আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়?

আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি, তুইএসে দেখে যা নিখিলেষ.... মানুষ হিসেবে এরাও এ বাংলার জল-হাওয়াতেই বেড়ে উঠেছে। কিন্তু ব্যাক্তিস্বার্থে জলাঞ্জলি দিয়েছে স্বাধীনতার চেতনাকে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল তাদের চোখে ধর্মোদ্রোহিতা, এবং দেশদ্রোহিতাও। পাকিস্তানী প্রভুদের মনোরঞ্জনে এরা করেনি এহেন অপকর্ম নেই। নিজেরা হত্যা করেছে, মুক্তিকামীদের তুলে দিয়েছে হানাদারদের হাতে।

১০ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীতে এদের দায় প্রত্যক্ষই। স্বাধীনতার জন্য জীবনদান যদি সর্বোচ্চ মূল্য হয় বাঙ্গালী জাতির মত এত বেশী মূল্য অন্য কোন জাতিকে দিতে হয় নি। অথচ স্বাধীনতার ষোল বছর অতিক্রান্ত না হতেই স্বাধীনতার ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের নাগরিকরা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছে। এই বিস্মরণ অস্বাভাবিক নয় একারণে যে, স্বাধীনতার পর যে কয়টি সরকার আমরা পেয়েছি তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে চায় নি। বরং চেয়েছে এই চেতনা গোটা জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত অবলুপ্ত হোক।

যে কারণে গোলাম আজম, আব্বাস আলী খান বা মওলানা মান্নানের মতো একাত্তরের ঘাতকদের এদেশের রাজনীতিতে বা সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান করে নিতে দেখেও আমরা নিন্দা করি না, প্রতিরোধ গড়ে তুলি না। একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা যখন সরকার প্রশাসন, রাজনীতি কিম্বা শিল্প সংস্কৃতির সর্বক্ষেত্রে বসে ছুরি শানাচ্ছে আরেকটি গণহত্যার জন্য, সরকার তখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুষ্টিমেয় লোক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে স্বধীনতার পক্ষের শক্তির উপর ইতিহাসের নৃশংতম গণহত্যা চালিয়েছিল। আমরা চিনি তারা কারা। একাত্তর বাহাত্তরের সংবাদপত্রে তাদের ততপরতার খবর প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে তাদের ধরিয়েদেয়ার জন্য প্রতিদিন সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য সরকারী তত্বাবধানে রচিত মুক্তিযুদ্ধের ১৫ খন্ডের বিশাল ইতিহাসে তাদের নাম ছাপা হয় নি। আরো বিস্মিত হই তখন—যখন এইসব ঘাতকদের দেখি পত্রিকায় সদম্ভে ঘোষণা করে – একাত্তরে আমরা ভুল করি নি। কিম্বা যখন বলে ......কিসের বিতর্কিত আমি? অথচ এর বিরুদ্ধে এতোদিন মুষ্ঠিমেয় কয়েক জন ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি। আজ শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বরে তরুন সমাজ ও প্রগতিশিল ব্লগাররা আওয়াজ তুলেছে ৭১ এর ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে, এই সব আন্দোলনকারী সকলের প্রতি রইল আমার শুভকামনা ও সুগভীর ভালবাসা।

