জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উল্টো পথে চলছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন মহল থেকে ইসিকে শক্তিশালী করার কথা বলা হলেও বর্তমান কমিশন নিজের ক্ষমতা খর্ব করতে উঠেপড়ে লেগেছে।ইসি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪১টি ধারায় ৫৭টি সংশোধনীর প্রস্তাব করে গত মাসে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সম্পূরক হিসেবে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা (৯১-ই ধারা) বিলোপের প্রস্তাবও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের অনেকে দ্বিমত পোষণ করলেও ইসি তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। ইসির যুক্তি, যে আইন প্রয়োগযোগ্য নয়, তা রেখে লাভ কী! ইসি নিজের অবস্থানের পক্ষে আরও যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। বর্তমান কমিশন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম মেনে চলেনি। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে ইসিকে একক ক্ষমতা দেওয়া হলেও তারা তা প্রয়োগ করেনি; বরং তারা এ কাজটি করার আগে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কাজে কারও মতামত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।