লিখবো অনেক কিছু.......জানবো এবং জানাবো...........
পারিবারিক খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। জমি-বাড়ি ভাগবাটোয়ারা ও দখল, পাওনা টাকা লেনদেন, নারীঘটিত বিষয়, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের ঘটনায় এসব খুনের ঘটনা ঘটছে। রাজধানীতে এ ধরনের ঘটনায় প্রতিদিন কমপৰে গড়ে ২টি খুনের ঘটনা ঘটছে। গত দুই সপ্তাহে রাজধানীতে ২৫টি খুনের মধ্যে ২২টি হয়েছে শুধু পারিবারিক ঘটনার জের ধরে।
পারিবারিক ঘটনায় খুনের বিষয়ে কথা বললে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ইত্তেফাককে বলেন, পারিবারিক বা সামাজিক বন্ধন অনেক দুর্বল হয়ে পড়ছে বলেই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে।
অভিভাবক বা বয়োজ্যেষ্ঠরা আগের মত পরিবারের সনত্দানদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এৰেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং সমাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। ঘরের অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করতে কমিউনিটি পুলিশিং মানুষের সচেতনতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।
গত দুই সপ্তাহের রাজধানীর অপরাধচিত্র বিশেস্নষণ করলে দেখা যায়, পারিবারিক খুনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার কচুৰেতে বাড়ি ভাড়ার টাকার ভাগ নিয়ে বড় ভাই ইলিয়াস কাঞ্চন মুন্না তার ছোট ভাই ইমরান হোসেন মুন্নাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
একই দিনে বনশ্রীতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে গৃহবধূ সোমা আক্তার সোমা খুন হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ীতে সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ করে ভাতিজার হাতে দাদি সুফিয়া খাতুন, চাচা মিজানুর রহমান মিল্টন ও চাচী বীথি রহমান খুন হয়েছে। ২ অক্টোবর মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের ডি বস্নকের ৭ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের মালিক আলেয়া বেগমকে সন্ত্রাসীরা গলাটিপে হত্যা করে। ৪ অক্টোবর রামপুরার ১৫, ডিআইটি রোডের গ্রীন টাওয়ারে ১১ তলায় প্রেমের জের ধরে শায়লা শরীফ নামে এক বেসরকারি কোম্পানীর কর্মকর্তার রহস্যজনকভাবে মৃতু্য হয়। একই দিনে বাড্ডায় বাড়ির ভাড়াটিয়াদের হাতে বাড়ি মালিক নূর জাহান বেগম খুন হন।
১১ অক্টোবর পূর্ব মাদারটেকে পরকীয়া প্রেমের জেরে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী সেলিম খুন হন। ১২ অক্টোবর সবুজবাগে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছোট ভাই শাহীন বড় ভাই মোসত্দাফিজ ও ভাবী রাবেয়া খাতুনকে খুন করে। এসবই পারিবারিক খুনের চিত্র। রাজনৈতিক খুনের চিত্র মাত্র একটি। ৭ অক্টোবর মগবাজারে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী সর্দারকে খুন করা হয়।
এসব খুনের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সমাজে বিশ্বাসের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। সমাজে নির্যাতিত ব্যক্তিরা যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে সঠিক তদনত্দ পায় সে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ পারিবারিক খুনের তদনত্দে যদি প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত না হয়, সেৰেত্রে এর জের ধরে খুনের ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং খুনি উৎসাহ পাবে। পারিবারিক খুনের ঘটনা কমাতে হলে আইনের প্রতি পরিবারের সকল সদস্যকে সচেতন হতে হবে।
হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান বলেন, খুনের ঘটনার তদনত্দ সঠিক না হলে এ ঘটনা আরো বেড়ে যাবে।
প্রত্যৰদর্শীদের বক্তব্য তদনত্দে মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয় না। এ কারণে খুনের ঘটনায় প্রকৃত খুনিরা পার পেয়ে যায়। প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টানত্দমূলক শাসত্দি হলেই পারিবারিক খুনের ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।