প্রথমে আসা যাক কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটিদের সদস্যদের নামের তালিকায়- এখানে ১০৪ জন সদস্যের সবার নাম পাওয়া যায়নি। যাদের নাম আছে তা মুদ্রিত দলিলের ভিত্তিতে প্রণিত। বাকিরা সবাই ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রপন্থী দলগুলোর সদস্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ : ১. খাজা খয়েরউদ্দিন : পাকিস্তানে মুসলিম লিগ নেতা ২. একিউএম শফিকুল ইসলাম : অ্যাডভোকেট লাহোর হাইকোর্ট, বাংলাদেশে ব্যবসা আছে ৩. গোলাম আজম : জামাতে ইসলামীর বিগবস ৪. মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম : কেন্দ্রীয় মজলিশে সাদারাত সদস্য, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল উম্মাহ ৫. আব্দুল জব্বার খদ্দর : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৬. মাহমুদ আলী : পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের সমাজকল্যাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ৭. এমএকে রফিকুল ইসলাম : তথ্য পাওয়া যায়নি ৮. ইউসুফ আলী চৌধুরি (মোহন মিয়া) : স্বাধীনতা যুদ্ধকালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৯. আবুল কাশেম : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ১০.গোলাম সারওয়ার : লন্ডনে জামাতিদের সংগঠন দাওয়াতুল ইসলাম নেতা এবং লন্ডন ভিত্তিক ইসলামিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ১১. সৈয়দ আজিজুল হক (নান্না মিয়া) : জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদ সদস্য ১২. এ এসএম সোলায়মান : সভাপতি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি ১৩. পীর মোহসেনউদ্দিন (দুদু মিয়া) : সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লিগ ১৪.শফিকুর রহমান : চেয়ারম্যান ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লিগ ১৫. মেজর (অবঃ) আফসারউদ্দিন : আহবায়ক, বাংলাদেশ গণতন্ত্র বাস্তবায়ন পরিষদ, সভাপতি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ১৬. সৈয়দ মোহসেন আলী : শিল্পপতি, প্রাক্তন সভাপতি, শিল্প ও বণিক সংস্থা এবং ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ, প্রাক্তন পরিচালক আইএফআইসি ব্যাঙ্ক ১৭. ফজলুল হক চৌঃ : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ১৮. মোঃ সিরাজুদ্দিন : শিল্পপতি, ঢাকা শহর সভাপতি বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ১৯.এডভোকেট এ টি সvদি : অবসরপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ২০. এডভোকেট আতাউল হক খান: সহসভাপতি বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ২১.মকবুলুর রহমান : শিল্পপতি ২২. আলহাজ্ব মোঃ আকিল : ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ নেজামি ইসলামী দল ২৩.প্রিন্সিপাল রুহুল কুদ্দুস : কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস¨, জামাতে ইসলামী ২৪.নুরুজ্জামান : শিল্পপতি, পরিচালক ইসলামী উন্নয়ন ব্যাঙ্ক ২৫. মওলানা মিয়া মফিজুল হক : কেন্দ্রীয় মজলিশে সাদারাত সদস্য, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল উম্মাহ ২৬. এডভোকেট আবু সালেক : সিনিয়র এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ২৭. এডভোকেট আবদুন নাঈম : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ২৮. মওলানা সিদ্দিক আহমেদ : কেন্দ্রীয় মজলিশে সাদারাত সদস্য, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল উম্মাহ ২৯. আবদুল মতিন : মহাসচিব বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ৩০. ব্যারিস্টার আখতার উদ্দিন : সৌদি আরবে অবস্থানরত সৌদিয়া ইন্টারন্যাশনালের আইন উপদেষ্টা ৩১.তোয়াহা বিন হাবিব : শিল্পপতি, সদস্য, কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৩২. হাকিম ইরতিজায়ুর রহমান : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৩৩. রাজা ত্রিদিব রায় : করাচিতে ব্যবসা করছেন ৩৪. ফয়েজ বক্স : সভাপতি, নিখিল বাংলাদেশ মুসলিম লিগ। পূর্ব পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ ১.মৌলবী ফরিদ আহমেদ, সভাপতি : স্বাধীনতার পরপরই নিখোঁজ হন ২.নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক : প্রাক্তন পরিচালক, ইমাম প্রশিক্ষণ কোর্স, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩. মওলানা আব্দুল মান্নান : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী (এরশাদ সরকার) ৪.জুলমত আলী খান : সহ-সভাপতি বিএনপি ৫.একেএম মুজিবুল হক : শিল্পপতি ৬.ফিরোজ আহমেদ : তথ্য পাওয়া যায়নি মালেক মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ ১.আবুল কাশেম : আগে বলা হয়েছে ২.নওয়াজেশ আহমেদ : সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ৩.এ এস এম সোলায়মান : আগে বলা হয়েছে ৪.ওবায়দুল্লাহ মজুমদার : কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৫. আব্বাস আলী খান : ভারপ্রাপ্ত আমির, জামাতে ইসলামী (গোলাম আজম নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত) ৬.মওলানা একেএম ইউসুফ : সেক্রেটারি জেনারেল, জামাত ৭.মওলানা ইসহাক : মজলিশে সুরা সদস্য, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ৮.শামসুল হক : তথ্য পাওয়া যায়নি ৯.জসিমুদ্দিন আহমেদ : স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক মৃত্যু ১০.আখতারুদ্দিন আহমেদ : আগে বলা হয়েছে ১১. অংশু প্রু চৌধুরী : প্রাক্তন মন্ত্রী (বিএনপি) ১২. এএম মোশাররফ হোসেন : সেক্রেটারি জেনারেল, ইসলামি ডেমোক্রেটিক লিগ ১৩.মুজিবুর রহমান : বাংলাদেশ-সৌদŠ আরব মৈত্রী সমিতি প্রধান ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাতকারী তদানীন্তন পূর্ব পাক প্রতিনিধি দল ১.হামিদুল হক চৌধুরী : মালিক অবজারভার গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স ২.মাহমুদ আলী : আগে বলা হয়েছে ৩.ডঃ সাজ্জাদ হোসেন : অধ্যাপক, কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব, এখন বাংলাদেশে ৪.বিচারপতি নুরুল ইসলাম : উপরাষ্ট্রপতি ৫. ডঃ কাজি দীন মুহাম্মদ : অধ্যাপক বাংলাবিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিসংঘ পাক প্রতিনিধি দলের বাঙালী সদস্যবৃন্দ ১.শাহ আজিজুর রহমান : প্রাক্তন সভাপতি বিএনপি ২. জুলমত আলি খান : আগে বলা হয়েছে ৩. রাজিয়া ফয়েজ : সহ সভাপতি, বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ৪. ডঃ ফাতিমা সাদিক : অবসরে ৫. এ.টি, সাদি : আগে বলা হয়েছে ৬.কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির লিয়াজোঁ অফিস এবং ভারপ্রাপ্ত লিয়াজোঁ অফিসাররা (ঠিকানা ও ফোন নং '৭১ সালের) কোতোয়ালী থানা : ১.এআইআহমদ শের, আহসান মঞ্জিল, ১৭ আহসানুল্লাহ রোড, ঢাকা।

