সত্য অপ্রিয় হলেও সুন্দর
কিছু কিছু নিক কে কখনোই জামাত শিবির ছাগুদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেখি না যেটা খুবই দুঃখ জনক। চারিদিকে হায়েনারা বিষাক্ত শাস ফেলছে আর আমরা সুশীল সুবোধ বালক বালিকারা ব্যস্ত শুধু নিজেকে নিয়ে। মহান মুক্তি যুদ্ধের চেতনা আমায় আর তেমন নাড়া দেয় না আজ। ৩৮ বছরের পুরোনো ঘটনা কারো কাছে ফালতু মনে হয় । কিন্তু স্বাধীনতার শত্রুরা বসে নেই।
নিরলস শান দিয়ে যায় ওদের বিষ দাতে আরেক বার মরন কামড় দেওয়ার আশায়। ঘাপটি মেরে থাকা হায়েনা এক দিন ঠিকই জেগে উঠবে আবার মত্ত হবে রক্ত হোলি খেলায়। তোমরাও হতে পারো হায়েনার অসহায় শিকার। ঘুম থেকে জাগো এসো আমাদের মিছিলে এক সাথে আঘাত হানি পিশাচ দুর্গে। আমার বাংলা আর হতে দেবো না ওদের প্রজনন ক্ষেত্র।
লক্ষ মুক্তি যোদ্ধার রক্ত আজো আমাদের দেহে বয় আমরা আর নিরব থাকতে পারিনা কোন ভাবেই। একাত্তরের ঘাতক, ধর্ষক জামাত শিবির তার কালো থাবা বিস্তার করছে সব জায়গায় বিভিন্ন ব্লগও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা কি বসে থাকবো? আমরা যারা নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তি যুদ্ধে যেতে পারিনি বলে মনে কষ্ট পাই চলো আজ থেকে ঝাপিয়ে পড়ি হানাদার পাকিদের সমর্থক জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে। এসো আরেকটা যুদ্ধ শুরু করি এই ব্লগ থেকেই। ছাগুদের চিনে রাখি আর গদাম দেই অকৃপন ভাবে।
সুশীলগিরি দেখানোর সময় এখন নেই বন্ধু। চলো অন্তত পক্ষে ছাগু পোস্টে মাইনাশ প্রদান করে হলেও আমাদের দেশপ্রেমের ইমানী দায়িত্ব পালন করি। যারা এখনো দ্বিধা দ্বন্দে ভুগছো তারা নিচের ছবি গুলো একপলক দেখে নাও আর বলে যাও তোমার অনুভুতির কথা। দেখুন ওরা আমদের স্বজনদের কিভাবে হত্যা করেছে। কেমন ছিল ওদের অত্যাচার।
নিষ্পাপ শিশুরা ওদের কি ক্ষতি করে ছিল? কেমন ত্রাসের রাজত্ব ওরা কায়েম করেছিল যেখানে মৃত দেহ গুলো কুকুর ছিড়ে খায় একটা মানুষও ছিলনা ওদের কবর দেওয়ার মতো। এসবই ঘটেছে ঘাতক রাজাকার আলবদর আলশামস দের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায়।
মাশা’র শিকার।
চলুন এই বীর মুক্তি যোদ্ধার মতই আমরা একেক জন ছাগু বিরোধী সৈনিক হই।
শোনরে পাকি জাত জারজ ছাগুর দল, আমরা ঠিক এমনি করেই লাত্থি মেরে তোদের মাটির সাথে পিশে ফেলব।
মনে রাখিস এই বাংলায়ই তোদের বাবা দের বিচার হবে।
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে...
এ দেশ কি ভুলে গেছে সোই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়?
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা মাটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধে ছিলো।
জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আঁধার ,
আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায় ।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জার আড়ষ্ট কুমারি জননী,
স্বাধীনতা-- এ কি তবে নষ্ট জন্ম?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন।
বাতাসে লাশের গন্ধ
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দোলে মাংসের তুফান।
মাটিতে রক্তের দাগ--
চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারি মানুষের হাড়।
এ চোখে ঘুম আসে না , সারারাত আমার ঘুম আসে না--
তন্দ্রার ভেতর আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পঁচা লাশ
মুণ্ডুহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বীভৎস শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে-- আমি ঘুমোতে পারি না,
আমি ঘুমোতে পারি না...
রক্তের কাফনে মোড়া--
কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা-- সে আমার স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন;
স্বাধীনতা-- আমার প্রিয় মানুষের রক্তের কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা বোনের শাড়ি-- ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
(রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ)
"লাখো শহীদ ডাক পাঠালো সব সাথীদের খবর দে,
সারা বাংলা ঘেরাও করে জামাত-শিবির কবর দে। "
(পোস্ট টি উৎসর্গ করা হল সেই সব ব্লগার ভাইদের উদ্দেশ্যে যারা নিরলস ভাবে ছাগুদের প্রতিহত করে গেছেন। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।