বস্তিপাড়ার বুচির সাথে সাহেবপাড়ার স্বাতীর,
ইশকুলেতে পড়তে গিয়ে অনেক হল খাতির।
আম্মু যখন স্বাতীর ব্যাগে ব্যস্ত টিফিন ভরায়,
বয়াম খুলে অমনি যে সে একটু আচার সরায়।
ঝাঁকায় ভরে ফলফলারি বিক্রি করে বাজান,
খুব সকালে যাবার আগে ফল ঝাঁকাতে সাজান।
এরপরে যেই একটুখানি বিভোর হ’লেন হুঁকায়,
সেই সুযোগে অমনি বুচি আমড়া দু’খান লুকায়।
টিফিন হ’লে সবাই যখন খেলছে গাছের তলায়,
ব্যস্ত ওরা ওদের নিয়ে, ঘুরছে গলায় গলায়।
কুটুস কাটুস আমড়া কাটে চাকুম চুকুম আচার,
হাজার কথা ওদের মনে শেষ না করে লাচার।
স্বাতীর আছে একটি বিড়াল আলসেমী তার স্বভাব,
যক্ষুনি সে ডাকবে তারে মিউ করে দেয় জবাব।
সেই বিড়ালের তিনটি ছানা শোবার ঘরের কোনায়,
তুলতুলে গা, চোখ ফোটেনি- সব বুচিকে শোনায়।
বুচির পোষা মুরগী থাকে মাচান খানার তলায়,
কেমন করে মুরগীছানা চিল এলে পর পলায়।
সব বলে সে, বলল আরো, দুঃখ করে আবার,
কেমন করে একটি ছানা করল কাকে সাবাড়।
এমনি ভাবে ওদের খাতির অনেকখানি গড়ায়,
কেমন করে খবর স্বাতীর মায়ের কানে ছড়ায়।
অনেক রেগে আম্মু দিলেন ভীষণ ধাতানি,
সাংগ হ’ল স্বাতীর বুচির বন্ধু পাতানি।
সেদিন থেকে বুচির সাথে স্বাতীর খেলা বারণ,
কাঁদল ওরা মনের দুখে, বুঝলনাকো কারণ। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।