ফোন : ২৪৬৩৪০ ২.সাকী সুলতান, কসাইটোলা, ঢাকা। ফোন :২৫১৩১৫ লালবাগ থানা: ১.আলহাজ নাজির হোসেন, চেয়ারম্যান, লালবাগ ইউনিয়ন কমিটি। ৫৩, জগন্নাথ সাহা রোড, ঢাকা। ফোন : ২৫৩১৩৮ ২.এসএম হাবিবুল হক, হাউজ নং ৬১২, রোড নং-১৮, ধানমন্ডী, ঢাকা। ফোন : ২৫০৮০৬ (অফিস), ২৫৪০৬৪ (বাসা)।

৩. নোয়াব আলী এডভোকেট, সেন্ট্রাল রোড, ঢাকা। ফোন : ২৫০২৬১। এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট সূত্রাপুর থানা : ১. আলহাজ সিরাজুদ্দিন, সাবেক এমপিএ। ৯১ ঋষিকেশ দাসরোড, ঢাকা। ফোন : ২৮১৩৪২ (অফিস) ২৮২৫৪০ (বাসা)।

আগে বলা হয়েছে। ২. মাহতাবুদ্দিন খান, ৫৪ আরকে মিশন রোড, ঢাকা। ফোন : ২৪৫৩৫৪ ৩. ফয়জুল হক, ১২ ফরাশগঞ্জ,ঢাকা। ফোন : ২৫৭৫৯৬ ৪. তমিজউদ্দিন, ৩১, জারিয়াতলী লেন, ঢাকা। ফোন : ২৫৭৩৫৬ ৫. আবদুর রশিদ, রথখোলা রোড ঢাকা।

