আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়াবহ জঙ্গীবাদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ওপর

my country creat me a ginipig

ভয়াবহ জঙ্গীবাদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ওপর মেহেদী হাসান পলাশ গতকালের পর পাঁচ. বাবরী মসজিদ মামলায় ধর্ম নিরোপেক্ষ ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, যেহেতু ভারতের হিন্দুরা বিশ্বাস করে বাবরী মসজিদের স্থলে একদা রামমন্দির ছিল। তাই আদালত তাদের বিশ্বাসকে অমর্যদা করতে পারে না। সেকারণেই ভারতীয় আদালত ইতিহাস, যুক্তি, তথ্য, নৃবিজ্ঞান সবকিছু উপেক্ষা করে বাবরী মসজিদের দুই তৃতীয়াংশ ওয়াকফ স্টেট হিন্দুদের ছেড়ে দেবার জন্য রায় দিয়েছে। বাংলাদেশের মুসলমানেরা এমন কিছুই চায় না আদালতের কাছে। তারা শুধু চায় অত্যন্ত ন্যায্যতার ভিত্তিতে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতিফলন ও সুরক্ষা আদালতের রায়ে উজ্জ্বল হোক।

তাদের এ চাওয়া কি অনেক বেশী? বিচার ব্যবস্থা ও ধর্ম মানবজীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রাষ্ট্রীয় জীবনে যেমন বিচার ব্যবস্থার গুরুত্ব রয়েছে। তেমনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধর্মের রয়েছে সীমাহীন প্রভাব। বিচার ব্যবস্থার সীমা রেখা রয়েছে; ধর্ম অসীম, কালান্তরের। বিচারিক আইনের প্রধান উৎস ধর্ম।

কিন্তু কোনো ধর্মের জন্ম আদালতে হয়নি। ধর্মের স্কেলে বাদী, বিবাদী, বিচারক সবাইকে একই পাল্লায় মাপা হবে। তবুও রাষ্ট্রীয় জীবনে আদালতকে শ্রদ্ধা করা ধর্মের শিক্ষা। এ কথা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, গণতন্ত্রে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়।

তাই ঔপোনিবেশিকোত্তর আধুনিক রাষ্ট্রে বিচার ব্যবস্থ্যার ভূমিকা সেবামূলক, নিবর্তনমূলক বা নির্যাতক নয়। এখানে জনগনের জন্য আদালত, আদালতের জন্য জনগণ নয়। কাজেই ধর্ম ও আদালতÑ এই দুটি বিষয়কে মুখোমুখি করা বা এ দু’টিকে মানুষের মাঝে বিতর্ক সৃষ্টি কারো কাম্য হতে পারে না। এতে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের অকল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই। কাজেই সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা জরুরী।

ছয়. আদালতের রায়ে সামরিক শাসনের ঝুঁকি বেড়ে গেছে? উচ্চ আদালতে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের পর বেশিরভাগই বলছেন সামরিক শাসন আসার পথ চিরতরে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? আদালতের রায়ের ফলে বরং সামরিক শাসন জারির সুযোগ বেড়েও যেতে পারে। অধুনা যারা সামরিক শাসনের বিপক্ষে কথা বলছেন, তারা একটা কথা প্রায়ই বলে থাকেন, সামরিক সরকারগুলো নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ধর্মকে ট্রাম কার্ড হিসাবে ব্যবহার করেছেন। সেই ট্রাম কার্ড হচ্ছে পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী। তাদের কথা যদি সত্য ধরে নেয়া যায় তাহলে বলতে হয়, সামরিক শাসকেরা বুঝতে পেরেছিলেন সংবিধানের ইসলামিকরণের চেষ্টা, সংবিধানকে তৌহিদবাদ বা একত্ববাদের উপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা, ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করলে এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যাবে।

