বিক্রেতারা বলছেন, শীত মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামের উপর।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা।
আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৫ টাকায়, গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ২২ টাকা।
মুগদা বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে আলুর দাম ছিল ৪/৫ টাকা কেজি।
সেই আলু কিনতে হচ্ছে ৮/১০ টাকা কেজি দরে।
শুক্রবার এই খুচরা বিক্রেতা প্রতিকেজি আলু ১৪ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন।
এদিন প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় । তবে অনেক দোকানে দেশি রসুন নেই।
শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুল মাজেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়েনি।
“বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার পেঁয়াজ ১৩-১৪ টাকা, ফরিদপুরের ১৮-২০ টাকা, পাবনার ২০-২২ টাকা আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চীনের রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬২ টাকায়। ”
আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আলু এখন হিমাগারে যাচ্ছে, ফলে আজারে দাম বাড়ছে।
বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমোটো, লাউ ও সীমের দাম বেড়েছে।
আসতে শুরু করেছে নতুন ঢেড়স, উচ্ছে ও করলা। প্রতিটি সবজির দামই কেজি প্রতি ৬০ টাকার বেশি।
শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮১ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সময় পাম অয়েল জমে যায় বলে চাহিদা কম থাকে। গরমে চাহিদার সঙ্গে দামও বাড়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।