ফোন : ২৫৭০৪০ তেজগাঁও থানা : ১. ইকবাল ইদ্রিস, ৭৫, ইন্দিরা রোড, তেজগাঁও ঢাকা। ফোন : ২৫১১০৭ (অফিস), ৩১০৯৮০ (বাসা) ২. মাহবুবুর রহমান গুরহা। ফোন : ৩১১১৭১; জাতীয় পার্টি নেতা এবং পৌরসভা ওয়ার্ড কমিশনার তেজগাও। ৩. এসএম হাবিবুল হক, হাউস নং -৬১২, রোড নং ১৮, ধানমন্ডী ঢাকা। ফোন : ২৫০৮০৬ (অফিস) ২৫৪০৬৪ (বাসা) ৪. মোহাম্মদ নোয়াব আলী, হেডমাস্টার, আইপিএইচ স্কুল, মহাখালী (ওয়ারলেস কলোনীর পাশে)।

মীরপুর থানা : ১. লায়েক আহমেদ সিদ্দিকী, ২৬, এসি মিরপুর প্রথম কলোনী, ঢাকা। মোহাম্মদপুর থানা : ১. এমএ বাকের, ৩০/৬ মোহাম্মদপুর কলোনী, ফোন : ৩১১৫৩৮, চেয়ারম্যান বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটভ ২. ডঃ ওসমান, 'এ' ব্লকের নিকটবর্তী বাড়ি, মোহাম্মদপুর ঢাকা। ফোন : ৩১১২৬৮ (অফিস), ৩১২৮৯৫ (বাসা) ৩. সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক, কায়েদে আজম রোড (রাফাকাত খানের বাড়ির কাছে) মোহাম্মদপুর, ঢাকা। ফোন : ২৫৪৮০৮ ৪. শফিকুর রহমান এডভোকেট, ৬৮ ঝিগাতলা, ঢাকা। ফোন : ২৪৬৪৬৭।

প্রাগুক্ত ৫. আবদুর রহিম চৌধুরী, হাউস নং ৭৯০, রোড নং ১৮, ধানমন্ডী ঢাকা। ফোন : ৩১১০৩৩ রমনা থানা : ১. আতাউল হক খান এডভোকেট, ১৯৭ বড় মগবাজার ঢাকা। প্রাগুক্ত ২. জিএ খান এডভোকেট, ২৪, দিলু রোড, ইস্কাটন ঢাকা-২। ফোন :২৫৪০৩৫, সহসভাপতি বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ৩. অধ্যাপক এ হাশেম ৪. জুলমত আলী খান এডভোকেট। ১, পুরানো পল্টন ঢাকা ঢাকা।

ফোন : ২৫৪৮০৮, প্রাগুক্ত ৫. ডাঃ মোহাম্মদ আইউব আলী। সি ৫৬৭/এ, চৌধুরী পাড়া, খিলগাও ঢাকা। ফোন : ২৫৪৮০৮ ৬. এডভোকেট এ ওয়াদুদ মিয়া, শান্তি নগর ঢাকা। ৭. শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের তথ্য অফিস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগন ১. রামপুরা, ভারপ্রাপ্ত সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার (অবঃ ইঞ্জিনিয়ার) ২. ২৭১, মালিবাগ, ঢাকা-২, ভারপ্রাপ্ত সদস্য মৌলভী ইদ্রিহ আহমেদ ৩. স্টেডিয়াম ঢাকা, ভারপ্রাপ্ত সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার ৪. ১২, ধানমন্ডী; রোড নং-৫ ঢাকা। সদর দপ্তর, পূর্ব পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ পরিষদ।