অর্থাৎ তাদের কাজগুলো এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল অথবা এ কাজগুলো এদেশের মানুষের প্রাণের দাবী ছিল। তা না হলে এই ট্রাম কার্ড খেলতেন না সামরিক শাসেেকরা। কিন্তু আদালতের রায়ের ফলে যদি সংবিধান থেকে জনপ্রিয় কয়েকটি ইসলামী ধারা বাদ যায় তবে ভবিষ্যতের সামরিক শাসকেরা এটাকে সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করতে পারে। ভবিষ্যতে কোনো সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি যদি সামরিক শাসন জারী করে সংবিধানের এই ধারা গুলো পুনরুজ্জীবিত করে তাহলে কি তিনি এদেশের মানুষের কাছে পূর্বের শাসকদের মতোই জনপ্রিয় হবেন না? যদি কোনো ব্যাক্তি ভবিষ্যতে সামরিক শাসন জারী করে ঘোষণা করে, সংবিধান থেকে বিলুপ্ত হওয়া ইসলাম ও আল্লাহর নাম সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো ফিরিয়ে দেয়া হলো, তাহলে অধিকারহারা মুসলমানেরা তাকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করবে না, মসজিদে মসজিদে তার জীবন ও শাসনের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হবে নাÑ ভেবে দেখা জরুরী। ফলে সংবিধানের এই ডি-ইসলামাইজেশন সম্ভাব্য সমারিক শাসকদের বরং প্রলোভিতই করবে বলে আমার ধারণা।

গণমাধ্যমের নীরবতা বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমের সাধারণ চরিত্র এই যে, কোনো মুসলিম যদি হিন্দুর ঘরের চালে ঢিল ছুঁড়ে, কোনো মুসলিম ছেলে যদি রাস্তায় হিন্দু মেয়েকে ইভটিজিং করে তাহলে তাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন আখ্যা দিয়ে প্রথম পাতায় ফলাও করে ছাপা হয় এবং তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে ফলোআপ রিপোর্ট, মন্তব্য, বিশ্লেষণ ইত্যাদি। এতে অবশ্য অনেকেরই খুব বেশী আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু আপত্তি ওঠে তখন যখন কুরআনের বিরুদ্ধে রীট করে ১৪ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দেয়ার মতো এতো বড় ঘটনাকে দেশের প্রথম শ্রেণীর অধিকাংশ গণমাধ্যম ‘কিল’ করে ফেলে। ফলে ঐ মিডিয়াগুলো ইসলাম বিরোধী কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে? যদি তাই হয়, তাহলে ইসলাম ও মুসলমান বিষয়ে তাদের পরামর্শ থেকে সরকারকে সাবধান থাকতে হবে। সন্দেহ নেই, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রায় নিরঙ্কুশ সমর্থন পাচ্ছে।

কিন্তু গণমাধ্যমের এই নিরঙ্কুশ সমর্থন অনেক সময় সরকারের জন্য বিপদজনক হয়ে ওঠে, সরকারকে বিপথে পরিচালিত করে, সরকারের মধ্যে স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের বিকাশ ঘটায়। বিশ্বের ইতিহাসে এর ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। ইতিহাস গবেষকগণ মনে করেন হিটলারের স্বৈরাচারি হওয়ার পেছনে সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল। তারা হিটলারের একের পর এক দেশ আক্রমণকে সমর্থন দিয়েছে। স্পেনের স্বৈরাচারী ফ্রান্সিকো ফ্রাঙ্কো, পর্তূগালের আন্তনিও সালজার, ফিলিপাইনের ফর্দিনান্দ মার্কোসের স্বৈরশাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল।

ইরানের রেজাশাহ পাহলভী ক্ষমতায় থাকাকালে পত্রিকাগুলো সারাক্ষণ তার প্রশংসায় মশহুর থাকতো। কিন্তু আয়তুল্লাহ খোমেনি তাকে তাড়িয়ে দেবার পর রাতারাতি পত্রিকাগুলো ভোল পাল্টিয়ে লিখতে শুরু করে তার কুকীর্তির কথা। বাংলাদেশেও ১৯৭৫ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের সংবাদপত্রের ভূমিকা পর্যালোচনা করলে এর দৃষ্টান্ত চোখে পড়ে। এমনকি ’৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা বঙ্গবন্ধুর তীব্র সমালোচক ছিল আজ তাদের অনেকেই অন্ধ ভক্তে পরিণত হয়েছে। ১/১১ পর ফখরুদ্দীন সরকারের সমর্থন ও দুই নেত্রীর চরিত্র হনন বিষয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে গণমাধ্যমগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্র দেখেছি।

