতে চাই ঃ বাঁচাও অন্যকে, বাঁচবে তুমি নিজে। ফোটাও হাঁসি সবার মুখে , হাঁসবে তুমি নিজে।

আলোকিত করো সকলকে , আলোকিত হবে তুমি নিজে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.