টেলিফোন : ২৫১৭২১ ৫. ১২, গোবিন্দ দাস লেন, আরমানিটোলা, মওলানা শাহ ইসমাইল হোসেন চিশতি ৬. ২, বাসাবাড়ি লেন (ইংলিশ রোডের কাছে) মৌলবী তাসওয়ার হোসেন খান ৭. ৬৬, পাতলা খান লেন, ঢাকা। মওলানা আব্দুল মজিদ। ফোন :২৪৩৮৩৬ ৮. ১২, নবদ্বীপ বসাক লেন ঢাকা। ৯. উর্দু রোড, ঢাকা, হাজী মোঃ ইসহাক। ৮. রাজাকার হাইকমাণ্ড (প্রথম পর্যায়) ১. এএসএম জহুরুল হক, ডিরেক্টর রাজাকারস্ : ঢাকায় ব্যবসা করছে ২. মফিজুদ্দিন ভুইয়া, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর পশ্চিম রেঞ্জ : খুলনায় ব্যবসা করছে ৩. এম, ই, মৃধা, তমঘায়ে খিদমত, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর, রাজাকার হেডকোয়াটার্স : তথ্য পাওয়া যায়নি ৪. এম, এ, হাসনাত, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর, কেন্দ্রীয় রেঞ্জ ৫. ফরিদুদ্দিন, ঢাকা শহর অ্যাডজুটেন্ট : সৌদি আরবে চাকরি করে পরবর্তী পর্যায়ে মুহম্মদ ইউনুসকে (ইসলামী ব্যাঙ্কের মহাপরিচালক ও জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য) কমান্ডার ইন চিফ এবং মীর কাসেম আলীকে (মহানগর জামাতের নায়েবে আমির) চট্টগ্রাম প্রধান করে ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা প্রধানদের স্ব স্ব জেলার রাজাকার বাহিনী প্রধান করা হয়।

ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বদর হাইকমান্ড) ১. মতিউর রহমান নিজামী (সারা পাকিস্তান প্রধান) ২. আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদ (পূর্ব পাকিস্তান প্রধান) ৩. মীর কাসেম আলী (প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান ছিলেন, পরে আল বদর বাহিনীর নেতৃত্বের তৃতীয় পদ লাভ করেন) ৪. মোহাম্মদ ইউনুস ৫. মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক) ৬. আশরাফ হোসাইন (বদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও ময়মনসিংহ জেলা প্রধান) ৭. মোহাম্মদ শামসুল হক (ঢাকা শহর প্রধান) ৮. মোস্তফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর বদর বাহিনীর অন্যতম নেতা) ৯. আশরাফুজ্জামান খান (ঢাকা শহর বদর বাহিনীর হাইকমান্ড সদস্য এবং বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের চিফ এক্সিকিউটর : প্রধান জল্লাদ) ১০.আ.শ.ম রুহুল কুদ্দুস (ঢাকা বদর বাহিনীর অন্যতম নেতা) ১১.সরদার আবদুস সালাম (ঢাকা জেলা প্রধান) ১২.খুররম ঝা মুরাদ (লন্ডনে এখন জামাতের প্রধান সমন্বয়কারী) ১৩. আবদুল বারী (জামালপুর প্রধান) ১৪. আবদুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা প্রধান) ১৫. আবদুল জাহের মোহাম্মদ আবু নাসের (চট্টগ্রাম জেলা প্রধান) ১৬. মতিউর রহমান খান (খুলনা জেলা প্রধান) ১৭. চৌধুরী মঈনুদ্দিন (বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের অপারেশন ইনচার্জ, জামাতের সাপ্তাহিক দাওয়াত পত্রিকার সম্পাদক ও লন্ডনে জামাতের প্রধান সংগঠন দাওয়াতুল ইসলাম নেতা) এছাড়া ঢাকা শহর বদর বাহিনীর দুই নেতা নুর মোহাম্মদ মলি্লক ও একে মোহাম্মদ আলী এবং রাজশাহী জেলা বদর বাহিনী প্রধান মাজহারুল ইসলামের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। টিক্কা খান গঠিত প্রাদেশিক শিক্ষা সংস্কার কমিটি ১. ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন * (ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ২. ডঃ হাসান জামান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢা.বি) ৩. ডঃ মোহর আলী (ইতিহাস বিভাগ, ঢা.বি) ৪. এএফএম আব্দুর রহমান (গণিত বিভাগ, ঢা.বি) ৫.আবদুল বারী (ভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) ৬. ডঃ সাইফুদ্দিন জোয়ার্দার ৭. ডঃ মকবুল হোসেন ঢা.বি'র অন্যান্য শিক্ষক, দালালীর অভিযোগে যাদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছিল ক. বেগম আখতার ইমাম (প্রভোস্ট, রোকেয়া হল) খ. বাংলা বিভাগ : ১.ডঃ কাজি দীন মোহাম্মদ গ. আরবী বিভাগ : ১. ডঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ২. ডঃ ফাতিমা সাদিক ** ঘ. রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ : ১. ডঃ গোলাম ওয়াহেদ চৌধুরী ২.ডঃ রশিদুজ্জামান** ৩. ডঃ একেএম শহীদুল্লাহ ৪.একেএম জামালউদ্দিন মোস্তফা** ঙ. সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ : ১. মোঃ আফসারউদ্দিন চ. মনোবিজ্ঞান বিভাগ : ১. ডঃ মীর ফখরুজ্জামান ছ. পদার্থ বিদ্যা বিভাগ : ১. ডঃ মোঃ শামসুল ইসলাম জ. ফার্মেসি বিভাগ : ১. ডঃ আব্দুল জব্বার ঝ.পরিসংখ্যান বিভাগ : ১. ডঃ মাহবুবউদ্দিন আহমেদ ২. মোঃ ওবায়দুল্লাহ ** (আশকার ইবনে শাইখ নামে পরিচিত রেডিও-টিভি নাট্যকার) ঞ. শিক্ষা গবেষনা ইন্সটিটিউট : ১. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ২. আব্দুল কাদের মিয়া ** ৩. ডঃ শাফিয়া খাতুন ট. স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট : ১. লেঃ কঃ (অবঃ) মতিউর রহমান ঠ. সাংবাদিকতা বিভাগ : ১. আতিকুজ্জামান খান ড. উর্দু ও পার্সী বিভাগ : ১. ডঃ আফতাব আহমেদ সিদ্দিকী ২. ফজলুল কাদের ঢ. আইন বিভাগ : ১. নুরুল মোমেন ণ.ইসলামের ইতিহাস বিভাগ : ১. ডঃ এসএম ইমামুদ্দিন ত. ঢা.বির কেয়ার টেকার এসডি দলিলুদ্দিন থ. উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ : ১. মোঃ মাহবুবুল আলম ফাইজুল জালালউদ্দিন** ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের এইসব দালাল শিক্ষকের অনেকেই বুদ্ধিজীবি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আল-বদর বাহিনীর প্রধান জল্লাদ আশরাফুজ্জামান খানের ডায়েরিতে এদের অনেকের নাম পাওয়া যায়। আরো ছিল : ১. শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের উচ্চমান সহকারী নাসির আহমেদ* ২. চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসের পেইন্টার জহির খান ** ৩. ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের পিয়ন শাহজান ৪. সলিমুল্লাহ হলের পিওন মোহাম্মদ মুস্তফা** ১ অক্টোবর ১৯৭৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নামের শেষে ও (**) চিহ্নিত ব্যক্তিরা যথাক্রমে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষকৃত হয়। বিঃ দ্রঃ একাত্তুরের ঘাতক দালালেরা কে কোথায়? বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকাতে বলা হয়েছে "৭১-এ চীনপন্থীদের ভূমিকা নিয়ে ভিন্ন রচনা লেখা যেতে পারে; এ বইয়ে তার অন্তর্ভূক্তির অবকাশ নেই।

কারণ গণহত্যায় অংশ নিয়েছেন বা পাক বাহিনীর ভূমিকাকে সমর্থন করে কাগজে বিবৃতি দিয়েছেন কিম্বা যুদ্ধ-পরবর্তী সরকার দালালীর অভিযোগ এনেছেন – এমন কোন চীনপন্থীর নাম আমরা ৭১’ বা ৭২’ এর সংবাদপত্রে বা সরকারী গেজেটে পাই নি। পরবর্তী সময়ে পাওয়া গেলে অবশ্যই সেগুলি তালিকাভুক্ত করা হবে। " তথ্যসূত্র : ১। একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়, প্রকাশনা মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র, তৃতীয় সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮। ২।

ইন্টারনেট ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকা।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।