একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ বাড়ছে। এরশাদের দেওয়া কোন প্রলোভনেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাড়া দেয়নি। খালেদা জিয়া তখন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য রাজপথে অবস্থান নেয়। শেখ হাসিনাও স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে মাঠে নামলে এরশাদ পুরাপুরি বেকায়দায় পরে যায়।
সুচতুর এরশাদ তখন ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার এবং নির্বাচনের ঘোষণা দেয় এবং শেখ হাসিনা সে নির্বাচনে অংশগ্রহণও করে। কিন্তু সুচতুর এরশাদের চতুরতা ধরতে পেরে হাসিনা আবারও এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে।
১০ নভেম্বর, ১৯৮৭। আন্দোলনে নামে লাখো জনতা! তীব্র শীত এবং কনকনে বাতাস উপেক্ষা করে লাখো জনতা পল্টনের দিকে..........।
সেখানে হঠাৎ হেঁটে আসছে খালি গায়ে এক যুবক।
‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ বুকে পিঠে লিখে জীবন্ত পোস্টার হয়ে তিনি রাজপথ কাঁপিয়ে আসছেন। চোখে মুখে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা। উপস্থিত জনতার ঘোর কাটার আগেই স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটে লুটিয়ে পরে নূর হোসেন। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হোন নূর হোসেন।
এ শহীদের খুনী কে?
নূর হোসেনের খুনী কে সে প্রশ্ন আসার হয়তো সুযোগই থাকতোনা। কিন্তু ২০০৬ সালের ১৬ আগস্ট সকালে রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে বৃহত্তর রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতি বক্তব্যে নূর হোসেন হত্যাকাণ্ড বিষয়ে এরশাদ বলেন, আমি নূর হোসেনকে হত্যা করিনি। নূর হোসেন লাশের রাজনীতির শিকার হয়েছেন। সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একটি লাশ চেয়েছিলেন। সেই লাশের রাজনীতির শিকার হয়ে নূর হোসেন মৃত্যুবরণ করেছিল।
নূর হোসেনের কি নির্মম পরিহাসঃ
শহীদ নূর হোসেন যে স্বৈরাচার সরকার পতনের জন্য, যে গণতন্ত্রের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। সেই স্বৈরাচার আবার ক্ষমতায়! মহাজোটের প্রধান অংশ তারা! ভাগ্যের সে কি নির্মম পরিহাস!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।