সংবাদপত্র যদি আদর্শ নির্ভর না হয়ে বাজারমুখী ও বাণিজ্যমুখী হয় তাহলে তাতে পপুলিজম বা জনতুষ্টিবাদের ঝোঁক থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান সংবাদপত্র জগতটিতে এই বাজার ও বাণিজ্যমুখী চরিত্র প্রবল ভাবে উপস্থিত। ফলে জনতুষ্টি বাদের বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই তার। কাজেই এই সংবাদপত্রের সমর্থনকে জন রায় ভেবে তুষ্ট থাকলে সরকার মহাভুল করবে। মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও ধর্ম নিরোপেক্ষতাবাদ সংবিধানে ধর্মনিরোপেক্ষতা সংযোজনের অযুহাত হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, ধর্মনিরোপেক্ষ চেতনার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। বক্তব্যটি যথার্থতা যাচাই করতে আমি মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, সেক্টর ভিত্তিক ইতিহাস, ব্রিগ্রেড ভিত্তিক ইতিহাসের সরকারী ভলিউমগুলো খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছি। কোথাও পাইনি ধর্মনিরোপেক্ষতার কথা। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রেও ধর্ম নিরোপেক্ষতার কথা নেই। উল্টো আল্লাহর নামে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রবাসী সরকার বাংলাদেশের জনগনের উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র জারী করেছে দেখতে পাই।

১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রচার দপ্তর স্বাধীন বাংলার সংগ্রামী জনগনের প্রতি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশাবলী প্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে প্রচারিত এই নির্দেশাবলীর শুরু ‘আল্লাহু আকবর’ দিয়ে এবং শেষে বলা হয়েছে, “সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়লার উপর বিশ্বাস রেখে ন্যায়ের সংগ্রামে অবিচল থাকুন। স্মরণ করুণ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ‘অতীতের চাইতে ভবিষ্যৎ নিশ্চয় সুখকর। ’ বিশ্বাস রাখুন ‘আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী’। জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জয়বাংলা।

”(মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, তৃতীয় খণ্ড দ্রষ্টব্য)। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের এ প্রচারপত্র থেকে এ কথা পরিস্কার যে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে আল্লাহ নামে তার উপর বিশ্বাস রেখে। সে কারণেই আমরা নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের শহীদ বলে আখ্যা দিয়ে থাকি। এখানে ধর্মনিরোপেক্ষতার কোনো স্থান ছিল না। এ প্রসঙ্গে ইতিহাসের পাতা থেকে ইসলাম সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবস্থান দেখা যেতে পারে।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতার ভাষণে দেশবাসী প্রতি এক আবেদনে ইসলাম সম্পর্কে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসীÑ ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রসুলে করীম সা: এর ইসলাম, যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের সুবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায় অত্যাচার শোষণ বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদেরই বিরুদ্ধে।

যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান, সে দেশে ইসলাম বিরোধী আইন পাশের সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন কেবল তাঁরাই যাঁদের ঈমানই আদতে নাজুক আর ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়েস্তা করে তোলার কাজে। অতএব আমরা যারা আল্লাহর মজলুম বান্দাদের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা ইসলামের বিরোধিতা করাতো দুরের কথা বরং ইসলামের বিধান মতে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠারই উমেদার, আর সে ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হলেন তারাই যারা ইসলাম বিপন্নের জিগির তুলে জনগনকে ধোকা দিতে চান। ” (মুজিবের রচনা সংগ্রহ, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম, ৮৪-৮৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)। একই সাথে এখানে ইসলাম সম্পর্কে আওয়ামী লীগের অবস্থানও একবার দেখা যেতে পারে ইতিহাসের পাতা থেকে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালে দলের ঘোষণাপত্রে শাসনতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট অংশে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে: “ইসলাম জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম।

আওয়ামী লীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে, পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহে সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোনো আইন পাকিস্তানে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না। শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা স¤প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা- ১৬২। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একদিকে ধর্মনিরোপেক্ষতার কথা বলেছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ এবং সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান চতুর্থ বলে অহঙ্কার করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ মহাজোট গঠনের লক্ষ্যে খেলাফত মজলিসের সাথে এক লিখিত নির্বাচনী চুক্তিতে উপনীত হয়। আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিটি হুবহু নিম্নরূপ: “আল্লাহু আকবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে যে, নিম্নবর্ণিত ৫টি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে আসন্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করবে এবং মহান আল্লাহ তায়ালা বিজয় দান করলে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়ন করবে। ১. পবিত্র কুরআন সুন্নাহ্ ও শরীয়ত বিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।

২. কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ৩. নিন্মবর্ণিত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে: (ক) হযরত মুহাম্মাদ সা. সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। (খ) সনদপ্রাপ্ত হাক্কানী আলেমগণ ফতওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তি ফতোয়া প্রদান করতে পারবে না। (ঘ) নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ও কুৎসা রটনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে আবদুল জলিল/২৩-১২-২০০৬ সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের পক্ষে আবদুর রব ইউসুফি/২৩-১২-২০০৬. মহাসচিব। ” আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই চুক্তি বাতিল বা অকার্যকর করা হয়েছে এমন কথা কোথাও বলতে শুনিনি। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর নামে করা চুক্তি বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। সাত. প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের ১৪ কোটি মুসলমান আজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত ইসলামী রাজনৈতিক, বিচারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আজ বিপন্ন আদালতের রায়ের ফলে।

বাংলাদেশের আলেম সমাজ আতঙ্কিত, শঙ্কিত, অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে। কিন্তু তারা জানে আদালত যে রায়ই দিক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে বিপুল বিজয় দিয়ে তারা আপনার দলকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে তাতে আপনার দল চাইলে সংসদের মাধ্যমে সংবিধান থেকে তাদের হারাতে বসা অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেয়া বা সুরক্ষা দেয়া সম্ভব। এমনকি আপনার দল চাইলে এক্ষেত্রে আরো বেশী কিছু করে তাদের অন্তরের অন্তর স্থলে স্থায়ী আসন লাভ সম্ভব। বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্বে আপনার নির্দেশে আপনার দলের মহাসচিব খেলাফত মজলিসের সাথে যে চুক্তি করেছিল তার বাস্তবায়ন তারা দেখতে চায়। এ চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আপনার সরকারের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী বলে যে প্রচার রয়েছে তা অপনোদনের এক অভুতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আল্লাহ আপনাকে অনেক দিয়েছেন। এক চরম অসহায় অবস্থা থেকে আল্লাহ আপনাকে তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রের শীর্ষ অবস্থানে। জন্মগতভাবে আল্লাহ আপনাকে এক মহান পিতার সন্তান করেছেন। আবার ঘাতকরা যখন আপনার পিতাকে সপরিবারের হত্যা করে তখন মহাপরিকল্পনাকারী আল্লাহ তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আপনাকে বিদেশে রেখে হেফাজত করেছেন। তখন কি কেউ ভেবেছিল আপনি দুই বার ১৫ কোটি মানুষের দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন? একমাত্র আল্লাহ জানতেন এবং সে কারণেই আপনাকে হেফাজত করেছেন।

পিতামাতা, ভাই, পরিবার ও স্বজনহীন দীর্ঘ প্রবাস জীবন পেরিয়ে এক এতীম মেয়েকে আল্লাহ দেশে ফিরিয়ে এনে দীর্ঘ তিন দশক বাংলাদেশর অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় দলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী করেছেন। দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং দুইবার প্রধানমন্ত্রী করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে বহুবার আপনার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করেছেন। বিশেষ করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করুণ। ঘাতকরা আপনাকে টার্গেট করে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে মারছে আর সে গ্রেনেড আপনার দাঁড়ানো ট্রাকের চারপাশে পড়ছে।

এর একটি গ্রেনেডও যদি লক্ষ্যভেদ করতো তাহলে কি হতো চিন্তা করাও ভার! এসএসএফ, পিজিআর, এমনকি সাধারণ পুলিশের প্রহরা ছাড়াও আল্লাহর খাস রহমত সেদিন আপনাকে বাঁচিয়েছে। বিগত ফখরুদ্দীন সরকার আপনাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা করে দেশ ছাড়া করতে চেয়েছিল, আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের মানুষ আপনাকে আবার ফিরিয়ে এনেছে। তৎকালীন সরকার কারাগারে আটকে রেখে আপনার দলকে টুকরো টুকরো করে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছে কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছে। সেই আধাসামরিক কারাগারে আল্লাহ ছাড়া আপনাকে সাহায্য করার কেউ ছিল না। আজ যারা বলছে, আপনার কিছু হলে তারা বসে থাকবে না, সেদিন কিন্তু তারা আপনার এই হত্যা ষড়যন্ত্রকারীদের ঘোড়া দিয়ে সম্বর্ধিত করেছিল।

