নিজের জন্য লেখি, নিজের কথা লেখি।
সূর্যের হিসাবে ঠিক কখন বা কোথায় দিন আরম্ভ হয় বলা কঠিন। মানুষে সুবিধার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম তীর হতে দিন গণনা করা হয়। কিন্তু চাঁদের হিসাবে একটা দিন বা তারিখ কখন বা কোথায় আরম্ভ হবে তা সুস্পষ্ট। আল্লাহ কোরআন শরিফে বলেছেন:- তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে।
বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম(বাকারা ১৮৯)। পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ প্রথম দেখা যাওয়া মাত্র চাঁদের নতুন মাস ও বার গননা আরম্ভ হয়। এখন চাঁদ দেখার কারনে নতুন তারিখ আরম্ভ হয়, তাহলে নতুন বার-ও কি চাঁদ দেখার সাথে সাথেই আরম্ভ হওয়া উচিৎ নয়?
সূর্যের হিসাবে জাপান থেকে দিন, তারিখ বা বার গণনা আরম্ভ করা হয়। আরবের পূর্বে জাপান পর্যন্ত দেশগুলোতে সময় আরব থেকে এগিয়ে(+) গণনা করা হয়।
যেমন: আমরা সূর্যের হিসাবে বাংলাদেশ আরব থেকে ৩ ঘণ্টা আগে মালয়েশিয়া ৫ ঘণ্টা আগে বার (যেমনঃ শুক্রবার) আরম্ভ করি।
কিন্তু চাঁদের হিসাবে মালয়েশিয়া বা বাংলাদেশে শুক্রবার আরম্ভ হতে তখনও যথাক্রমে ১৯ ও ২১ ঘণ্টা বাকি। জাপান থেকে সময়ের সূচনা ধরায় আমেরিকায় যখন শুক্রবার তখন বাংলাদেশে শনিবার ছুটি। চাঁদ অনুসারে বারের সূচনা ধরা হলে বাংলাদেশে শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় আমেরিকায় শনিবারের ছুটি আরম্ভ হবে। জাপান পর্যন্ত যে দেশ গুলোকে আরবের পূর্বে ধরা হয়, চাঁদের হিসাবে এই দেশগুলো আরবের দূর পশ্চিমের দেশ।
পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ প্রথম দেখা যাওয়া মাত্র চাঁদের নতুন মাস ও বার গননা আরম্ভ হয়।
চাঁদ দেখা যাক বা নাযাক চাঁদ প্রথম দেখা যাওয়ার স্থানের পশ্চিমের সব দেশকেই আগত সন্ধা থেকেই নতুন মাস গননা করা উচিৎ।
কোন মাসে বাংলাদেশে প্রথম চাঁদ দেখা গেলো না, কিন্তু বাংলাদেশের পশ্চিমের কোন দেশে প্রথম চাঁদ দেখা গেলো। তাহলে যেখানে চাঁদ দেখা গেলো যেখানে নতুন মাস ও বার গননা আরম্ভ হবে, এবং এর পশ্চিমের সব দেশকেই আগত সন্ধা থেকেই নতুন মাস গননা করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে আগের মাস/বারই থাকবে। এরপর পৃথিবীর আবর্তনের কারনে পরবর্তী আগত সন্ধা(যেমন- আরবের ২১ ঘন্টা পরে) থেকে বাংলাদেশেও নতুন মাস/বার গননা করতে হবে।
এখন আরবের ২১ ঘন্টা পরে বাংলাদেশে কোন হিজরি তারিখ আরম্ভ হওয়ায় হিজরি বারও কি আরবের ২১ ঘন্টা পরে আরম্ভ হওয়া উচিৎ না? বাস্তবে আমরা আরবের ২১ ঘন্টা পরে(-২১) বার আরম্ভ না করে আরবের ৩ ঘন্টা আগে(+৩) বার গননা আরম্ভ করি। ফলে আমাদের সময় =৩-(-২১)=২৪ ঘন্টা এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন: আমারা বৃহস্পতিবারের চাঁদকে শুক্রবার মনে করে জুমার নামাজ পড়ছি।
আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের দেশের দিন/বার ১ দিন পিছিয়ে দেয়া হোক। কোন এক রবিবার দিনের নাম সংশোধন করে শনিবার করা হোক।
তারপর থেকে আবার যথারীতি চলবে। তাহলে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে যেমন উপকৃত হবো,ধর্মীয় ভাবেও তেমন উপকৃত হবো।
কোথাও চাদ দেখা গেলে এর পশ্চিমের সব দেশেই তা ফলো করা উচিৎ। আর পূর্বের দেশগুলোকে পরবর্তি সন্ধা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।