যা দেখি,শুনি,অনুভব করি, আমি স্বপ্নি। তাই গল্পে রুপ দিতে চাই...............
বাস্তবিক তৈল মর্দনে আমরা যে সেরা সেটা আর বলে বোঝাতে হবেনা। কোথায় চলছে না এই তেলবাজি। নিজের ঘর থেকে শুরু করে প্রধান্মন্ত্রীর অফিস,কিন্ডারগার্টেন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। রেডিও থেকে সাইবার জগত।
ঘর বাহির সব জায়গায় চলছে। যে যত দিবে তেল সেই তত উপরে।
আমাদের টোল এর পন্ডিত মশাই-র এবার স্বাধ হল সামু না কি যেন একখান ব্লগ আছে,অইখানে গিয়া একটু নিজের পান্ডিত্য জাহির করা। মাথা খারাপ তার মতন বিদ্বান ব্যাক্তি এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে দ্বিতীয়টি কে আছে খোদ ব্রহ্মা ছাড়া। এরপর পন্ডিত মশাই এলেন ব্লগে আর শুরু হল অগ্নিবর্ষন।
বাউরে সে কি পুস্ট আর মন্তব্য। কিন্তু সমস্যা হল ব্লগে কিছু সেন্স অফ হিউমার বিহীন ব্লগারকে নিয়ে। যারা পন্ডিত মশাইর নিজের পোস্ট না পড়ার মত মহাপাপ করার পর ও একটা দুঃসাহসিক,কি ভয়ানক কাজ করে ফেলল তারা অন্য এক ব্লগারের পোস্টে পন্ডিত মশাইয়ের একটা মন্তব্যের সমালচনা করে তাকে ছাগল বলে ফেলল। এখানে বলা বাহুল্য পন্ডিত মশাইএর কিছু চামচিকাও কিন্তু ততদিনে সামুতে চলে এসেছে। বাস্তবিক পন্ডিত মশাই ছিলেন অনেক ঠান্ডা মেজাজের তিনি এতে ক্ষিপ্ত হলেন না তবে ক্ষেপে গেল তার গাধা আর চামচিকার দল।
তারা ঐ ব্লগারদের বোঝাতে লাগলেন পন্ডিত মশাইএর পান্ডিত্যের মাহাত্ম্য,তারা বোঝাতে লাগল পন্ডিত মশাই যখন কারো পোস্টে কোন মন্তব্য করবে তখন তা পড়ার আগে উনার সকল পোস্ট পড়ে, আগে বুঝতে হবে তারপর মন্তব্য,আর উনি হল পন্ডিত উনার সাথে তর্ক!!!সর্বনাশ। তোমাদের টোলে কি তোমাদের পন্ডিত এই শিক্ষা দেয়????? কিন্তু এরা ঘাউরা ব্লগার, কিছুই বুঝতে চায়না। শুধু বলে আমরা শিখেছি যা কিনা ভূল,অন্যায় তার সাথে তর্কের জন্য বয়স কিংবা গুরু -শিষ্য লাগেনা। এভাবে তাহারা তাহদের তর্ক চালাইয়া লইতে লাগিল।
অতঃপর পন্ডিত মশাই ক্ষিপ্ত হইয়া গাধা আর চামচিকাকে ডাকিয়া লইয়া আসিলেন এবং বলিলেন তোমাদের উপর কিছু গুরু দায়িত্ব অর্পিত হইল।
গাধা আমার পোস্ট এবং কমেন্টের মাহাত্ম্য বর্ননা করিবে সামুর প্রথম পাতায় আর এই সব মূর্খ ব্লগারদের আমার মন্তব্য গুলোর মূল অর্থ শেখাবে যে,আমি যদি মোটা দাগে লেখি তবে কি অর্থ,যদি বাকা করে লেখি তবে কি,আর যদি উলটা করে লেখি তবে কি অর্থ।
চামচিকার উপর দায়িত্ব হইল সে পোস্টে পোস্টে ঘুরিয়া বেরাইবে আর দেখিবে কে আমার পোস্ট এবং মন্তব্যের নামে কু-কথা বলিল। এমন কাউকে পাওয়া গেলে তার সাথে সেখানেই মল্ল যুদ্ধ করিয়া কুপকাত করিতে হইবে। যুদ্ধের মাঝে মাঝে স্মরন করাইয়া দিতে হবে আমি কিন্তু পন্ডিত।
তো যাই হোক দায়িত্ব অর্পন শেষ।
গাধা আর চামচিকা তাদের কর্ম শুরু করিলো আর পন্ডিত মশাই সেই ক্ষেত্র গুলোতে দেখিয়া বেরাইতে লাগিলেন, তার গাধা আর চামচিকা কাজ করিতেছে কিনা। কিন্তু মূল সমস্যা হইতেছে কতিপয় মূর্খ ব্লগার এখনো বিরক্ত করিতেছে। এই ব্লগারদের উচিত শিক্ষা দিবার জন্য তিনি আবার চিন্তা নিবিষ্ট হইলেন.................
(চলবে)
বিঃদ্রঃ এই লেখা আমার উদ্ভট খেয়ালের জাত সন্ত্বান। কারো জীবনের সাথে কোনভাবে মিলে গেলে তা কাক আর তাল মাত্র। লেখক কোনভাবেই দায়ী নহে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।