বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ
আদিলুর রহমান খান - হুইসেলব্লোয়ার
বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনই মূলত "অধিকার" নামক মানবাধিকার সংগঠনের সাথে পরিচয়। বর্তমানে যেমন করে আওয়ামী সরকারের নারকীয় সহিংসতা, হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকারকে পদদলিত করার বিরুদ্ধে সোচ্চার ঠিক তেমনি বিএনপি-জামায়াতের সময়েও রাজনৈতিক হানাহানি ও সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার ছিলো।
তখন ভাবতাম সুলতানা কামালদের মতো আরো এক দানবাধিকার দালালের আবির্ভাব হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু আদিলুর রহমান খানের আ্যাপ্রোচ শুরু থেকেই ফ্যাক্ট ও ইনফরমেশান ভিত্তিক ছিলো, যে কারনে তিনি আলাদা হতে পেরেছিলেন। গতানুগতিক ধারার তথাকথিত দালাল ছিলেন না।
যে কারনে দেখা গেছে বিএনপির সময়ে বিএনপি'র বিরোধীতা করেও কথিত সুশীল ও সুলতানা কামালদের কাতারে গা ভাসিয়ে সম্মানিত!! হতে পারেন নি।
আজ তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গনহত্যাকারী সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কিছু কিইবা আশা করা যায়। তবে আমি খুবই আশাবাদি যে বাংলাদেশ ম্যাচিউর হচ্ছে। বাংলাদেশে সাহসী মানুষের পরিমান বাড়ছে।
মানুষ ভয়ের ও কাপুরষতার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে। যে সাহসের বাতি মাহমুদুর রহমান নামের নির্ভিক সাংবাদিক জ্বালিয়েছেন সেই সাহসের আলোতে আস্তে আস্তে আরো অনেকেই আলোকিত হচ্ছে। তা না হলে সাদা পাঞ্জাবী ও মাথায় টুপি পরিহিত আওয়ামী টেররিস্ট তারেকদের বন্দুকের গুলিতে গনতন্ত্র নিহত হয়ে সৈরাচারিনি লেডি হিটলার হাসিনার দাসে পরিনত হতো।
আদিলুর রহমান খান আমাদের "হুইসেলব্লোয়ার"। আদিলুর রহমান খান আমাদের ব্রাডলি ম্যানিং, আমাদের এডওয়ার্ড স্নোডেন কিংবা জুলিয়ান আ্যাসাঞ্জ।
যে দেশে ব্রাডলি ম্যানিং, এডওয়ার্ড স্নোডেন এর মতো সত্য প্রকাশে অবিচল মাহমুদুর রহমান ও আদিলুর রহমানের জন্ম হয় সে দেশ কখনোই হারতে পারেনা। সে দেশে কখনোই গনতন্ত্রের বদলে স্বৈরতন্ত্র, বাকশালতন্ত্র, হিটলারতন্ত্র জয়ী হতে পারবেনা। সত্যবাদীদের কাছে হারতে হবেই গনহত্যাকারী মানবতাবিরোধীদের। মাথা তোমাদের নোয়াতে হবেই।
বি.দ্র:
কিন্তু এমন একজান সাহসী মানবাধিকার কর্মীর গ্রেফতার ও নির্যাতনে অতিতের মতো দলবাজ বুদ্ধিজীবি, চেতনাবাজ দালাল, ও হলুদ সাংবাদিকদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বরং প্রথম আলো নামক দালাল পত্রিকার রিপোর্ট আমাকে চমকিত করেছে।
প্রথম আলো নামক একটা হলুদ সংবাদপত্র রয়েছে। যেটি আদিলুর রহমানের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করতে গিয়ে লিখেছে। " আদিলুর রহমানখান ওরফে শুভ্র...." আমার প্রশ্ন এ ধরনের ওরফে লাগানো বাক্য আমরা দেখতে পাই কেবল মাত্র দাগী আসামীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রথম আলো নামক আওয়ামী কীট কোন কারনে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মানবাধিকার সংগঠনের একজন সেক্রেটারীকে গ্রেফতারের ব্যাপারে এমন বাক্য ব্যবহার করলো তা আমার বোধগম্য হয়নি। আশাকরি ভবিষ্যতে তাদের সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের ধারাবাহিকতায় শিরোনাম দেখতে পাবো " সজিব ওয়াজেদ ওরফে জয় বলেছেন, কিংবা শেখ হাসিনা ওরফে হাসু বলেছেন..." রকমের রিপোর্ট ছাপা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।