জনতার সংগ্রাম চলবেই
একজন সাধারণ ভারতীয়’র কাছে মহাত্মা গান্ধী মানে তিনি জাতীর জনক, শুধু ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস’র নেতা নন।
নেলসন মেন্ডেলা তার দল অাফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস’র কাছে যেমন পূজনীয় ব্যাক্তি ঠিক তেমনি ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছেও পূজনীয় ব্যাক্তি।
তাদের সম্মান জানাতে কোন দলের সমর্থক বা কর্মী হতে হয় না। কারন তারা অবিসংবাদিত নেতা।
তেমনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ‘ছিলেন’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
‘ছিলেন’ এই অর্থে বলছি যে, তাকে বর্তমানে অবিসংবাদিত নেতা মানতে ‘অনেকেই’ নারাজ। অার যদি মানতে কেও চায়ও, সেক্ষেত্রে দলীয় লেজুরবৃত্তির কারনে সে পারেনা। তার দলের নেতাকে ছাপিয়ে অারেকজনকে বেশি সম্মানের জায়গায় চিন্তা করা তার পক্ষে অসম্ভব, ঘোরতর অন্যায় বটে।
অাওয়ামীলীগই বা কি করল? তাকে প্রাপ্য সম্মানতো দিতে পারলইনা বরং অনেক ক্ষেত্রে অসম্মান করছে। তোফায়েল আহমেদের ডিজিটাল ব্যানারে যেমন জাতির জনকের ছবি লাগানো হচ্ছে, তেমনি মহল্লার দুই পয়সার নেতার ব্যানারেও তার ছবি ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সিনিয়র নেতৃবৃন্দের এনিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। এটাকে জাতির জনকের অপমানই বলবো।
যা বলছিলাম,
কেউ মানুক আর না মানুক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমাদের জাতির জনক, অবিসংবাদিত নেতা এবং শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।
বাংলা ভাষা জানে কোন মানুষ যেমন রবীন্দ্রনাথকে এড়িয়ে চলতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশী কোন মানুষ বঙ্গবন্ধুকে এড়িয়ে চলতে পারে না। কিন্তু অনেকই চলছে…।
হৃদয়ের গভীর থেকে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
ফুটনোট: অামি অাওয়ামীলীগকে কম ভালো পাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।