আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"গনতন্ত্র মঞ্চ' বনাম 'গনজাগরন মঞ্চ'

সাধারণ একটা আন্দোলনকে অসাধারণ ফ্লেভার দিয়ে জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা খেলতে যেয়ে কবে না জানি বাংলাদেশ আওয়ামি সরকারের সোনার ডিম পাড়া হাসটাকে হারাতে হয় কে জানে! সেদিন হয়তো আর বেশী দূরে নয়। শুনেছি বিএনপিও নাকি "গনতন্ত্র মঞ্চ" নামের আরেকটি আন্দোলনের সূচনা করবে। জামাত এবং অন্যান্য ইসলামি দলগুলোও বসে থাকবেনা নিশ্চই! তারাও শুরু করবে ইসলাম রক্ষা কমিটি। (ইস্যুটা হবে ইসলাম রক্ষা। এখানে নোংরা রাজনীতি থাকলেও থাকতে পারে।

) প্রত্যেকেরই কম বেশী সমর্থক জোটে যাবে। কেউ জীবন বাজি রেখে গনতন্ত্র রক্ষার পণ করবে। কেউ ইসলাম রক্ষার। শুরু হবে ভায়াবহ বিশৃংখলার। সরকার যদি খুব শক্ত হাতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে না পারে আমার মনে হয় এটা খুব খারাপ একটা ব্যাপার হয়ে যাবে।

"ঘি বেশী মাখলে গু হয়ে যায়" আজ যেই সাধারণ মানুষগুলো 'গনজাগরন মঞ্চে' কথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করছে তাদের সবার সমর্থন এক জায়গায় নাও থাকতে পারে। কেন তাদের সমর্থন এক জায়গায় থাকবেনা তা বলার প্রয়োজনবোধ করছিনা আপাতত। গনজাগরণ মঞ্চের সম্প্রতিক বিতর্কিত কার্যক্রম একটা বড় কারণ হতে পারে। যত দিন যাচ্ছে দেশে বিদেশে এই আন্দোলন নিয়ে ততই বিতর্ক বাড়ছে। যারা প্রথমে আন্দোলনের সাথে ছিল তাদের অনেকেই এখন উল্টো কথা বলছে।

কেউ কেউ আন্দোলনের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে গনজাগরণের নামে পুলিশি পাহারায় 'পিকনিক' করাকে আর যাই বলুক আন্দোলন বলা যায়না। যদি সেই আন্দোলনটা সরকারের ছত্রছায়ায় হয়ে থাকে। অথবা আওয়ামিলীগের কোন উদ্দেশ্যকে চীরতার্থ করার জন্য জিইয়ে রাখা হয়। তাহলে আমার মনে হয় এটা হীতে বিপরিত হয়ে যেতে পারে।

এই আন্দোলনের দেখাদেখি বিএনপি শুরু করবে গনতন্ত্র মঞ্চ। অন্যান্যরা শুরু করবে অন্যান্য মঞ্চ। উভয় পক্ষের সমর্থকদের মাঝে এক ধরণের ধ্বংসাত্বক মনোভাব চলে আসবে। এরকম চলতে থাকলে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতী ভেঙে পরবে। চেইন অব কমাণ্ড মূল্যহীন হয়ে যাবে।

উভয় পক্ষের হাজার হাজার সমর্থক মিলে বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে হামলা করে লুটপাট চালাবে। দেশের সংরক্ষিত অস্ত্র ভাণ্ডার লুট হবে। দেশ এগিয়ে যাবে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে। (যদিও এখনি কারোর কারোর দাবী নির্দিষ্ট ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর পক্ষে। এক পক্ষ হামলা চালালে অন্যরা বসে থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নাই।

) শাহজাহান আহমেদ ০২-২২-১৩ ট্রয়, মিশিগান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।