আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায়, প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় এবং সকলের স্বতস্ফূর্ত আংশগ্রহনে এবারের পূজা উদযাপিত হলো যথেষ্ঠ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।



মিঃ মডারেটর, সকল ব্লগারগণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা। এবারের পূজা বলতে গেলে অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় একটু বেশীই উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্যময় পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। এর জন্য আমরা হিন্দু সম্প্রদায় বর্তমান সরকার-প্রশাসন সহ সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গত বছরের তুলনায় এবার পূজোর সংখ্যাও অনেক বেশী হয়েছে। এটাও একটা সুখকর খবর।

কেন এই বিজয়-আনন্দ? অন্যায়, অশুভ ও অসত্যের বিরুদ্ধে ন্যায়, শুভ ও সত্যের চূড়ান্ত বিজয় ঘটেছিলো আজ। অশুভর প্রতীক অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করেন মা দেবী দুর্গা, এতে দেবগণ স্বর্গ ফিরে পান। অন্যায়-অশুভর বিপরীতে ন্যায় ও শুভ শক্তির জয় হয়। আর এ জন্যেই আমরা এই পূজোতে এত আনন্দ করি। মা দূর্গা হলেন আমাদের জন্য বিজয়ের প্রতীক।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গ গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্র ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন কালে বলেন," বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এটা খুবই প্রত্যাশিত যে, সব মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মানুষ্ঠান অবাধে পালন করবে। " তিনি আরও বলেন," শান্তিপূর্ন সহাবস্থান আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে আমরা সম্মিলিতভাবে এই দেশ স্বাধীন করেছি। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়।

এর অর্থ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। প্রতিটি ধর্মের মর্মকথাই হচ্ছে সৌভ্রাতৃত্ব। " আজ দূর্গাপূজা উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, "বাংলাদেশ হলো একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। " আমরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সবার কথাই মানলাম কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে কি বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ? না, সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ।

তাই আমাদের দাবী সংবিধান সংশোধন করে আবারো বাংলাদেশকে প্রকৃতপক্ষে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা করা হোক। যেমন- ভারত হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সেটি প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আবার তুরস্ককে মুসলিম দেশ বলা হলেও সেখানে সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ নিজেদেরকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির রক্ষক বলে মনে করে। তারা চান সাংবিধানিক ভাবে দেশটি ধর্মনিরপেক্ষতা দেশ হিসেবে ঘোষিত হোক। তাই আমরাও এটা চাইবো।

যদিও আমরা যার যার ধর্ম পালন করতে কোনো অসুাবধা হয় না, তবুও সংবিধান সংশোধন করে সীকৃতী দিতে সমস্যা কোথায়? যাবার বেলায় আবারও সবাইকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.