আপনাকে নির্বাসনে পাঠানো, দল থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টার কমতি ছিল না তাদের রাষ্ট্রদূত পিনাক বাবুর। সবই আপনার জানা। আপনার পিতার হত্যাকারীদেরও বুকে জড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিল তাদের রাষ্ট্রদূত সমর সেন। কাজেই এই কাকাবাবু নয় আপনাকে রক্ষা করছে স্বয়ং আল্লাহ। সর্বোপরি তিনি আপনাকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিজয় দান করেছেন, আপনার শত্রুদের উপর, আপনার পিতার হত্যাকরীদের উপর বিজয় দান করেছেন।

এক কথায় বলা যায়, একজন মানুষের জীবনে যা কিছু প্রাপ্য, যা কিছু স্বপ্ন, কল্পনা, তার সব কিছু আল্লাহ আপনাকে দিয়েছে অকাতরে। এখন সময় ফিরিয়ে দেয়ার। এখন সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের। প্রধানমন্ত্রী, একথা অনস্বীকার্য যে আল্লাহর ইচ্ছাতেই ১৫ কোটি মুসলমানের সংবিধানের মূলনীতিতে সংযুক্ত হয়েছে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস। আমাদের সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্তা ও বিশ্বাস হইবে রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় কার্যাবলীর মূল ভিত্তি।

এই কথাটি প্রত্যেকটি মুসলমানের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস মানে তৌহিদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস, একত্ববাদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস। আর সর্ব শক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস হইবে রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় কার্যাবলীর মূল ভিত্তিÑ এ কথার অর্থ হলো বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পরিচালিত হবে তৌহিদবাদ বা একত্ববাদের ভিত্তিতে। এই অষ্টম অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে সকল প্রকার শিরক, কুফরী , নাস্তিকতা ও ধর্মনিরোপেক্ষতাকে বিদায় দেয়া হয়েছে। ফলে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসকে বাদ দেয়া মানে আল্লাহর তৌহিদবাদকে অস্বীকার করা, আল্লাহর একত্ববাদকে বাদ দেয়া।

সংবিধান থেকে অষ্টম অনুচ্ছেদ বাদ দেয়া মানে আল্লাহর একত্ববাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি বাদ দিয়ে শিরক, কুফরী, নাস্তিকতাকে সংবিধানে প্রতিস্থাপন করা। ‘লা কুম দীনুকুম অল ইয়া দীন’ কাফেরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন আল্লাহ তায়ালা, মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নয়। ধর্ম সহিষ্ণুতা মানে ধর্ম নিরোপেক্ষতা নয়। ইসলামে ধর্ম সহিষ্ণুতার কথা বলা হয়েছে, ধর্ম নিরোপেক্ষতার নয়। কাজেই কোনো মুসলমানের পক্ষে সংবিধানের এ জাতীয় সংশোধন করা বা মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আর্মি এডুকেশন অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ছাড়া আর কোনো প্রকার সৈন্য আফগানিস্তানে পাঠানো ঠিক হবে না। আফগানিস্তানের যুদ্ধ বাংলাদেশে টেনে আনা ঠিক হবে না। তাছাড়া পাকিস্তানের সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলায় তালেবানরা তিনবার তাকে হত্যার জন্য আত্মঘাতী হামলা পরিচালনা করেছিল। কাজেই একই ঝুঁকি বাংলাদেশ নিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, সকল রাষ্ট্র আল্লাহর।

তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তার কাছ থেকে কেড়ে নেন। সকল ক্ষমতা আল্লাহর। হাইকোর্ট সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম ও ইসলাম সংশ্লিষ্ট শব্দগুলো বাতিল করার পরও বিএনপির সুযোগ থাকা সত্ত্বে তা না করে ক্ষমতা উপভোগে ব্যস্ত ছিল। ফলে আল্লাহ তাদের নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আপনাদের হাতে দিয়েছে। কিন্তু আপনারাও যদি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তাহলে বিএনপির মতো পরিণতি আপনাদের ভোগ করতে হবে না তার নিশ্চয়তা কি? প্রধানমন্ত্রী একবার ভেবে দেখুন, আল্লাহ আমাদের ১৫ কোটি মুসলমানের একটি দেশে জন্ম দিয়েছেন এবং সেই দেশের সংবিধান থেকে আমাদের সময়ে যদি আল্লাহর নাম মুছে যায় তাহলে মৃত্যুর পর আল্লাহর এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা কিভাবে দেবো? কোন মুখ নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবো মাথা উঁচু করে? প্রধানমন্ত্রী, সংবিধান সংশোধন আসলে ছুঁতা, মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে ঘবীঃ অভমধহরংঃধহ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।

সেটা করা গেলে এখানে যে জাতিসংঘ ও ন্যাটো বাহিনী আসবে তারা বাংলাদেশের তেল গ্যাস সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেবে, সমুদ্রসীমার নিয়ন্ত্রণ নেবে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিস্টান অধ্যুষিত বাফার স্টেট বানাবে, চীনকে আরো কাছে পাবে। আর এসব বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রয়োজন হবে হামিদ কারজাই বা আহমদ চালাবির মতো সরকার ও নেতাদের। জনগনের দল বা জনগনের দলের নেত্রীদের জায়গা সেখানে হবে না। রায় যার হোক দায় প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী একবার ভেবে দেখুন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে যদি আল্লাহ বা ইসলাম সংক্রান্ত একটি শব্দও উঠে যায় তাহলে কি প্রতিক্রিয়া হবে দেশের মসজিদে, মাদ্রাসায়, কোটি কোটি মুসলমানের অন্তরে। আপনার ও আপনার সরকারের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম বিরোধী’ বলে প্রচার কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে এবং তা কত দীর্ঘস্থায়ী হবে।

প্রধানমন্ত্রী, সিদ্ধান্ত কোর্টের হোক আর বামরোগে আক্রান্ত আপনার দলের কোনো নেতার হোক দায় কিন্তু আখেরে তারা কেউ নেবে না। প্রশংসার ভাগিদার সবাই হতে চায়, সমালোচনার তীর নেতাকেই সইতে হয়। ১/১১ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী, আপনার সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিশেষ কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া আপনার দলের সংস্কারপন্থী ‘কুসন্তানেরা’ দলে ও মন্ত্রীসভায় স্থান না পেয়ে বুকে জ্বলা প্রতিহিংসার আগুনে সংবিধান জ্বালিয়ে তা ছড়িয়ে দেবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। ওরা তখন নিরোর মতো বাঁশী বাজাবে আর সে আগুন কিন্তু আপনাকে নেভাতে হবে একা।

কাজেই আদালতের রায়, আমরা কিছু জানিনাÑ এ বলে পার পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এ দেশের মানুষ আপনাকে নামাজী ও কুরআন তেলাওয়াতকারী হিসাবে দেখেছে। দেখেছে বহুবার হজ্বব্রত পালন করতে। তাই তারা অনেক ভরসা নিয়ে আপনার দিকে চেয়ে আছে। সংবিধান থেকে ইসলাম ও আল্লাহ নামযুক্ত শব্দ তুলে দেয়ার যে প্রচারণা আপনার দলের ও দল সমর্থক কিছু কিছু নেতা, মন্ত্রী, এমপি ও বুদ্ধিজীবী শুরু করেছে তাদের ব্যর্থ করে আপনি সংবিধানে ইসলাম ও আল্লাহর নাম সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো বহাল রাখবেন এবং নির্বাচনের আগে খেলাফত মজলিসের সাথে করা আপনার চুক্তি বাস্তবায়ন করে এদেশের ১৪ কোটি ইসলাম প্রিয় মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেবেনÑ এ প্রত্যাশা সবার।

মহান আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দিন। (সমাপ্ত) সূত্র: ২৬ অক্টোবর, ২০১০ইং দৈনিক ইনকিলাব, আদিগন্ত। গতকালের প্রথম অংশ পড়ুন এখানে-- Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.