‘ঝমঝমানো’ আমার ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ
‘ঝমঝমানো’ আমার ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশিত হবে একুশে বইমেলা ২০১১। প্রকাশ করবে ‘ভনে প্রকাশ’। এবারই বেশ কিছু নতুন বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘ভনে প্রকাশ’ প্রকাশনী হিসাবে যাত্রা শুরু করছে। ভনে প্রকাশের অগ্রযাত্রায় যারা ইতিমধ্যে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।
‘ঝমঝমানো’ কাব্যগ্রন্থের উৎসর্গপত্র ও ফ্ল্যাপ প্রকাশিত হলো:
উৎসর্গ:
দক্ষিণ এশিয়ার আতঙ্কিত তাবৎ নদি, মাঠ, বৃক্ষ ও পাখি বন্ধুদেরকে
প্রথম ফ্ল্যাপ:
আমি নদী সাঁতরে পার হতে গিয়ে নদীর গভীর জলে তলিয়ে যেতে যেতে বোয়াল মাছের পেটের ভেতর ঢুকে পড়েছিলাম। বোয়ালটি একটি ধীবরের জালে আটকা পড়েছিলো। ধীবরবন্ধু মাছের পেট কেটে আমাকে মুক্ত করেছিলো। আমার নিথর দেহটাকে নদী কিনার থেকে কাঁধে তুলে বাড়িতে বয়ে নিয়ে এসেছিলো সে। ধীবর স্ত্রীর সারারাতের আদর-যত্নেœ আমি প্রাণ ফিরে পেয়েছিলাম।
আমি পাখিদের পিছে পিছে দৌড়তে দৌড়তে গহীন জঙ্গলের ভেতর পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে ঢুকে পড়েছিলাম পাইথনের পেটের ভেতর। পাইথনটি গভির নিশিথে দূর বাঁশরীতে কান পেতে আমাকে উগরে দিয়েছিলো বাংলার উন্মুক্ত মাঠের ক্ষেতের ভেতর। এক কৃষাণ কন্যা আমাকে তুলে এনে কুয়োর টলটলে জলে ফেলে দিয়েছিলো। আমি যখন কুয়োর জলে সাঁতার দিতে পেরেছিলাম, তখন কৃষাণ কন্যা আবার উঠিয়ে এনেছিলো আমাকে।
এবার মেয়েটির হাত ধরে দৌড়াই মাঠে মাঠে। একটা ঈগল আমার কোমরে থাবা দিয়ে তার নখে আমাকে ঝুলিয়ে নিয়ে উড়তে থাকে। অবশেষে দু’শতবর্ষী একটা গাছের ডালে আমাকে শুইয়ে দিয়ে ঠোঁট আর নখ দিয়ে দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে বাতাসে উড়িয়ে দেয়। বাতাসের উপর ব’সে নিজেকে জোড়া দিতে দিতে উড়তে উড়তে গিয়ে পড়ি বাহাত্তরের সংবিধানের উপর। তারপর গড়াতে গড়াতে ঢুকে পড়ি গণকবরের ভেতর।
গণকবরের সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে উঠে যাই বাদশাহী দরবারে। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় জল্লাদখানায়। আমাকে কেটে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়া হয় মরুর বালুতে। আমি একা একাই নিজেকে জোড়া দিতে দিতে ফিরছি তোমাদের কাছে।
২০.১০.২০১০, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।