খালেদা জিয়া সেনানিবাসের বাড়িটিকে জাদুঘর বানাতে চেয়েছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১২ জুন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পরিবারকে শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি স্থায়িভাবে বরাদ্দ দেয়ার কথা ওঠে। তখন ওই সভাকে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বসবাসের বদলে বাড়িটিকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গুলশানে ১৬ কাঠার একটি বাড়ি বরাদ্দের কথা আলোচনায় আসে। মেয়রকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
১৯৮২ সালের ১৯ মার্চ আগের আলোচনার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানের ১৬ কাঠার বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বিষয়টি পুনরায় উত্থাপিত হয় এবং ১৬ কাঠার বাড়িটির মামলা-মোকদ্দমার কারণে খালেদা জিয়াকে তার বদলে গুলশানে প্রায় ৩১ কাঠার আরেকটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়। যা খালেদা জিয়া রেজিস্ট্রি করে নিয়ে ১৯৮২ সাল থেকে ভোগদখল করছেন।
অন্যদিকে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্তের আড়ালে ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিলিটারি এস্টেট ইউনিট (এমইইউ) খালেদা জিয়াকে ১ টাকার বিনিময়ে মইনুল রোডের প্রায় ৩ একরের বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে দেয়। মন্ত্রিসভায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতির পরিবারকে একটি আবাসন দেয়ার সিদ্ধান্তটি- খালেদা জিয়া মইনুল রোডের বাড়িটি নিতে অসম্মতি জানানোয় গুলশানে ৩১ কাঠার একটি বাড়ি বরাদ্দের মাধ্যমে শেষ হয়।
শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারকে গুলশানের অতিরিক্ত কিংবা শুধু মইনুল রোডের বাড়িটি বরাদ্দ দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় হয়নি।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।